শুভ অপরাহ্ন,আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ বুধবার, বর্ষর মুখর একটি দিন অতিবাহিত করলাম,সকালের সূর্যের মৃদু আলোয় যকন ঘুম ভাঙ্গল তখনও বাইরে রিমঋিম বৃষ্টি হচ্ছিল। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজ বুধবার, বর্ষর মুখর একটি দিন অতিবাহিত করলাম,আকাশে মেঘের ঘনঘটা বেড়েই চলছিল,মেঘমাল্লার গুড়ুম গুড়ুম আওয়াজের মধ্যেই বেরিয়ে পড়লাম টং এর দোকানের উদ্দেশ্যে।নেহাত বাঙ্গালি বলেই হয়ত সকালে এক কাপ চা না হলে চলে না।টং এর দোকাের ভিড় পেরিয়ে এক কাপ চা খেয়ে শাস্তির নিশ্বাস নিয়ে বাড়ি পথে যাত্রা করলাম।
গ্রামের আঁকাবাকা রাস্তার সাথে শহুরে লোক জন প্রায় অপরিচিত হলেও আমরা এটির সাথে অভস্ত।এই রাস্তায় চলতে চলতে হঠাৎ গান মনে পড়ে গেল।
গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ
আমার মন ভুলায় রে
গ্রামছাড়া ওই রাঙা মাটির পথ
আমার মন ভুলায় রে
ওরে কার পানে মন হাত বাড়িয়ে
লুটিয়ে যায় ধুলায় রে
আমার মন ভুলায় রে
এখানে রবীন্দ্রনাথের প্রশংসা না করলেই নয়।মাঋে মাঋে রবীন্দ্র সংগীত মন ছুয়ে যায় তেমনি একটি গান হল গ্রাম ছাড়া এই রাঙ্গা মাটির পথ।চা পান এর পর ফাঁকা রাস্তায় গলা খুলে এই গান গাইতে গাইতে যখন চলতে থাকলাম। দুপাশে ধানের ক্ষেত মাঋ খান দিয়ে রাস্তা এ যেন বিধাতার হাতে তৈরী অপরূপ সুন্দর্য।
বহু দিন ধ’রে বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা,
দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।
আবার ও সেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে ই স্বরন করতে হল। ধানের শিস এর উপর জমেথাকা বিন্দু বিন্দু পানির সাথে আমাদের মত অনেক বাঙ্গালীই অপরিচিত। ধানের শীশের উপর জমে থাকা ফোটা ফোটা পানি যেন রবীন্দ্রনাথ এর কবিতাকেই ইঙ্গিত করছিল বলে মনে হচ্ছিল। এই ছবি নিয়ে গান গাইতে গাইতে যখন পথ হেটে চলছি মেঘ রাজা হয়ত তার অশীর্বাদ দিতে ভুল করলেন না। অঋরে নামল বৃষ্টি।ফাকা রাস্তা কোথাও মাথা গুজার মত ঠাই নেই তাই লুকোনো ব্যার্থ চেষ্টা আর করা হল না। টিপ টিপ বৃষ্টি তে ভিজে ভিজে বাড়ি ফিছিলাম আর ডাঙ্গায় কৃষক রা ভিজে ভিজে ধান কাটছিল সে দৃশ্য দেখছিলাম। দিনটা মাধুর ছিল বলতেই হবে।
নিজের পরিচয়
আমি নিজেকে বাঙালি হিসেবে পরিচয় দিতে ভালোবাসি।পড়াশোনার কথা বলতে গেলে এখন ক্লাস ১০ এ পড়তেছি।বাসা গোপালগঞ্জ,আাশা করছি নতুন সবাই আমাকে সাহায্য করবেন।
you can find me on [Instagram] (https://www.instagram.com/tansanhasan/?hl=en)