Source
এই মুরগীগুলে বাংলাদেশি দেশী জাতের মুরগী নয়। বাংলাদেশে যেসব দেশী জাতের মুরগী পাওয়া যায় সেসব মুরগীর ডিম উৎপাদন ও মাংস বৃদ্ধির হার পর্যাপ্ত না হওয়ায় বিভিন্ন সময় নানা জাতের বিদেশী মুরগীর জাত আমদানী করা হয় মাংসের চাহিদা পূরনের উদ্দেশ্যে।একেক জাতের মুরগীর স্বাদ, বৃদ্ধি পাওয়ার প্রবণতা একেক ধরনের।তবে বাংলাদেশের সোনালি নামের বিদেশি সংকর জাতের মুরগী পাওয়া যায় সেটি সাধারনত হাতের নাগালে পাওয়া যায় এবং মাংসের স্বাদ বেশ সুস্বাদু ।মিশরের আরআইআর জাতের মুরগির সাথে পাকিস্তানের ফাওমি জাতের মোরগের ক্রসব্রিডিং করে সোনালি জাত উদ্ভাবন করা হয়।
Source
সোনালি মুরগি বেশ দ্রুত বর্ধনশীল এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি। এজন্য এদেশের আবহাওয়া ও পরিবেশে সোনালি মুরগি পালন বেশ উপযোগী।একটি সোনালি জাতের মুরগী প্রায় ২-৩ বছর বাঁচে । একটি সোনালি মুরগি ২-৩ মাসেই প্রায় ৭০০ গ্রাম ওজনের হয়।এরা ৩ মাসের মধ্যেই ডিম দেওয়া শুরু করে । যদিও মাংস উৎপাদনের কথা মাথায় রেখেই সোনালি মুরগি আবাদ করে খামারিরা।বেশির ভাগই ৩-৪ মাসের মধ্যেই মাংস খাওয়ার মতো উপযোগী হয়।। সোনালি জাতের মুরগি বিদেশী জাত হলেও দেশী মুরগীর মতো নিজেদের বাচ্চা নিজেরাই ফোটায়।এরা বছরে ১৮০-২০০ টি ডিম দিয়ে থাকে। সোনালি জাতের মোরগ-মুরগি উভয়ের বিশেষ চাহিদা রয়েছে মুরগির বাজারে, রেস্টোরেন্টে, বিয়ে সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুরগির রোস্ট তৈরীতে।দেশী মুরগির ন্যায় কিছুটা শক্ত সুস্বাদু মাংস হওয়ায় এবংদাম তুলনামূলক কম হওয়ায় বাজারে এর চাহিদা ব্যাপক ।
এসব জাতের মুরগী এখন খামার এবং ক্ষুদ্র পরিসরে বাড়িতেও চাষ করা হচ্ছে।বর্তমানে মাংসের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হওয়ায় সার্বোপরি নিজেকে উদ্দোক্তা হিসেবে তৈরি করার জন্যে অনেকে খামার পদ্ধতিতে উন্নত জাতের বিভিন্ন হাঁস,মরগি পালন করছে। দেশের মাংসের চাহিদা পূরনে সোনালি জাতের মুরগির ব্যাপক খামার ভিত্তিক উৎপাদন যথেষ্ট ভূমিকা পালন করছে। আশা করাই যায় বাংলাদেশের নতুন উদ্যোক্তারা আরো ভালোভাবে বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং বাংলাদেশ একদিন সবকিছুতেই স্বয়ংসম্পূর্ন হবে।
Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!