মানুষের চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে জগতে এবং আখেরাতে একটু ভালো থাকার চেষ্টা

in blurtbd •  3 years ago  (edited)

IMG_20211018_081210.jpg
বিসমিল্লাহির রহমানের রাহিম সকল প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়ালার ,আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু ।
সবাই কেমন আছেন আশা করি মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন ।
আজকে আমি আপনাদের সাথে কথা বলব যে সকল চিন্তা একজন মানুষকে সফল হতে এবং দুনিয়াতে ভালো কাজ করার উপলব্ধি জাগবে এবং সঠিক পথ দেখাবে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
(ভূমিকা)

একজন প্রকৃত ঈমানদার হতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকতে, হবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ঠিকমতো পড়তে হবে ।নবীজির দেখানো পথে অবশ্যই চলতে হবে আল্লাহতায়ালা যে সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে বলেছেন সে সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।

আমাদের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত নারী পুরুষের চিন্তা চেতনা উপলব্ধি করার মত শক্তি মহান রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে দিয়েছেন যে সকল চিন্তা চেতনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে কোন কাজটা খারাপ কোন কাজটা ভাল আমরা এসব চিন্তা চেতনা করে খারাপ কাজ হতে বিরত থাকতে পারে মহান রাব্বুল আলামিন এ বিষয়ে কোরআন মাজিদে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

মহান রাব্বুল আলামিন কোরআন মাজিদে বলেছেন দুনিয়া হচ্ছে টাকাপয়সা সন্তান-সন্ততি বৃদ্ধি পারস্পারিক গর্ব রং তামাশা শোভা সৌন্দর্য করার একমাত্র প্রতিযোগিতা মাত্র।
আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই আমাদের সামনে একজন কৃষক যখন ধানের জন্য ফসল ফলায় তখন একটা বীজ থেকে একটা গাছ হয় সেই গাছটা ধীরে ধীরে বড় হয় বৃষ্টির পানি হলে কৃষকের মন আনন্দে ভরে ওঠে ধীরে ধীরে গাছটা আবার পেকে যায় তখন সেটা হলুদ বর্ণের হয়ে যায় তারপর আবার কৃষক সেই স্থানকে কেটে ফেলে সেই গাছটা আবার খবর ভূমিতে পরিণত হয় আমাদের আখেরাতের চিত্রটাও ঠিক তেমনি,
আখেরাতের চিত্রের ধিকে যদি আমরা একটু লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাই যারা পাপাচারী করে দুনিয়াতে অন্যায় করে অবিচার করে খারাপ কাজে লিপ্ত হয় তাদের জন্য আখেরাতে খুবই কঠিন আযাবের ব্যবস্থা রয়েছে আবার যারা দুনিয়াতে ভালো কাজ করে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ কালাম পড়ে নবীজির দেখানো পথে চলে আল্লাহর রাসূলকে মেনে চলে তাদের জন্য আখেরাতে রয়েছে অবিরাম শান্তি।

আমরা যদি একটু লক্ষ্য করি তাহলে বুঝতে পারব দুনিয়ার বস্তুটা ধোঁকা ছাড়া আর কিছুই না

আর একটি হাদীসে মহান রাব্বুল আলামিন বর্ণনা করেছেন তোমরা এগিয়ে যাও আল্লাহর পথে আল্লাহ তাআলা ক্ষমা এবং সুন্দর দৃষ্টিভঙ্গি তোমাদের জন্য রেখেছে যারা আল্লাহ এবং আল্লাহ নবীর ঈমান এনেছে তাদের জন্য রয়েছে বিশাল প্রশান্তির জান্নাত। এটা হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার এক ধরনের দয়া তিনি যাকে ইচ্ছা তাকেই এই অনুগ্রহ করে থাকেন।

উপরের কথাগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত যে দুনিয়া হচ্ছে একটা মরীচিকার মত এটার পেছনে আমরা যতই দৌড়াবো কোন লাভ হবে না। দুনিয়াতে আমাদের ধন-সম্পদ টাকা-পয়সা স্ত্রী-সন্তান বাবা-মা এসবই কিন্তু আল্লাহতালার নিয়ামত কিন্তু বর্তমান যুগের মানুষ এসব নিয়েই সবচাইতে বেশি অহংকার করে।
একটু যদি লক্ষ করি তাহলে আমরা সবাই দেখতে পাই আমাদের সমাজ বা বর্তমান মানুষের মধ্যে মৃত্যুর কথা কোন ধারে কাছেও নেই কেউই মৃত্যুর কথা স্মরণ করে না সবাই শুধু দুনিয়া দুনিয়া করে পাগল হয়ে যায় কিন্তু এটা বুঝতে পারে না যে দুনিয়া হচ্ছে একটা ধোকার বস্তু দুনিয়া হচ্ছে একটা মরীচিকা যাকে ধরা সম্ভব নয়।

বর্তমান সমাজের মানুষ যতই সন্তান-সন্ততি স্ত্রী টাকা পয়সা ধন সম্পত্তি নিয়ে অহংকার করো না কেন তারা কি কখনো ভেবে দেখেছে এসবের কিছুই তাদের সাথে যাবে না বরং এসব তার মৃত্যুর পরবর্তীতে ধ্বংসের কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

বর্তমানে মানুষ শুধু চিন্তা এবং উপলব্ধি করে দুনিয়াতে নিয়ে যা শুধু তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই কাজে লাগবে।
এই বিষয়গুলো নিয়ে যদি আমরা খুব গভীরভাবে চিন্তা করি তাহলে আমরা দেখতে পাই আমাদের মৃত্যুর পরে কাফনের কাপড় পরে যখন কবরে দিয়ে আসা হবে তখন আমাদের এই সুন্দর দেহ কিছুই থাকবে না তিনদিন পর আমাদের চুল নখ সবকিছুই ঝরে যাবে কিছুদিন পর আমাদের শরীরের মাংস ঝরে ঝরে পড়বে মাটির সাথে মিশে যাবে তাহলে কিসের এত অহংকার।
আপনার এত কষ্টে আছি তো ধন-সম্পদ সকল কিছু আপনার ওয়ারিশরা ভাগাভাগি বন্টন করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বে আপনার স্ত্রী সুন্দরী হয়তোবা 4 মাস দশ দিন আপনার জন্য একটু আফসোস করবে কিন্তু তারপরে এসে নতুন কাউকে নিয়ে সুখী হওয়ার চেষ্টা করবে তাহলে একটু ভাবুন কি নিয়ে আপনি অহংকার করছেন।
আবার এমনটাও আমাদের সমাজে ঘটে যে স্ত্রীর মৃত্যুর পর স্বামী আবার নতুন করে বিয়ে করে ফেলে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করে না।

আপনি ওদের জন্য দুনিয়াতে যত কিছুই রেখে যান না কেন আপনার মৃত্যুর স্মৃতি যত পুরনো হতে থাকবে তারা ততো দুনিয়ার হাসিখেলায় আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতে উঠবে।

আমাদের সবারই একটা কথা মনে রাখা খুবই দরকার যে মৃত ব্যক্তির মৃত্যুর পরে দুনিয়ার কোন জিনিসই ভোগ করতে পারেনা শুধু একমাত্র তাঁর দান-খয়রাত যাকাত এগুলাই তার সাথে যায় তার কোরআন তার নামাজ।

আর হ্যাঁ আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করা দরকার তার সাথে আরও দুইটি জিনিস যায় একটা হচ্ছে তার বদ কাজের বোঝা আরেকটি হচ্ছে তার নেক আমলের খাতা মৃত্যুর পরে এই দুটি জিনিস তার সঙ্গে যায়।

একজন মানুষের মৃত্যুর আগে অবশ্যই তাকে যা যা করতে হবে সেটা হচ্ছে তার ধন সম্পদ সন্তান-সন্ততি স্ত্রী আত্মীয়-স্বজন সবার সাথে ভালো ব্যবহার করা ধন সম্পদের সঠিক পরিচালনা করা দান-খয়রাত করা তাহলেই একজন মানুষ তার নেক আমলের পাল্লা ভারি করতে পারবে আখেরাতের দুনিয়ায় শান্তিতে থাকতে পারবে।

আমাদের সবারই উচিত প্রতিদিন মৃত্যুর কথা স্মরণ করা প্রতিদিন যদি আমরা মৃত্যুর কথা স্মরণ করি তাহলে একটা ভয় আমাদের মাঝে কাজ করবে আমরা খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকব ভালো কাজের দিকে ধাবিত হবে এতে করে আমাদের দুনিয়া এবং পরকাল দুই জগতে আমরা শান্তিতে থাকতে পারবো।
(এখান থেকে আমি যা কিছু বুঝতে পেরেছি)

অতএব একজন মুমিন মুসলমানের যা করা উচিত দুনিয়ায় থাকাকালীন কবরের কথা বেশি চিন্তা করা এসব নিয়ে জিকির করা ফিকির করা।

নিজেকে নেক আমলের দিকে ধাবিত করা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর দেখানো পথে চলা আল্লাহর নির্দেশ গুলো মেনে চলা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া দুনিয়ার মরীচিকার দিকে না গিয়ে নবীজি যা যা করতে বলেছেন সেই কাজগুলো সম্পন্ন করা প্রতিদিন মৃত্যুর কথা একবার হলেও স্মরণ করা।

প্রতি ওয়াক্ত নামাজে আল্লাহর কাছে মোনাজাতে কান্নাকাটি করা এবং বলা যে হে আল্লাহ আমরা জীবনে যতগুলো গুনা করেছি সবগুলো গুনা মাফ করে দাও মৃত্যুর আগে আমাদেরকে সঠিক পথে ধাবিত করো আমরা যেন তোমার দেখানো পথে চলতে পারি সেই তৌফিক দান করো আমরা যেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর অনুসারী হতে পারি সেই তৌফিক দান করো কবরের আযাব থেকে রক্ষা পেতে পারি সেজন্য কবরের প্রশ্নের উত্তর গুলো প্রতিদিন পড়া উচিত।

তাহলেই আমি মনে করি একজন মানুষ দুনিয়ার জগতেও সফলতা অর্জন করতে পারবে আখেরাতেও শান্তিতে থাকতে পারবে এই কাজগুলো আমাদের সবারই করা উচিত কবরের প্রশ্ন গুলো অন্তত দিনে একবার হলেও পড়া উচিত মৃত্যুর কথা দিনে অন্তত একবার হলেও স্মরণ করা উচিত তাহলে আমরা আর খারাপ কাজ করবো না।

আজ এই পর্যন্ত আমার লেখায় যদি কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

আল্লাহর কাছে এই কামনা করি তিনি যেন সবাইকে ভালো রাখেন সুস্থ রাখেন।

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু।

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!
Sort Order:  

Congratulations! This post has been upvoted by the @blurtcurator communal account,
You can request a vote every 12 hours from the #getupvote channel in the official Blurt Discord.Don't wait to join ,lots of good stuff happening there.