সাল ১৯৭৬ দেশ তখন সবেমাত্র স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন দেশের স্বাধীন চেতনা যুক্ত এক মানবের নাম জগড়ু।স্ত্রী, দুই মেয়ে আর মা বাবা নিয়ে ছিল তার সংসার। উপায় অন্তর না পেয়ে একটি চা এর দোকান নিলেন ফেরীঘাট এর এক কোনে।source
বাঙ্গালীর স্বাধীননতার পর দেশটা একটি ধ্বংসস্তুপ এ পরিনত হয়েছিল। যার জন্য কর্মের যে মর্ম ছিল না তা জগড়ু হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছিল।সারাদিন দোকান এ থাকে কিন্তু কাস্টমার এর বড্ড অভাব কারন তখন মানুষের পকেট ছিল ফুটা। আর হ্যা বলে রাখা ভাল জগার দোকান ছিল নদীর পাশে ই।কথায় আছে মেঘের আড়ালে সূর্য থাকে আর রাতের পরেই কিন্তু দিন আসে। জগার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হল না। দিন দিন দোকানের কেনা বেচা বেড়ে যাওয়ায় জগা নিজের বাড়ি করল দোকানের পিছনেই।মেয়ে বৌ আর বাবা মা নিয়ে দিন ভালই কাটছিল কিন্তু, টাকার আসক্তি তে জড়িয়ে পড়েছিল সে। ২৪ ঘন্টার ২০ ঘন্টাই সে দৌড়ে চলেছিল টাকার পিছে।
পরিবার এর লোকজন কে দিতে খুব বেগ পেতে হচ্ছিল তার এ আসক্তির জন্য হ্যা টাকার আসক্তি।আসক্ত যে কোন কিছুর উপর হতে পারে সে হোক টাকা বা কাজ না নেশা। তবে জগা হয়ে ছিল টাকার নেশায় আক্রান্ত। পরিবারে লোকজন এর কোন কারনে ডাকলে সে দিকে খেয়াল ছিল না তার না খেয়াল শুধু তার টাকার দিকে কিভাবে টাকা হবে। হঠাৎ একদিন প্রচন্ড বৃষ্টি। রাত তখন ২ টা নিজ বাড়িতে ছিল সে। কিন্তু ও যে বললাম নেশা মানুষ পাল্টে দেয়। বাড়ির দোকানের কোন ক্ষতি হয় কিনা এই চিন্তায় সে দোকানে চলে গেল।
সারাদিন এবং রাত ১২ টা পর্যন্ত দোকান করায় শরীর ক্লান্ত থাকায় দোকানেই ঘুমিয়ে গেল জগা। সকালে ঘুম যখন ভাঙ্গল তখন জগড়ু শুধু নিরব চোখে তাকিয়ে রইল। নির্বাক এই নেশা গ্রস্ত মানুষের মুখ থেকে বের হচ্ছিল আমি কি করলাম হায়!আমি কি করলাম!কিন্তু এ চিন্তা যখন তার মনে ততক্ষনে যে সর্বনাশা পদ্মার ভয়াল থাবা তার খুকি ও পরিবার কেড়ে নিয়েছে।যদি সে মধ্য রাত পর্যন্ত দোকান এর খেয়াল না করে বাড়ির খেয়াল দিকে খেয়াল করত তাহলে হয়ত বেঁচে থাকত তার খুকি তার পরিবার।
নিজের পরিবার কে সময় দিন। নেশা এবং আসক্তি থেকে মুক্ত থাকুন,সুস্থ থাকুন,ঘরে থাকুন।
Who am I?
My nme is Faysal. I am citizen of Bangladesh . I am aslo a photographer . I love travelers very much and love to serve them.Anyone can contact me
you can contact me on discord user nme @faysal72#4722
I like the native language.
😍