বন্ধুদের সাথে ভ্রমণ করার মজাই আলাদা।তা যদি হয় আবার শুক্রবারে।আর শুক্রবার মানেই আমার কাছে বিশেষ দিন।শুক্রবার মানেই আমার কাছে ঈদের আনন্দের মতো একটি দিন।কারণ শুক্রবার হচ্ছে আমাদের দেশের সাপ্তাহিক সরকারি ছুটির একটি দিন।
তো বন্ধুরা কিছুদিন আগে এক শুক্রবার বিকেলে বিনোদনের জন্য আমরা বন্ধুরা মিলে প্রকৃতির উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম।সেদিন ছিল শুক্রবার, ০৪ ই সেপ্টেম্বর ২০২০।
আমাদের সেই ভ্রমণের অভিজ্ঞতা আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব।এক শুক্রবার বন্ধুদের সাথে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে আজ আমার বিশেষ আয়োজন।
চলুন মূল আলোচনা শুরু করি,
আমার বন্ধু শুভ চাকরি করে বগুড়াতে।সে বাড়িতে খুব একটা আসে না।যদিও আসে তাহলে সাপ্তাহিক শুক্রবারের ছুটিতে আসে।যেমন সেদিন সাপ্তাহিক ছুটিতে বাড়িতে এসেছিল।আর শুভ বাড়িতে আসলেই বেড়ানোর জন্য আমাকে ও আমাদের অন্য কিছু বন্ধুদের বাড়ি থেকে ডেকে বের করে।তো সেদিন শুক্রবারও এর ব্যতিক্রম ছিল না।সেদিন শুভ বেড়াতে যাওয়ার জন্য আমাদের বন্ধুদের একত্রিত করল।অতঃপর বিকেলে আমরা কিছু বন্ধুরা একত্রিত হলাম।এখানে আমার দুজন বেস্ট বন্ধু ছিল।একজন শুভ ও অন্যজন সাকিব।আমাদের তিনটি মোটরসাইকেল ছিল।শুক্রবার বিকেলে আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলাম।
এরপর আমরা বিকেল চারটায় মোটরসাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।আমি শুভর মোটরসাইকেলে বসেছিলাম, শুভ ড্রাইভিং করছিল আমি পিছনের সিটে বসা ছিলাম।আমাদের উদ্দেশ্য অজানা কোন প্রকৃতির মাঝে যাওয়া।যাতে আমরা মুক্ত বাতাসে সুন্দর সময় কাটাতে পারি।কারণ মহামারী করোনার কারণে শহরের স্থানগুলিতে ভ্রমণ করা দুষ্কর।তাই আমরা মনে করি এই সময়ে গ্রামের মুক্ত প্রকৃতিতে ভ্রমণ করা নিরাপদ।গ্রামের কোলাহলমুক্ত প্রকৃতি, পরিবেশ ও প্রকৃতির নির্মল বাতাস আমাদের জন্য নিরাপদ।সরাসরি বলতে গেলে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালিকে কোন কিছুই থামাতে পারেনা।যত বাধাই আসুক ভ্রমণ প্রেমী মানুষেরা ভ্রমণ করবেই।
ছোট করে ভ্রমণ নিয়ে কিছু কথা,
ভ্রমণ করতে কাহার ভালো না লাগে।ভ্রমণ করতে পছন্দ করে না এমন লোক পৃথিবীতে কমই আছে।আনন্দ ও বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ভ্রমণ।এছাড়া ভ্রমণ করলে মানুষের মন ও স্বাস্থ্য ভালো থাকে।আমার মতে মন ভালো হওয়ার একমাত্র মাধ্যম হচ্ছে ভ্রমণ।প্রায় মানুষেরই ভ্রমণ করা একটি শখ।বাইরের মুক্ত পরিবেশে ভ্রমণ অবশ্যই আপনাকে আনন্দ দিবে।আপনি জীবনের অন্যতম তৃপ্তি এর মাঝে খুঁজে পাবেন।যেমন আমি নিজেও ভ্রমন প্রিয় একজন মানুষ।
তো বন্ধুরা আবার মূল আলোচনায় ফিরে আসি,
আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে অজানা প্রকৃতির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম।আমরা মোটরসাইকেল নিয়ে টাঙ্গাইল শহরের দক্ষিণ দিকে যাত্রা শুরু করি।আমরা প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিনে চলে যাই।২০ কিলোমিটার দক্ষিনে যাওয়ার পর আমরা নতুন একটি রাস্তার সন্ধান পাই।এর আগে বিশেষ করে আমার সে রাস্তা দিয়ে যাওয়া হয়নি।এরপর আমরা সেই রাস্তা ধরে এগিয়ে যেতে থাকে।রাস্তার দু'পাশে রয়েছে গ্রামের সৌন্দর্য, গ্রামের সবুজ প্রকৃতি।রাস্তায় যে ব্রিজগুলো রয়েছে সেই ব্রিজের উপরে গ্রামের মানুষদের বসা দেখলাম।ব্রিজের ওপর মানুষদের বসে থাকা এ দৃশ্য খুবই চিরচেনা একটি গ্রামের দৃশ্য।গ্রামের সহজ সরল মানুষেরা ব্রিজের উপরে দুই পাশে বসে আড্ডা দেয়।আমি মোটর সাইকেলে বসে সেই দৃশ্যগুলোর ছবি তোলার চেষ্টা করছিলাম।ছবিগুলো আমি এখানে শেয়ার করেছি।ছবিতে আপনারা গ্রামের সেই চিরচেনা দৃশ্যগুলো দেখতে পাচ্ছেন।হয়তো মোটরসাইকেলে বসে ছবি তোলার কারণে একটু অস্পষ্ট হয়েছে।কারণ মোটরসাইকেল চলমান অবস্থায় ছিল।অস্পষ্ট হোক তাতে কি হয়েছে, আমিতো গ্রামের চিরচেনা দৃশ্যগুলো দেখানোর চেষ্টা করেছি।এগুলো ভ্রমন বিনোদনের অংশ।
এরপর যেতে যেতে আমরা একটি ব্রিজের সন্ধান পাই।মানে আমরা আমাদের চলমান সেই রাস্তায় একটি ব্রিজ দেখি।সেই ব্রিজের আশেপাশের সৌন্দর্যে আমরা মুগ্ধ হয়েছিলাম।এরপর আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম সেই ব্রিজের উপর দিনের বাকি সময়টা কাটাব।এরপর আমরা আমাদের মোটরসাইকেলগুলো এক সাইটে থামিয়ে ব্রিজের উপর গিয়ে দাঁড়ালাম।ব্রিজের পাশে ছিল অগনতি সবুজ প্রকৃতি ও গ্রামের বিশাল বিল।সেখানকার চারদিকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে আমরা সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যাই।বিলের পানিতে গ্রামের অনেক মানুষ মাছ শিকার করতেছে তারা মাছ শিকারের জন্য বিভিন্ন ধরনের জাল ব্যবহার করতেছে।ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে আমরা তাদের মাছ শিকারের দৃশ্য গুলো দেখছিলাম।আমি সেখানকার এক লোককে জিজ্ঞেস করলাম ভাই এই গ্রামটির নাম কি, সে আমাকে বলল এই গ্রামের নাম জাঙ্গালিয়া।গ্রামটি টাঙ্গাইলের উপজেলা দেলদুয়ারের ভিতরে অবস্থিত।
তো আমরা ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে অনেক সুন্দর সময় পার করছিলাম।দুইপাশের সবুজ প্রকৃতির সৌন্দর্য অবলোকন করছিলাম।গ্রামের সহজ সরল মানুষদের মাছ ধরা দেখছিলাম।জায়গাটি আমাদের কাছে অচেনা কিন্তু দৃশ্যগুলো ছিল অতি চিরচেনা।কারণ বাংলাদেশের ৬৮ হাজার গ্রামের দৃশ্যগুলো প্রায় সবই একই চিরচেনা।এরপর আমি সেই চিরচেনা দৃশ্যগুলোর ছবি তুলছিলাম।আমি আমার ব্যবহৃত স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে সমস্ত ছবি তুললাম।ছবিগুলো আমি আপনাদের মাঝে এখানে শেয়ার করলাম।ছবিতে আপনারা আমাদের ভ্রমণের সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখতে পাচ্ছেন।
এরপর দেখলাম পশ্চিম আকাশে সূর্য লাল হয়ে আসছে।মানে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলো।তখন আমরা বাড়িতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম।এবং সন্ধার পর পর আমরা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
বন্ধুরা, এই ছিল এক শুক্রবার বিকেলে আমাদের বিনোদনের জন্য একটি ভ্রমণের গল্প।এটি ছিল আমাদের জন্য একটি সুন্দর মুহূর্ত এই ভ্রমণটা আমরা বন্ধুরা উপভোগ করেছি।তাই আমাদের ভ্রমণের এই সুন্দর মুহূর্ত গুলো আপনাদের মাঝে প্রকাশ করলাম।আশা করি আপনারা আমাদের এই ভ্রমণের গল্পটি ও ভ্রমণ মুহূর্তের ছবিগুলো পছন্দ করবেন।
সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন।আপনাদের শুভকামনা জানিয়ে এখানেই শেষ করছি।
Blurtbd tag second number used please.
Ok
Congratulations, your post has been curated by @blurtlife.
To get more support please follow @blurtlife and share your life-related content by using #blurtlife tag.
Hello, Blurtter!
Congratulations! Your post has been selected for BlurtBD Curation Project. Manually curated by @Looking & @Shimu840. Keep it up the good work.
@BlurtBD is a manual curation project that supports all those talented authors who can contribute quality things to our Blurt Community.
Use tag #BlurtBD and Join our Blurt Bangladesh Discord Community for more support. Thank you.