প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমার হাতে তৈরী আলুর দমের রেসিপি। শীতকালে যে নতুন আলু পাওয়া যায় তার দম খেতে সত্যিই খুব ভালো লাগে। খিচুড়ি, লুচি, রুটি, পরোটা সবকিছুর সাঠেই এই আলুর দম খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
আমি খিচুড়ির সাথে খাওয়ার জন্য তৈরী করেছিলাম। অনুষ্ঠান বাড়িতে, বিশেষ করে কোনো পূজো বাড়িতে যে খিচুড়ি আর আলুরদম দেওয়া হয় তার স্বাদ এত ভালো হয় যে বলে বোঝানো যায়না। এদিন আমিও চেষ্টা করলাম তৈরী করার।
প্রথমে বাজার থেকে আনা আলু গুলোকে ভালো করে জল দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি। কারণ এইসময়ের আলুতে প্রচুর পরিমাণ বালি থাকে, ভালো করে না ধুলে খাওয়া যায়না। এরপর আলুগুলোকে কেটে টুকরো করে নিয়েছি, এবং লবণ আর হলুদ দিয়ে অল্প তেলে ভালো করে ভেজে নিয়েছি। অল্প কিছু মটরশুটি ছাড়িয়ে নিয়েছি, আর একটা টমেটো টুকরো করে কেটে নিয়েছি।
আমি নিরামিষ আলুর দম করেছি, তাই পেঁয়াজ রসুন ব্যবহার করিনি, তার বদলে আমি আদা, জিরে, ধনে গুঁড়ো, চারমগজ, কাঁচা লঙ্কা, আর অল্প কাশ্মিরী লঙ্কার গুঁড়ো ব্যবহার করেছি। সেগুলো পরিমাণ মতো নিয়ে আমি বেঁটে নিয়েছি।
আর একটা ভাঁজা মশলা তৈরী করেছি, যাতে আমি পরিমাণ মতো জিরে, ধনে,একটা তেজপাতা,একটা শুঁকনো লঙ্কা আর অল্প একটু কসৌরি মেথি হালকা গরম করে গুঁড়ো করে নিয়েছি।এই মশলাটা রান্নার একদম শেষে অল্প পরিমাণে ছড়িয়ে দেবো, যাতে খুব সুন্দর একটা গন্ধ বেরোবে।
এরপর তেল গরম করে তাতে তেজপাতা আর গোটা গরম মশলা ফোড়ন দিয়েছি, এরপর টমেটো আর মটরশুটি দিয়ে একটু ভেজে নিয়েছি, এরপর বেঁটে নেওয়া মশলা দিয়ে, ভালোভাবে কষে নিয়েছি। এরপর ভেঁজে রাখা আলু গুলো দিয়ে দিয়েছি। যখন সেগুলো ভালোভাবে কষে গেছে তখন পরিমাণ মতো উষ্ণ গরম জল দিয়েছি, আর নামানোর আগে অল্প ঘী আর গরম মশলার গুঁড়ো দিয়েছি। আর অল্প একটু ভাঁজা মশলা দিয়েছি।
এরপর আমি নামিয়ে নিয়েছি, আর গরম গরম খিচুড়ির সাথে সার্ভ করেছি।
আমি ফোটো গুলোও শেয়ার করলাম,আশাকরি দেখে ভালো লাগবে আপনাদের। ভালো থাকবেন।শুভরাত্রি।
টুকরো করা আলু গুলোকে লবণ আর হলুদ দিয়ে ভেজে নেওয়া হচ্ছে-
বেঁটে নেওয়ার জন্য মশলা নিয়েছি -
ছাড়িয়ে নেওয়া মটরশুটি-
টুকরো করে নেওয়া টমেটো-
তৈরী করা ভাঁজা মশলা-
মশলা দিয়ে আলু কষা চলছে-
আলুরদম রেডী-
আপনার blrtchef ট্যাগ টা আগে দিলে ভালো হতো
তবে ভালো লিখেছেন ❤️❤️
@abmleon অনেক ধন্যবাদ। পরের বার নিশ্চয় খেয়াল রাখবো।