না, এটি কুয়েত, আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন বা ওমানের কোন শহর নয়, এটি ফিলিস্তিনের ছোট একটি শহর মদীনাতু খলীল বা খলীল শহর। এখানে একটি মসজিদ আছে তা মসজিদে ইব্রাহীম নামে পরিচিত। মসজিদ সংলগ্ন একটি রেষ্ট হাউস বা মুসাফিরখানা, এখানে গমগুঁড়া ও গোশত মিশিয়ে ওদেশের জাতীয় খাবার তৈরি করা হয়, প্রতিদিন দুপুরে ৫০০ থেকে ৩০০০ পরিবারের সদস্যরা পরিতৃপ্তির সাথে খাবার খেয়ে থাকেন। এই খানা তৈরি ও পরিবেশনের জন্য একটি দাতব্য সংস্থা যুগ যুগ ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, শহরের বিত্তবানদের সহায়তায় বছরের প্রতিদিনই এই কর্মসূচি চালু আছে, উইকিপিডিয়ার তথ্য মতে সুলতান সালাহউদ্দিন আইউবী পরবর্তী সময়ে সুলতান কালূন সালেহী ১২৭৯খৃ: সালে এই মুসাফির খানা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রতিষ্ঠা করেন, তবে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ সিলসিলা চালু আছে নবী ইব্রাহিম খলিলের যামানা থেকেই, কারণ তিনি মেহমান ছাড়া খাবার খেতে বসতেন না।
তাকিয়ায়ে ইবরাহিমী নামে পরিচিত এই খাবার খাওয়ার জন্য দূর থেকেও মুসাফির সমবেত হয়ে থাকেন, তাদের থাকার জন্য অত্যাধুনিক রেষ্ট হাউস আছে, মসজিদে ইব্রাহিমীর সম্প্রসারন ও সংস্কারের জন্য মুসাফির খানাও একটু দূরে সরিয়ে নেয়া হয়েছে এবং এটিও আধুনিকায়ন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে খাবার পরিবেশন সহজিকরণ ও ভিড় এড়াতে আগ্রহী পরিবার গুলো কে পাঁচজন লোকের খাবার নেয়ার মত বড় পাত্র নিয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াতে বলা হয়ে থাকে। ইব্রাহিম খলিল আলাইহিস সালাম এর মেহমানদারি পাঁচ হাজার বছর ধরে বংশানুক্রমে চলে আসছে, সুতরাং মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি পরিবার যদি মেহমানদারির এই সুন্নাহ চালু রাখতে সচেষ্ট হন, তবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম হয়তো তা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
খলীল শহরের দানশীল ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে এখানে কেউ ক্ষুধার্ত থাকলে আমরা লজ্জিত হবার ভয়ে আপ্রান চেষ্টা করি, আল্লাহর রহমতে কখনো কোন অসুবিধা হয়নি।
কত আকর্ষণীয় .... ইব্রাহিম ইব্রাহিম খলিলুল্লাহর সময় থেকে বেঁচে থাকা এই traditionতিহ্যের সাথে আমাদের পরিচয় করানোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আমি আশা করি এটির সঠিক অনুবাদ হয়েছে।