২৩ ফেব্রুয়ারী হঠাৎ মেঘ হঠাৎ সূযের উকি মারা আবার কখন মৃদু বৃষ্টি হলেও প্রচন্ড গরম একটি দিন অবহিত করলাম। আশা করছি আপনাদের দিনটা ভালই কেটেছে। যাই হোক এক বালক তার ঠাকুমা এর নিকট একটি গল্প শুনতে চাইল তো দাদী শুনিয়ে দিলেন রমেশ এর কাহীনী।
Source
এ একবহু পুরোন কম্মোকার এর ঘটনা। বহুকাল আগে একখানি কমার ছিল গায়ে নাম রমেশ। পরিবারে মা বৌ এবং এক ছেলে নিয়ে ছিল রমেশের পরিবার। রমেশ সকালে দু মুঠ পান্তা-পানি খেয়ে হাতুড়ি খানা আর কয়লার বোঋা লয়ি ৪ ক্রোশ যাত্রা করি দোকানে পৌছুত। পাহাড়ী রাস্তা, বাড়ি থেকে দোকান অভিমুখ পাহাড়টি ছিল উর্ধমুখী যার দরুন কয়লার বোঝাখানির যাবার সময় তিনগুণ বেশি ভার অনুভুত হইত। কি আর করা যাহা রোজগার হইত তার থেকে বেশি খাটুনি করেই পয়সা কামাই করত এ রমেশ।
রমশের পাশে ও আরেক খানি কামার এর দোকান ছিল সুধিরাম এর।সুধিরাম এর আবার ৪ ক্রোস পদযাত্রা করা লাগিত না সুধিরাম এর বাড়ি থেকে দোকান দুইক্রোশ দুরে। সম্পর্কে সুধিরাম এবং রমেশ ভালবন্ধু। দিন শেষ কুপির তৈল ক্রয় করিয়া এ কম্মোকরদ্বয় একই সাথে একই রাস্তা দিয়ে ঘরে ফিরিত। একদিন তপেশ সুধিরাম কে জিজ্ঞেস করিয়া ফেলল,
পার করিতেছ বেলা হায়্
দাদা হে আমার,হইবে কি সেদিন আমার.!
যেকালে বল যায়।
হইবে কি আমার যেকালে আমার
কন্ধে বল নাহি পায়।
সারাদিন আগুনের কর্ম করে দিন শেষে নতুন কয়লা কিনে নিয়ে বাড়ি ফেরে এবং সকাল হলে সেই বস্তা ঘাড়ে করে দোকানে ছুটতে হয় কারন তখনকার সময় তালা চাবি তৈরি হয়নি কো বাহু আর চোরের ও অভাব নাহি। হঠাৎ একদিন রমেশের গায়ে জ্বর জ্বর ভাব হালকা বৃষ্টি ও হচ্ছে লম্ফের আলোয় পথ চলতে চলতে পা পিছলিয়ে গেল। উপর থেকে বেশখানিক দুর গড়িয়ে নিচে পড়ল রমেশ।
প্রচন্ড পরিমান ঘাড়ে আঘাত পেল কিছু কাজে যাওয়া হল না রমেশের বেশ কিছু দিন। তর পর সুস্থ হয়ে কাধে বোঋা নেয়া টা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। বহন করা খুবই কষ্ট সাধ্য হচ্ছিল এক প্রাকার মরতে মরতে দোকানে এসে পৌছুলো রমেশ। রমেশ তখন বসে ভাবনা চিন্তা শুর করল কিভাবে কাধে বহন না করে মাল বাহন করা যায় কারন এভাবে কাধে বহন যে তার দ্বারা আর সম্ভব নয়।
রমেশ বড্ড চমৎকার একজন কম্মোকার ভাবতেই থাকল এবং ভাবতেই থাকল সকাল থেকে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হল বাড়ি ফেরল না। রাতে কয়লার বস্তায় মাথা দিয়ে যখন চাদ দেখছিল তার গড়িয়ে পড়ার কথা মনে পড়ে এবং আবিষ্কার করে কোন জিনিস গোল হলে সেটা সহজেই মাটির উপর টানা বা ঠেলা সহজ।
আজব কামার পরদিন সকালেই লোহার রিং বানানো শুরু করল এবং বানিয়ে ফেলল দুইখানি চাকা। প্রতিদিন এ দুচাকায় আটকে টেনে তার কয়লা আানা এবং রাতে আনন্দেে সাথে খুব সামান্য কষ্ট করে বাড়ি ফিরত। কিন্তু তার এ কাজ দেখে লোক তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত। রমেশ আক্রান্ত হল দুরারোগ্য বাধিতে মারা ও গেল। রয়ে গেল তার চাকা দুখানি। পরবর্তীতে মানুষ চাকার ব্যবহার শুরি হল এখন এমন পর্যায় এসেছে মানুষ এখন রমেশের র থেকে লোহার তৈরী রেল ও বানিয়ে ফেলেছে।তখনকার সময় সেছিল অসফল কিন্তু তার কর্ম আজ হাজারো বছর পর তাকে বানিয়েছে সফল।
আপনার কর্ম আপনাকে সফলতা এনে দিবে। সৎ পথে থাকুন সৎকর্ম করুন।
Who am I?
My nme is Faysal. I am citizen of Bangladesh . I am aslo a photographer . I love travelers very much and love to serve them.Anyone can contact me
you can contact me on discord user nme @faysal72#4722