প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আমাদের anniversary র দিনটা আমরা কিভাবে কাটালাম সেই কথা।
আপনাদের আগেই বলেছি যে ওই দিন আমারা ঠিক করেছিলাম যে আমাদের পিকলুর জন্মদিন করবো। আমার husband তার জন্যে কেক ও এনেছিল আর অন্যদিকে আমার ননদ আবার আমাদের জন্য কেক নিয়ে এসেছিল।
প্রতিবারের মতো স্নান করে শুভর হাতেই সিঁদুর পড়লাম, তারপর পুজো দিলাম।বছরে ২ দিন আমি ওর হাত থেকে সিঁদুর অবশ্যই পড়ি,দুর্গা পুজোর সময় দশমীর দিন ঠাকুর বরণ করে আসলে আর আমাদের anniversary দিন সকালে স্নান করে।
দুপুরে রান্নাবান্না সব করলাম, তারপর ঘর সাজালাম পিকলুর জন্যে বেলুন দিয়ে, ওর ফোটো দিয়ে।
তারপর ওকে রেডী করে নিলাম।পরে আমি শাড়ি পড়লাম, শুভ পছন্দ করে এই দিনে আমি শাড়ি পড়ি। আর আমার ও ভালোলাগে।
এরপর রাতে সবাই এলো।পিকলুর কেক কাটার পড়ে আমাদের কেক কাটার পালা ছিলো। প্রত্যেক বারই দিদি (ননদ) এই কাজ করে।কেক কাটতে প্রথম থেকেই ভালো লাগে না। কিন্তু কিছু করার নেই, বললেও শোনে না। তাই অগত্যা কাটতেই হয়।
আর দুষ্টুমি করে মুখে মাখানো তো আছেই। বারণ করলেও শোনে কে? যাইহোক এই সব কিছু হলো, তারপর কিছু ফটো তোলা হলো, এরপর খাওয়া দাওয়ার পালা। খাওয়া দাওয়া শেষ হতে হতে প্রায় রাত ১১.৩০হয়ে গেছিলো।
দেখতে দেখতে আমাদের বিয়ের ৫ বছর কেটে গেলো,কি ভাবে এতো দিন কেটে গেল বুঝতেই পারলাম না।তবে এইভাবেই যেনো আরও অনেক গুলো বছর কাটিয়ে দিতে পারি এই প্রার্থনা করি। আমার চাওয়া বড্ড সীমিত, যাকে ভালবাসি দিনের শেষে তার পাশে শান্তিতে ঘুমাতে পারি, এর বেশি চাওয়ার নেই আমার।
মানুষটাকে ভালো রাখতে চাই, ভালোবাসতে চাই আর নিজেও একটু ভালোবাসা চাই ব্যস। আমি নিজেকে লাকী মনে করি আমি সেই ভাগ্যবানদের মধ্যে একজন যে সারাজীবন ভালোবাসার মানুষের সাথে থাকার সৌভাগ্য নিয়ে এসেছি। সবার ক্ষেত্রে এটা হয়না।
জীবনের ওঠাপরা তো থাকবেই কিন্তু তার মধ্যেও ভালো থাকার চেষ্টা ও করতেই হবে তাইনা?
ভালো থাকবেন। শুভরাত্রি