এদের দেহ কাইটিনময় বহি:কঙ্কালে নির্মিত।এটির দেহ তিন খন্ড বিশিষ্ট (মস্তক, বক্ষ ও উদর), তিন জোড়া সন্ধিযুক্ত পা, জটিল পুঞ্জাক্ষি , তিনটি সরলাক্ষি, এক জোড়া অ্যান্টেনা(শূঙ্গ) বহন করে। ঘাস ও লতাপাতার মধ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে চলে বলে এদের নাম হয়েছে ঘাস ফড়িং।
[Sorsce](https://pixabay.com/photos/grasshopper-insect-close-up-8924594
বাসস্থানঃ ঘাস ফড়িং ঘাস,পাতা,শস্যের কচিপাতা আহার করে সে কারণে এমন ধরনের নিচু বসতি এদের পছন্দ । মূলত সব ধরনের বসতিতেই বিভিন্ন প্রজাতির ঘাসফড়িং দেখা যায়।স্বাদুপানি ও ম্যানগ্রোভ জলাশয়ে যেহেতু পানির উঠানামা বেশি হয় এবং ডিম পাড়ার স্থান প্লাবিত হয়ে যায় সে কারণে এসব বসতিতে ঘাসফড়িং কম বাস করে। প্রতিকূল আবহাওয়ায় এরা বিপুল সংখ্যায় পরিযায়ী হয় ; তখন এরা দিনে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত যেতে পারে। সারা বিশ্বে এ পর্যন্ত প্রায় বিশ হাজার ও বাংলাদেশে বিশ প্রজাতির ঘাসফড়িং শনাক্ত করা হয়েছে ৷ সাধারণ কয়েকটি প্রজাতির মধ্যে আছে, Schistocerca americana, Romalea microptera, এবং Poekilocerus pictus.
[Sorsce](https://pixabay.com/photos/grasshopper-insect-red-animal-bug-2655486/
খাদ্য: ঘাসফড়িং তৃণভোজী বা শাকাশী প্রাণী। ডিম থেকে ফোটার পরপরই, নিম্ফ অবস্থায় ঘাসফড়িং চারপাশের যে কোন ছোট ছোট, সহজপাচ্য গাছ, ঘাস বা নতুন কোমল শাখা-প্রশাখা খেতে শুরু করে। দু'একবার খোলস মোচনের পর একটু বড় হলে শক্ত উদ্ভিজ খাবার গ্রহণ করে। তরুণ ঘাস ফড়িং পূর্ণাঙ্গদের মতই নির্দিষ্ট উদ্ভিজ খাবার গ্রহণ করে। তখন খাদ্য তালিকায় ঘাস,পাতা ও শস্য প্রধান খাবার হিসেবে উঠে আসে । বেশির ভাগ ঘাসফড়িং অনেক প্রজাতির উদ্ভিদ থেকে আহার সংগ্রহ করে, দু'একটি প্রজাতি সুনির্দিষ্ট উদ্ভিদ থেকে আহার গ্রহণ করে।
[Sorsce](https://pixabay.com/photos/grasshopper-insect-nature-close-up-8772856/