Travel time photography

অনেকদিন পর অফিস ছুটি পেলাম। আর তাই সব বন্ধুরা মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম ঘুরতে যাব।আর এটাও সিদ্ধান্ত হল কোথায় যাব জায়গাটা খুব একটা দূর না আমার বাড়ি থেকে প্রায় 10 কিলো দূরে একটা রেললাইন। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত করলাম সেই রেল লাইনের ঘুরতে যাব।

লাঞ্চ শেষ করে বিকেল চারটার দিকে বের হলাম সেখানে পৌছাল থেকে প্রায় 5 টার মত বেজে গেল। বিকেলবেলা রেললাইনের উপর দিয়ে হাঁটার মজাটাই অন্যরকম। এবং বিকেল বেলা সেখানে লোকজনের অনেক ভিড় জমে যায়। কেবল বিকেলবেলা আছি এখানকার পরিবেশটা অনেক সুন্দর হয়। এবং সেখানে ফুচকা ঝাল মুড়ির দোকান বসিয়ে জন্য আমরা বিকেলবেলায় সেখানে আসলাম।

কিছু সময় রেললাইনের উপর হারতে হারতে যাওয়ার পর।একটা জায়গায় দেখতে গেলাম সেখানে যেন ও প্রকৃতি ঢলে পড়ছে রেললাইনের দু'বাসের রাস্তায় সুন্দর গাছ লাগানো দেখে এত ভালো লাগলো যে একটা ছবি না উঠাইয়ে পারলাম না। এমনিতেই আমি ফটোগ্রাফি খুব পছন্দ করি আর এরকম জায়গা দেখে ছবি না ওঠে যেন মনকে বুঝাইতে পারলাম না।

রেললাইনের উপর হাঁটার মজাই অন্যরকম যে রেললাইনের উপর কখনো হাঁটেনি সে হয়তো তার মজাটা বুঝতে পারবে না কিছু সময় আরও সামনের দিকে যাওয়ার পর হঠাৎ দেখি রেললাইনের পাশে একটা ফুলের বাগান গুলো যেন সুন্দর ফুটে ফুটে রয়েছে দেখে এত ভালো লাগল যেন বারবার তাকিয়ে দেখতে মনে যায়। তারপর ফুলের বাগানের দিকে এগিয়ে গেলাম এবং তার ভিতরে একটি ফুল অনেক ভালো লাগলো ফুলটার একটা ছবি উঠালাম

তারপর আবার রওনা হলাম স্টেশনের দিকে। সেখানে দেখি ফুচকা এবং ঝাল মুড়ি দোকানে যেন ভিড় জমে গেছে। তারপর আমরা সবাই মিলে ফুচকার দোকানে । ফুচকা খেতে যাবে ফুচকা খাওয়া শুরু করলাম ফুচকা খাওয়া শেষ করে আবার চলে গেলাম ঝাল মুড়ি দোকানে। সেখানকার ঝাল মুড়ি নাকি অনেক ভালো হয় সত্যি, সত্যি তাই

খাওয়া-দাওয়া শেষ হতে না হতেই কখন যে সন্ধ্যা হয়ে গেল বুঝতে পারলাম না ।অনেকদিন পর সব বন্ধুরা মিলে ঘুরতে বেরিয়েছি তাই অনেক ভালো লাগছে ।বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার ইচ্ছে যাচ্ছে না তারপরও কিছু করার নাই কারণ সন্ধ্যা হয়ে গেছে বাড়িতে যেতেই হবে তাই সবাই মিলে রওনা হলাম আমার বাড়ির দিকে। বাড়িতে এসেও যেন সেখানকার স্মৃতি রেললাইনের উপর দিয়ে হাঁটা।সেই ফুলের বাগানের ফুলগুলো সেই ফুচকার দোকানের ফুচকা এবং ঝাল মুড়ি ঝাল মুড়ি এগুলো জন্য ভুলতে পারছিনা