যোদ্ধার আত্নকথন

in blurt •  4 years ago 

সন ১৯১৪ গল্পটা যখন লিখছি তখন হয়ত আমার অস্তিত্ব নিশ্চতেজ বললেই চলে। প্রথম বিশ্ব যুদ্ধের দা মামা বেজেছে সবে মাত্র এর ভিতরেই চারিদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়েছিল। আমি হব এখানকর ই কোন নাম না জানা এক শহরের সরকারের পেয়াদা।সরকারের পেয়েদা বললে কিঞ্চিৎ ভুল হবে জনগনের সেবক বলাটাই বাঞ্ছনীয়। এখানে চিকিৎসক বলতে পুরো শহরে একজন এবং আমি তাহার সহযোগী। ১৯১৫ সাল যুদ্ধ টা তখন পুরো পুরি শুরু হয়েছে,আমার এবং ডাক্তার সাহেবের ডাক পড়ল তখন যুদ্ধের ব্যারাকে।explosion3080734_1920.jpgsource
ব্যারাকের অসুস্থ রোগীর সেবাই তখন আমার কাজ ছিল। এখানকার গোলা বারুদ এর শব্দ গুলো দু তিন মাস শুনতে শুনতে এখন আতশবাজি এবং পটকার মতই মনে হয়।তবে মজার বিষয় টা হল এখানে মৃত্যু যে কখন কিভাবে আসবে,তা বলার সাধ্য কাহারো নেই তবে,মোটেই মৃত্যু ভয় কাজ করছে না এই রণ ভুমিতে। হঠাৎ একদিন ব্যারাকে দেখলাম শত্রু পক্ষের কিছু লোক কে ধরে আনা হয়েছে এখানে। সচরাচর শত্রুদের যেখানে পরিলক্ষিত হয় সেখানেই মেরে ফেলা হত তবে আজ একটু ব্যতিক্রম দেখে অবাক হলাম। আমি কৌতুহল বসত বন্দীদের নিকটস্থ হলাম তবে সেখানে তাদের নির্যাতন দেখে সয্য করতে না পেরে ফিরে আসতে হল।


রাতে যখন ঘুমুতে যাচ্ছিলাম চোখের পাতায় যেন বার বার ভেসে আসছিল অসয্য বাথায় কাতর সৈনিক ও তাদের অঘাত ও ক্ষতর দৃশ্য।কৌতুহল যে সব সময় ভাল নয় তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছিলাম। কি আর করা শত্রু না বন্ধু না ভেবেই ফাস্ট-এইড বক্স টা নিয়ে বন্দীদের উদেশ্যে যাত্রা।আলোর সল্পতা থাকায় কয়েদিদের ভাল দেখা যাচ্ছে না তাদের কাছে পৌছুতেই হঠাৎ গুলির শব্দ। হ্যা গুলিটা আমাকেই করা হয়েছে তাও বুঋতে পারলাম যখন দেখলাম ডান কাধ দিয়ে রক্ত।হাত উপরে তোলার আগেই আরো দুটো গুলি কি আর করা ফাস্ট -এইডের বাক্সটা ছুড়ে দিলাম বন্দীদের দিকে। পড়ে রইল আমার নিথর দেহ এবং পকেটে থাকা নিজের দিনলিপিটি।তবে বন্দীদের দিকে ছুড়ে দেওয়া ফাস্টএইড বক্সটা কিছু টা হলেও তাদের ব্যথা লাঘব করেছিল।
hivedidver1.gif

উপরের গল্পটি আমার লেখা একটি মানবতার সেবক এর আত্মকাহিনী।<

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!