প্রিয়,
পাঠকগণ,
আশাকরি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আজ আমাদের পিকলুর নতুন বছর কেমন কাটলো সে কথা আপনাদের বলবো।
পিকলুর সাথে আপনাদের পরিচয় আগেই হয়েছে, এবং জেনে আপনাদের ভালো লাগবে সে এখন ২ বছরে পা দিয়েছে, ওর ৩ মাস বয়সে ও এসেছিল আমাদের বাড়ী, দেখতে দেখেতে ১বছর হয়েও গেলো।
না,ওর জন্মদিন তেমন ভাবে কাটানো হয়নি, তার মিষ্টি খাওয়া একেবারেই বারণ, আর তাকে রেখে আমরা খাবো সেটা ইচ্ছে করেনি, তাই ঠিক হলো নিউ ইয়ারে তাকে গিফট দেওয়া হবে, তাহলে জন্মদিনের উপহারও হয়ে যাবে, তাই যেমন ভাবা তেমন কাজ।
২জানুয়ারী তার জামা এসে গেলো, সাথে সুন্দর দেখতে চুল বাঁধার গার্ডার।বিস্কুট (তার ট্রিট)। দেখে সে ভীষণ খুশী।৩ তারিখে তাকে স্নান করিয়ে দেওয়া হলো,সে নতুন ড্রেস পড়লো, চুল বাঁধলো, আর তারপর চললো ফটোশুট।
তাকে রেডী করলে সে খুব খুশী হয়, তবে ফটো তুলতে একদম ভালোবাসে না। আমরা যখন জামাকাপড় পড়ে রেডী হই কোথাও বেরোনোর জন্য,সে আমাদের পেছন পেছন ঘোরে, আর তাকে রেডী করলেই সেও ভাবে এবার তাকে নিয়েই আমরা কোথাও বেড়াতে যাচ্ছি। যাইহোক,ছাদের উপর রোদের মধ্যে, চেয়ারে বসিয়ে অনেক চেস্টা করে কিছু ফটো তোলা হলো।
আমাকে ছাদে দেখেই তার বায়না শুরু তাকেও আমার সাথে নীচে নিয়ে আসতে হবে,আমি কাছে যেতেই কোলে ওঠার জন্যে ব্যাস্ত। তাকে একটু আদর করলাম,বড্ড আদুরে সে,আমি গায়ে হাত বোলাতেই
আরামে চোখ বুঁজে আসে তার।
এরপর রাতের একটা ঘটনা বলি, প্রতিদিন আমাদের খাওয়ার সময় সে টেবিলের নিচেই বসে থাকে, কাল ও তাই, আমাদের খাওয়া হোলো, শুভ (আমার হাজব্যান্ড) ওকে চেয়ার এর ওপর বসিয়ে দিলো,সে টেবিলের ওপর ওঠার জন্যে বড্ড ব্যস্ত হয়ে পড়লো।
তাকে বকা দিতেই মুড অফ হয়ে গেলো তারপর আমার ওপর রাগ করে আমার হাজব্যান্ড এর কোলে উঠে তাকে কতো আদর করলো, যাতে সে তাকে না বকে।
সে সব কিছু বোঝে, আমি বকেছি, ফলে আমার কাছে আসলো না, চলে গেল আমার হাজব্যান্ড এর সাথে, তাকেই আদর করছে আর আমার দিকে তাকাচ্ছেই না। যাইহোক ওরসাথে এই ভাবেই কেটে যায় আমাদের দিন।
আপনাদের জন্য ফোটো গুলো শেয়ার করলাম, আশাকরি ভালো লাগবে দেখে।
ভালো থাকবেন সবাই।
ভালো লেগেছে আর ভয়ও পেয়েছি।
ওরে ওর দাঁতে ক্লিপ লাগা😂🤣