ঢাকা শহরে যারা থাকেন, বেশ আর কম সবাই দেখেন, যানবাহনের কি যে এক অবস্থা.... লোকাল বাস গুলোতে যত মানুষ সিটে বসে, তার চেয়ে বেশি মানুষ দাড়িয়ে থাকে, এক কথায় ঠেললে ঠেলা যায় না।
নারী-পুরুষের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই, পুরুষরা যেমন ধাক্কাধাক্কি করে, মহিলারাও ধাক্কাধাক্কি করে। পুরুষের মত মহিলারা বাসে লটকে থাকে।
এই শহরে কেউ কাউকে সিট ছেড়ে দেওয়ার মত তেমন একটা মন মানুষিকতা রাখে না বললেই চলে। অধিকার সবার সমান। যার সামনে সিট খালি হবে, সেই বসবে। এ যেন একটা নিয়মের মত হয়ে গেছে।
তেমনি একটা বাসে করে মিরপুর১ থেকে মোহাম্মাদপুর যাচ্ছিলাম, আমি সিটে বসা ছিলাম। অনেক মানুষের মাঝে দুইজন মহিলাও দাঁড়িয়ে ছিল।
১জন প্ল্যাজু (লেডিস) আপু। অপর জন
হুজুরনী তথা শরয়ী বোরকা পরা আপু।
মহিলা দুইজন উঠে দাঁড়িয়েই আছে। বসার মত একটা সিট ও খালি নেই। কেউ উঠে বসতেও দিচ্ছে না।
আমি বোরকা পরা আপুরে ইশারা দিয়ে বললাম এদিকে আসেন। কাছে আসলে সিটটা ছেড়ে দিয়ে বললাম। বসেন আপু।
সবাই যখন সিট দখল করতে প্রস্তুত, ঐ সময় সিট ছেড়ে অন্যজনকে বসানো টা শুধু আশ্চর্যজনক নয়, বরং নারী দাড়িয়ে থাকাটা লজ্জাজনক ও বটে।
আমার কান্ড দেখে আসে পাশের সবাই আমার প্রতি এমন ভাবে তাকালো যে, আমি লজ্জা পেয়ে গেলাম।
জেনারেল একজন ভাই বলেই বসলো, কোথায় যাবেন? মোহাম্মদপুর যাবো।
আপনার জায়গা আসতে তো এখনো অনেক দেরী, এত আগে সিট ছেড়ে দিলেন?
বললাম হ্যাঁ। আমি আগে উঠেছি তো কি হয়েছে, ইসলাম নারীকে সমান অধিকার নয়, বরং অগ্রাধিকারই দিয়েছে। তাই সিট না ছেড়ে পারলাম না।
কৌতূহল করে সে ভাই বললো, দূরের মেয়েটাকে ডেকে এনে সিট ছেড়ে দিলেন, অথচ আপনার সামনেই তো একজন দাঁড়িয়ে ছিল,সে তো তার আগে উঠেছে?
বললাম ভাই, আমাদের কাছে পর্দাশীল নারীদের সম্মান অনেক অনেক বেশিই।
এটা বলার পর সে বেডা আমার দিকে তাকিয়েই রইলো। ঐ আপুটাও শিউরে উঠলো।