পরিবর্তন নাকী সংসারের নিয়ম। এই পৃথিবীর সবকিছুই নাকী পরিবর্তন হয় স্থান কাল ক্ষেএবিশেষে। কিছু কিছু পরিবর্তন মানুষের অনিচ্ছা সত্বেও হয়ে যায়। কারণ তার জন্য সেটাই উওম। আবার কিছু কিছু পরিবর্তন মানুষ নিজের ইচ্ছায় করে থাকে। আপনার আমার পরিবর্তনে আশপাশের মানুষ গুলো অনেক কথা বলতে পারে। আপনি যদি ভালো থেকে খারাপ হন তাও বলবে আবার যদি খারাপ থেকে ভালো হন তাও বলবে। আসল কথা আপনার যেকোনো পরিবর্তন অন্যের চোখে জ্বালা ধরাবে। আবার কিছু মানুষ আছে যারা আমাদের প্রকৃত শুভাকাঙ্খি তারা আমাদের যেকোনো ভালো পরিবর্তনে এপ্রিশিয়েট করবে। তবে মানুষের পরিবর্তন মানুষের উপর যতটা না প্রভাব বিস্তার করে তার থেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করে পরিবেশের পরিবর্তন।
এই কথাটা বলার কারণ বিগত কিছুদিনের আবওহাওয়া। আপনাদের অঞ্চলের কী অবস্থা সেটা বলতে পারব না। তবে আমাদের অঞ্চলে শীত কিন্তু প্রায় আগত। শেষ রাতে তো বেশ ঠান্ডা লাগে আবার ভোরে চারিদিকে কুয়াশাও দেখা যাচ্ছে। ঠিক সেই সঙ্গে শরীর ত্বকেরও একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এবং সবচেয়ে বড় কথা গোসলের সময় পানি টা বেশ ঠান্ডা লাগছে। অর্থাৎ ঋতুর পরিবর্তন হচ্ছে। সেই সাথে বদলে যাবে অনেক কিছু যেগুলোর সঙ্গে আমরা ছোট থেকে অভ্যস্ত। শীত আমার বেশ ভালোই লাগে। তবে আমাকে যদি বলেন তাহলে আমি দুপুরের গোসল এবং সকালে ঘুম থেকে উঠা এই দুইটা স্কিপ করব। কারণ শীতের সময়ে সবচেয়ে বিরক্তিকর এটাই। সেই শীত এসে গেছে। যদিও শহর অঞ্চলে নাকী এখনো বেশ গরম আছে। কিন্তু গ্রাম অঞ্চলের ব্যাপার টা আলাদা। আমাদের এডমিন শুভ ভাই নিজের বিগত একটা পোস্টে এইরকম কিছু নিয়ে আলোচনা করেছিল। যাইহোক এটা তো গেল ঋতু পরিবর্তন যেটা মানুষের উপর সামান্য প্রভাব বিস্তার করে। যেটার সঙ্গে আমরা বেশ ভালোভাবে পরিচিত।
কিন্তু বর্তমানে যেটা পুরো বিশ্বের মানুষের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা হলো জলবায়ু পরিবর্তন। কোনো স্থান বা এলাকার ৩০ বছরের গড় আবওহাওয়াকেই জলবায়ু বলে। কিন্তু এই জলবায়ু যখন পরিবর্তন হয় তখন সেটা বেশ বিরুপ প্রভাব বিস্তার করে মানুষ এবং প্রাণীকূলের উপর। যে প্রভাব এর ফলাফল ঋতু পরিবর্তন এর থেকেও ভয়াবহ হতে পারে। একটি দেশ বা অঞ্চলের জলবায়ু যখন পরিবর্তন হয় তখন সেই দেশের মানচিএ পযর্ন্ত বদলে যেতে পারে। দিনে দিনে গ্রীন হাউজ ইফেক্ট এর কারণে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়ছে। এছাড়া ফসিল ফুয়েল এর মাএাঅতিরিক্ত ব্যবহার তো আছে। এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি কিন্তু বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য ক্ষতিকর। হয়তো এর ফলে অন্যান্য দেশ গুলো ক্ষতিগ্রস্ত হবে কিন্তু বাংলাদেশের মতো নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য সেটা আরও বিরুপ হতে পারে।
আপনারা অনেকেই এমনটা শুনেছেন যে ২০৫০ সালের দিকে বাংলাদেশর অর্ধেক বা একটা অঞ্চল পানির নিচে চলে যাবে। হ্যা এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এর পেছনে রয়েছে এই জলবায়ু পরিবর্তন এবং এই অব্যবস্থাপনা। এইরকমটা হলে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানী হবে এবং যারা বেঁচে থাকবে তারাও মানবেতর জীবন যাপন করবে। না হবেই আমি এমনটা বলছি না। তবে এর সম্ভাবনা আছে। এইরকম অনাকাঙ্খিত দূর্যোগের প্রধান কারণ হলো জলবায়ু পরিবর্তন। উদাহরণ হিসেবে আপনারা এবার বর্ষাকালের উদাহরণ নিতে পারেন। এবার বর্ষাকালে বৃষ্টি ছিল না বললেই চলে। মাঠ ঘাঠ একেবারে খা খা করছিল। এটার পেছনেও রয়েছে ঐ জলবায়ু পরিবর্তন। এখন কথা এমনটা হলে আপনার আমার কী করার আছে। না আমাদের অনেক কিছু করার আছে। এক্ষেত্রে প্রকৃতির স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে দিতে হবে। আমরা নিজেদের সুবিধার জন্য প্রকৃতিকে যেভাবে ইচ্ছা ব্যবহার করছি। এখন প্রকৃতি তার স্বরুপে ফিরলেই আমরা অসহায়। যেটার প্রমাণ ছিল কয়েকদিন আগে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় সিএাং। মানুষের কর্মের ফল মানুষকেই বহন করতে হবে সেটা যেভাবেই হোক না কেন।।