গরীব পরিবারকে খাবার প্রদান

হ্যালো বন্ধুরা
কেমন আছেন সবাই? আমি আশা করি সবাই অনেক ভালো আছেন। আমিও অনেক ভালো আছি। জীবনযাপন একটা যুদ্ধের ময়দান। মানুষের জীবনে প্রতিটি মুহূর্ত যুদ্ধ করে পার করছেন। এই জীবন যুদ্ধে যায় জয় অর্জন করতে পারে সেই সফল জীবন উপভোগ করতে পারে। সুন্দর জীবনযাপন করে। আর যে মানুষ পরাজয় হয় তার দুঃখের শেষ থাকে না। তার সারাজীবন শুধু কষ্ট আর কষ্ট। একজন মানুষের জীবনে সফলতা অর্জন করতে অনেক কিছু বিসর্জন দিতে হয়। সুন্দর জীবনযাপনের জন্য একজন মানুষ কত কষ্ট করেন তারপরও অনেক মানুষ জীবন যুদ্ধে পরাজয় বারণ করেন। যারা জীবন যুদ্ধে সফলতা অর্জন করেছেন তারা যদি সাহায্য করেন তাহলে পরাজিত মানুষদের সফলতা অর্জন করতে পারতো। মানুষ মানুষের জন্য এই কথাটি মানুষ ভুলেই গেছে। এখন মানুষ শুধু নিজের চিন্তা করেন। নিজে কিভাবে ভালো থাকলেন কিভাবে জীবনে উন্নয়ন করবেন। কিন্তু তার পাশের মানুষটির দুঃখ বুঝার মত চিন্তাভাবনা বাদ দিয়ে দিছেন। এখন আমরা বলতে পারি মানুষ মানুষের জন্য না। যাই হোক আজকের মূল কথা বলি।

আমাদের সমাজে অনেক সম্পদশালী মানুষ আছেন তেমনি অনেক গরীব মানুষ আছেন। যারা প্রতিদিন খেতেও পারেনা। আমি মনে করি যদি এই সম্পদশালী মানুষগুলো একটা সাহায্য করতো তাহলে এই গরীব মানুষগুলো প্রতিদিন খাবার খেতে পারতো। আমাদের সমাজে এমন মানুষ আছেন যারা ক্ষুধার্ত থাকায় রাতের ঘুম হয় না। কেননা ক্ষুধার্ত পেট খাবার ছাড়া অন্য কিছু বোঝে না। যাই হোক সমাজের ক্ষুধার্ত দূর করতে একজন মানুষের সম্ভব না। সবাই মিলে কাজ করতে হয়তো এটা দূর করা সম্ভব। একারনে আমরা কিছু বন্ধুরা মিলে একটা ক্লাব করেছি। ক্লাবের নাম " আদর্শ সমাজ সেবা" এখানে আমাদের প্রায় ১২০ জন সদস্য আছে। প্রতিজন সদস্যের প্রতি সপ্তাহে অল্প কিছু চাঁদা ধার্য্য করা আছেন। সেই চাঁদার টাকা বেশ কিছু দিন জোগাড় করি। যখন বেশ কিছু টাকা হয় তখন কিছু মানুষকে সাহায্য করি।

গতকাল বৃহস্পতিবার এরকম কিছু পরিবারকে সাহায্য করেছি। আপনার জানেন বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে সকল কাজ বন্ধ। আমাদের সমাজে দিন রোজগার করে দিন খাবার খায় এরকম মানুষ বেশি। দীর্ঘদিন যাবত কাজ বন্ধ থাকায় তাদের জীবনে অনেক সমস্যা হচ্ছে। নেই টাকা নেই খাবার আছে শুধু ক্ষুধার্ত পেট। শুরু করোনা ভাইরাস না রয়েছে আরো দূর্যোগ। আপনারা হয়তো জানেন এই বছর বাংলাদেশে দুইবার প্রচুর বন্যা হয়েছে। বন্যার কারনে মানুষের আরো বেশি অসুবিধা হয়েছে। যাই হোক গতকাল আমাদের ক্লাবের পক্ষ থেকে ২০ পরিবারকে খাবার দিতে সক্ষম হয়েছি। আমরা প্রতিটি পরিবারকে 5 কেজি চাউল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি তেল, ১ কেজি ময়দা এবং রান্না করার জন্য কিছু মসলা দিতে সক্ষম হয়েছি।

খাবার পেয়ে প্রতিটি পরিবারের মুখ্যযা হাসি দেখতে পেয়েছি তা পৃথিবীর সক কিছুর থেকে মূল্যবান। প্রতিটি পরিবার অনেক খুশি হয়েছেন। এই পরিবারগুলোকে আপনিও সাহায্য করতে পারেন৷ করতে পারেন সমাজ সেবা। সমাজ সেবার কাজে যে আনন্দ আছে তা পৃথিবীর কোন কাজেই সেই আনন্দ অনুভব করতে পারিনি। যাই হোক আমাদের জন্য দোয়া করবেন আমরা যেন আরো বেশি বেশি কাজ করতে পারি।

ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ