২০০৭ কি ২০০৮ হবে সবে মাত্র কয়েক মাস হয়েছে ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে পদার্পন করিয়াছি বটে, তবে আনন্দ পাইতে ছিলাম না। আমার চাচাতো ভাই সাইফুল অবশ্য বেজায় রসিক এবং মাজর মানুষ তাই আর ভাবনা চিন্তা না করে রওনা করিলুম তাহার বাড়ির পথে। তাহর বাড়িতে পৌছে মন টা ভাল হয়ে গেল সারাদিন ঘুরাঘুরি ও আড্ডা শেষে রাতে তাশ লইয়া বসিলাম।এ খেলায় আমি পাকামাল তারপর ও কপাল বেজায় খরাপ থাকায় হারলুম কি আর করা পকেট থেকে কুড়ি খানা টাকা গুনিয়া দিলাম।
রাতে ঘুমালাম দুই ভাই একই বিছানায় রাত যখন ১ টা ভাই মোর ঘুম থেকে জাগিল, আমাকে ও যথারীতি ডাকিয়া তুলিল যাক কিছু মনে না করে উঠিলাম লাফ মেরে। ঘন অন্ধকার রাত এক হাত দুরে কি আছে সেটিও ভাল করে দেখা যায় না। বিদুৎ এর আলো তখনো এখানে পৌছুই নি।
যথারীতি দুজন বের হলাম। সাইফুল আর আমি অন্ধকার এ ই বেরিয়ে পড়লাম। দুইটি গাছ থকে ডাব পেড়ে দুজনে সমনে হাটছি কিন্তু হঠাৎ প্রেসাব চাপ দেওয়ায় দুজনেই বসে পড়লাম একটি গাছের নিচে।গাছটি যে তেতুল গাছ ছিল সেটা খেয়াল করিনি। হঠাৎ সাইফুল বলল"লাথি মারলি কেন?"আমি উত্তরে বললাম"তোকে কেন লাথি দেব হে।" আবার সাইফুল বলল লাথি কেন দিচ্ছিস।আমি জবাব দেওয়ার জন্য ঘুরতেই ওকে আর দেখতে পেলাম না কিন্তি, এটা নেহাত টের পাচ্ছিলাম আমার ঘাঠের কাছ দিয়ে একটি পা এর নখ ঘসছে।কিছু চিন্তা না করেই পা টি ধরে বসলাম, কিন্তু ঘাড় ঘুরাতেই সাদা কাপড়েে ঋুলন্ত কেউ ভয়ে আঁতকে উঠলাম।কেথায় কি আছে না ভেবে দৌড় একটি গাছর সাথে মাথায় আঘাত পেয়ে ওখানেই পড়ে গেলাম।Source
চোখ খুলে দেখলাম লোকজন ঘীরে ধরেছ আমাকে প্রশ্ন করতে বাকি রাখলাম না যে আমি এখন কেথায়। উত্তর আসল আমি সাইফুল এর ঘরে প্রশ্ন করলাম সাইফুল কোথায় বলল সে ঠিক আছে কিন্তু তার পা ভেঙে যাওয়ায় সে হাসপাতাল। আমি কিছুটা আতংক সহকারে হয়ে রাতের ঘটনা তাদের বললাম।
তখন তারা বলল আসলে ওখানে কোন ভুত বা অশরীরীয় কিছুই ছিল না। পাশের বাড়ির একটি মেয়ে ওখানে গলায় দড়ি নিয়ে মারা গেছিল ওই দিন রাতে। আসলে ভুত বলতে কিছু নেই তবে কিছু কিছু ঘটনা ভৌতিক গল্পকেও হারমানায়।