প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার বোনের বিয়েতে কাটানো খুশির মুহূর্তের কথা। বোন মানে আমার মাসীর মেজো মেয়ে। ওর বিয়ে উপলক্ষে অনেক দিন বাদে আমরা সবাই একজায়গায় হয়েছিলাম।মামা, মামী, দিদিরা, সব বোনরা প্রত্যেকে।
বোনের বিয়ে খুব বেশি দূরে হয়নি, আর যার সাথে ওর বিয়ে হলো তাকে আমরা ছোট্ট বেলা থেকে চিনি,সুদীপ দা বলেই ডাকি, ভীষণ ভালো সম্পর্ক আমাদের, আজ বিয়েটা হয়ে যেনো আর ও গভীর হলো সম্পর্কটা।
আমি বিয়ের দিন সকালেই গিয়েছিলাম। সেদিন শুভ ছুটি পায়নি, তাই একাই যেতে হলো, আর ওই date এ আমাদের অন্য একটা আত্মীয়র বিয়ে ছিলো তাই আমার শ্বশুর শ্বাশুড়ি ওই বিয়েতে গিয়েছিল। আর আমি মাসি বাড়ি ছিলাম। সারাদিন প্রচুর মজা হয়েছে।
সকালবেলা পুকুরে গিয়েছিলাম স্নানের জল ভরতে, তখনকার ফটো-
দুপুরে স্নান করানো হচ্ছে-
সন্ধ্যা বেলা আমার ছোটদিরা এলো, আসলে ও ছুটি পায়নি,morning duty করে তবে সন্ধ্যা বেলা এসেছিল। তিতলি ও খুব মজা করেছে। সন্ধ্যা হতেই সবার সাজার পালা শুরু হলো, বিয়ে বাড়ীর এটাও একটা মজার বিষয়। কে কি শাড়ি পড়ছে, কেমন সাজছে এইসব আর কি।
এরপর বর চলে এলো, সুদীপদাকে বর বেশে দেখে বেশ ভালোই লাগলো, দুঃখের বিষয় একটাও ফটো তোলা হয়নি, যাইহোক এরপর আমরা নিজেরা কমবেশী ফটো তুললাম। খাওয়া দাওয়ার পর বিয়ের আসরে বসলাম, দারুণ মজা চলছিল সেখান, সুদীপ দার আর বোনের পেছনে লাগছিলাম।
টোপর মাথায় প্রথম বার তিতলি-
দেখতে দেখতে বিয়ে শেষ, ওরাও খাওয়া দাওয়া করল, এবার বিদায় বেলা, এই মুহূর্তটা বড্ড কষ্ট দায়ক। যতই কাছে মেয়ের বিয়ে হোক না কেনো মায়ের কষ্ট তাতে একটুও কম হয়না। যাইহোক সব নিয়ম মেনে ওরা রাতেই রওনা করলো। পরদিন আমিও চলে এলাম বাড়ি।
বৌভাতের দিন বিকালে আমি আর শুভ গেলাম। ট্রেন এ করে গিয়েছিলাম তাই শাড়ি পরে যায়নি। ওখানে গিয়ে দেখি সবাই চলে এসেছে, আমরাও তাড়াতাড়ি রেডী হলাম। ওখানে পৌঁছেও গেলাম সবাই মিলে। বোনকে ভীষণ সুন্দর সাজিয়েছিল। খুব ভালো লাগছিল। ওখানে মজা হলো, খাওয়া দাওয়া, ফটো তোলা। এরপর সবাই মিলে মাসিবারি ফিরে আসলাম। সেখান রাত টা কাটিয়ে সকালে বাড়ি ফিরলাম সবাই।
ছোটদির সাথে-
বোনের সাথে (বিয়ে এবং বৌভাত)-
বহুদিন বাদে সবাই মিলে অনেক মজা হলো, বোন আর সুদীপদা সারাজীবন যেনো ভালো থাকে এই প্রার্থনা করি।
আপনারাও ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। শুভরাত্রি।