প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন।
আজ খুব ইচ্ছে করছে নিজের লেখা একটা কবিতা আপনদের সাথে শেয়ার করি।
আসলে সময়ের সাথে সাথে মানুষের চিন্তা ভাবনা যেমন পরিবর্তন হয়, তেমনি তার পরিস্থিতিও বদলায়।
লিখতে আমার বরাবর খুব ভালো লাগে, তবে আমি একবারও বলবো না আমি ভালো লিখি, তবে এটা সত্যি যে কখনো কখনো বলতে না পারা কথা গুলো যদি লিখে ফেলা যায় তাহলে কোথাও যেনো নিজেকে একটু হালকা লাগে। মনে হয় একটা বোঝা যেনো কমে গেলো।
কবিতা আমি অনেক আগে লিখতাম,এখন বহুদিন লিখিনা,বাস্তবের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে হয়তো ভালোলাগা কোথাও চাপা পড়ে গিয়েছিল,কিন্তু এখন যখন লিখতে শুরু করেছি হয়তো আবার এই ভালোলাগা গুলো ফিরে আসবে আমার জীবনে।
পুরোনো কিছু কথা আজ হটাৎ মনে পড়লো,এই কবিতাটা লেখার পেছনের কষ্টের কথা, কষ্ট দেওয়া মানুষটার কথা। আসলে কিছু কিছু ঘটনা থাকে যেগুলো মনের ওপর এমন ভাবে দাগ কেটে যায়,যে শত চেষ্টাতেও ভোলা যায় না।
"উপেক্ষা"
তখন পড়ন্ত বিকেল,
লাইট পোষ্ট গুলো জ্বলেনি তখনও
অন্ধকার নামবে কিছুক্ষন বাদেই।
আর শুরু হবে আমার তারাখসা দেখার প্রতিযোগিতা।
আনমনে করা কোনো প্রার্থনা পূর্ণ হবার ব্যর্থ আশায়।
কোনো এক সুদূর অতীতে শুনেছিলাম-
আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে ভালোবাসাকে,
কখনো ভালবাসা বলেনা,
তার চেয়ে অনেক ভালো নামকরণ হলো-
অপমান, হতাশা, কিংবা উপেক্ষা।
প্রাপ্য যদি কখনো পাওনার চেয়ে বেশী হয়,
তবে তার হিসাব মেলানো কঠিন।
বাজে খরচের খাতার মধ্যেই সীমাবদ্ধতা এই
অপ্রয়োজনীয়, অতিরিক্ত ভালবাসার।
তবুও ভালো লাগে, যখন বয়ে আসে হিমশীতল ভালবাসার স্রোত।
যদিও আগ্নেয় গিরির অগ্নুৎপাত ঘটাতে অক্ষম,
এই বিবেকহীন হৃদয়ের, করুনতম আকাঙ্খা।
শুধুমাত্র নীরব অশ্রুপাতে সাড়া মিলে না, সেইসব পূর্ণতায় ভরা হৃদয়ের।
ভালবাসা যাদের কাছে কেবল মুঠোর ভেতর থেকে উপচে পরা বালির ঢেউয়ের মত মূল্যহীন,
কখনো যা রূপ নেয় ভালোলাগায় কিংবা গভীর
আবেগে ভরা স্বন্তনার সারল্যে,
আবার কখনো বা অন্য আরেক রূপে,
যা অপমানে জর্জরিত শুধুমাত্র---- উপেক্ষায়।
কবিতাটা অনেক আগের লেখা, আজ মনটা কোনো এক অজানা কারনে খারাপ। আসলে অনেক মন খারাপের কারণ আমরা নিজেরাও মাঝে মাঝে বুঝে উঠতে পারিনা,এটা আমার সাথে তো ভীষণ হয়।
যাইহোক,আপনারা ভালো থাকবেন। সুস্থ থাকবেন।শুভরাত্রি।