ভাইয়ের জালে অনেক মাছ ধরা পড়েছে-
প্রিয়,
পাঠকগণ,
কেমন আছেন আপনারা সবাই?
আজ কথা বলবো মাসি বাড়ি কাটানোএকটাদিন নিয়ে। হ্যাঁ আজ গেলাম মাসি বাড়ি। আমার বাপের বাড়ি থেকে মাসি বাড়ি খুব বেশি দূরে না। মাসি,মায়ের থেকে ছোটো।সেখানে মাসির দুই মেয়ে মানে আমার দুই বোন ও এসেছিল, তাদের ও বিয়ে হয়ে গেছে।এক বোনের এখনও হয়নি। মাসির একটা ছেলেও আছে।
সবাই অনেক দিন পর এক জায়গায় ছিলো, আমার বাড়ি যাওয়ার খবর পেয়ে আমাকেও নিয়ে গেলো এক সাথে একটা রাত কাটাবো বলে। আমি যখন গেলাম প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গেছে।
সবাই মিলে অনেক আড্ডা,অনেক গল্প হলো, অনেক দিনের জমানো অনেক,কথা পুরোনো দিনের কথা,ছোট্ট বেলার দুষ্টুমির কথা আর ও কতো কি। এরপর রাতে খেয়ে আমরাও ঘুমিয়ে পড়লাম, কথা ছিলো পরের দিন সকালেই আমি বাড়ি ফিরবো, বাবাকে তেমনই বলে গিয়েছিলাম। পরদিন সকালে যখন উঠলাম ভীষণ কুয়াশা ছিলো।
মাসি বারবার বলছিলো এই ঠান্ডায় যেতে হবে না রোদ্দুর উঠলে যাবি। এই করে করে ১০ত বেজে গেলো রোডের দেখা নেই, এরপর ভাই (মাসির ছেলে) বললো পুকুরে যাবে মাছ ধরতে,সেই কথা শুনে আমরা বোন গুলোও ভাবলাম ওর সাথে যাবো মাছ ধরা দেখিনা বহুযুগ।
এই বলে বেরিয়ে পড়লাম, মাসি বাড়ির কাছাকাছি পুকুর, তবে চারিদিকে প্রচুর জঙ্গল।তবুও দল বেঁধে বেরিয়ে পড়লাম, ভাইও জাল নিয়ে রওনা দিলো।
গিয়ে দেখি তখনও বেশ কুয়াশা চারিদিকে, পুকুরের পাশে দুটো খেজুর গাছ, আমার মেসো গাছ কেটেছিল,আমরা রাতে ওই গাছের রস খেয়েছিলাম।
বহু বছর বাদে আমি খেজুরের রস খেলাম। এরপর ভাই জাল ফেলতে শুরু করল। ভীষন ঠান্ডা তাই প্রথমে জলে নামতে চাইছিল না, জাল ফেললে যা মাছ পাওয়া যেতো তাই নিয়েই চলে আসতো কিন্তু সেভাবে মাছ পাচ্ছিল না, অগত্যা ওকে নামতেই হলো।
এরপর যতবার জাল ফেললো অনেক মাছ পেলো, কিছু কিছু মাছ আবার ছেড়ে দিলো সেগুলো নাকি আর ও বড়ো হবে তাই। এরপর বেশ কিছু মাছ নিয়ে আমরা ফিরে এলাম। সকালের খাওয়া খেয়ে আমি বাড়ি ফিরে গেলাম। তারপর বাবার কিছু জামাকাপড় কাঁচলাম। তারপর আমাদের দুপুরের রান্না করলাম।
ভালো লাগল অনেক দিন পরে ভাইবোন একসাথে ছোট্ট বেলার মতো আনন্দ করলাম।
কিছু ফটো শেয়ার করলাম দেখে আশাকরি আপনাদেরও ভালোই লাগবে।
ভাই জাল নিয়ে তৈরী-
জাল ফেলছে-
জাল টেনে তুলছে-
এই খেজুর গাছের রস খেয়েছিলাম-
এই মাছ গুলো ভাই ধরেছে-
আমরা বোনেরা একসাথে-