বন্ধুত্ব -
প্রিয়,
পাঠকগণ,
কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশাকরি সকলেই ভালো আছেন।
আজ আমি শেয়ার করবো আমার husband এর সব বন্ধুদের কথা, তাদের সাথে পিকনিকের অভিজ্ঞতার কথা। আসলে বিয়ের আগেও কমবেশী ওর বন্ধুদের সাথে দেখা হয়েছে কিন্তু সেইভাবে কখোনো কথা হয়নি। ওদের কয়েকজনের মুখ চেনা ছিলো কিন্তু সামনাসামনি দেখা হয়নি। বিয়ের পর আস্তে আস্তে সবার সাথে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে।
ওরা প্রত্যেকে আমাকে বৌদি বলেই ডাকে কারণ ওদের গ্রুপ এ প্রথম বিয়েটা শুভরই হয়েছে, আর শুধু যে বৌদি বলে ডাকে তাই নয়, বৌদির মতো সম্মানও করে, ইয়ার্কি ও মারে, আবার তাদের আবদারও চলে, এটা খাবো, ওটা খাবো এইসব আর কি।আমাদের মধ্যেও বন্ডিং টা খুব ভালো, ওরা প্রত্যেকেই খুব হেল্পফুল।
বিয়ের পর প্রথম ওদের সাথে পিকনিকে গিয়ে দারুণ মজা হিয়েছিল,পিকনিকটা ওর এক বন্ধুর বাড়ী হয়েছিল। ওর নাম অমিত। আমার বিয়ের এক বছর পর ওর বিয়ে হয় আর তারপরই আমরা সবাই মিলে সেইবছর পিকনিক করি। আমি আর পূজা (অমিতের বৌ) সেবার হেসে হেসে পাগল হয়ে গিয়েছিলাম ওদের বন্ধুদের কান্ড দেখে।
পিকনিকের দিন দুপুরের কান্ডকারখানা-
সত্যিই মাঝে মাঝে ওদের দেখে মনে হয় যেনো ওরা এখনো বাচ্চাই আছে। নিজেরাই নিজেদের নিয়ে মেতে থাকে, সেদিন সারাদিন কিছু না কিছু করে চলেছে সবাই মিলে।সন্ধ্যা বেলায় ওদের দুইজন বান্ধবী আসে, আর শুভর তিনজন বোন (মামারমেয়ে)এসেছিল। সবাই মিলেই সেবার আমদের পিকনিক হয়েছিল।
আমরা রান্না নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম। মাঝে মাঝে ওদের কাণ্ডকারখানা দেখতে আসছিলাম। আর ফটো তোলার জন্যও ডাক পড়ছিল বার বার। দুঃখের বিষয় এইসব কিছুর মধ্যে আমি আর পুজাই কোনো ফোটো তুলিনি। আর ওরাও এতো মত্ত ছিলো যে খেয়ালই করেনি ফটো তুলতে তুলতে আমরাই বাদ পড়ে গেছি।
সে যাইহোক দারুণ মজা হয়েছিল সেবার, খাওয়া দাওয়া রাতে খুব বেশি হয়নি, সময় কোথায় ? নাচ, গান, হুল্লোড় করেই সব ক্লান্ত,খাবে কি করে বলুন? প্রচুর খাবার বেশি ছিলো তাই আমরা পরদিন সকালে সেই খাবার খেয়েছিলাম।
সেই বারের পড়ে আর ঐভাবে পিকনিক হয়নি, ওর বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে গেছে, এক বন্ধু বর্তমানে বাইরে থাকে। বাকিরা এখনো প্রতি রবিবার আড্ডা দেয় চায়ের দোকানে।
এই জিনিসটা আমার ভীষণ ভালোলাগে। ছেলেদের বন্ধুত্ব গুলো প্রায় এক ই রকম থেকে যায় সারাজীবন। আর আমাদের মেয়েদের সব পুরোনো জিনিস ছেড়ে চলে আসতে হয় নতুন ঠিকানায়। এখনো আমার কাছে ওদের আবদার কিন্তু চলে, তবে নানা কারনে পুরোনো গ্রুপটা একজায়গায় হয়না। শুভ তো বটেই এমন কি আমিও মিস করি ওদের মজা গুলো।
একজায়গায় হলে আর কোনো কিছু চাইনা ওদের। যাইহোক নিশ্চয় আবার কোনদিন সবার সাথে দেখা হবে, একসাথে বসে আড্ডা হবে।
প্রার্থনা করি আপনাদের বন্ধুদের সাথে,প্রিয়জনের সাথে আগামিদিনগুলো যেনো খুব ভালো কাটে। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন