Happy Birthday Mahmudullah Riyad

in blurt •  3 years ago 

আমাদের বাংলাদেশের ফিনাশার, সাইলেন্ট কিলার যদি বলি তাহলো সবার মাথায় একজনরেই নাম আসবে আর তিনি হলো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাংলাদেশের অনেক ম্যাচ জেতানোর নায়ক।

বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশের অভিষেক হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে ৬ বার অংশগ্রহণ করে ফেলেছে। তবে ৪ টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো প্লেয়ারই বিশ্বকাপের মঞ্চে দেখা পায়নি সেঞ্চুরি। সম্ভবত ২০০৭ সালে মোহাম্মদ আশরাফুল ৮৭ রানের মতো ইনিংস খেলছিল৷ আবার ২০১৫ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিল ৯৫ রান।

এরা সবাই সেঞ্চুরির কাছাকাছি গেলেও দেখা পায়নি বহুলকাক্ষিত সেঞ্চুরি। বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরির অভিষেক এনে দিয়েছে আমাদের এই সাইলেন্ট কিলার। বিশ্বকাপেই সে করেছিল ওডিআইতে তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে থেমে থাকেনি, তার পরের ম্যাচেই শক্তিশালী নিউজল্যান্ডের বিপক্ষেও করেছে ১২৫ রানের মারকুটে ইনিংস।

যদি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অন্যতম দুইটি ফিনিংশের কথা বলি, তাহলো আমার সে দুটি ম্যাচেই মনে পড়ে। সে দুটি ম্যাচের মধ্যে একটি হলো চ্যাম্পিময়স ট্রফির গ্রুপের পর্বের নিউজল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটি। যে ম্যাচে বাংলাদেশের হার ১০০ ভাগের মধ্যে ৯৫ ভাগই নিশ্চিত, কেউ ভাবেইনি বাংলাদেশ সে ন্যাচ জিতবে। যেখানে নিউজল্যান্ডের বোলারদের সামনে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা দাঁড়াতেই পারছিল না।

তামিম, মুশফিকের মতো প্লেয়াররা ম্যাচের শুরুটা ভালোভাবে করতে পারেনি৷ যেখানে খুব অল্প রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায়, সে অবস্থা থেকে সাকিবের সঙ্গে দারুণ একটি জুটি গড়ে তুলে মাহমুদউল্লাহ। সাকিব ম্যাচটা এনে দিলেও শেষ করে মাঠ ছাড়তে পারেনি, বরাবরের মতো শেষটা করে মাঠ ছেড়েছে আমাদের সাইলেন্ট কিলার৷

আর আরেকটি হলো নিদিহাস ট্রফির শ্রীলঙ্গার বিপক্ষে ম্যাচটি, যে ম্যাচটি জেতা আমাদের খুব প্রয়োজন ছিল। সে ম্যাচে প্রায়ই আমরা হেরে যাচ্ছিলাম, বলতে গেলে হেরে গেছিলাম। শেষের দিকে ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ১০, ১১ রানের মতো লাগতো। বোলিংয়ে ছিল উদানা আর ব্যাটিংয়ে ছিল মুস্তাফিজুর রহমান, প্রথম দুই বল যায় ডট। যদিও দ্বিতীয় বলে মুস্তাফিজ রান আউট হয়। তাতে স্টাইকে আসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তখন প্রয়োজন ছিল ৪ বলে ১০,১১ রানের মতো।

প্রথম বলে খুব সম্ভবত দুই রান নেয়, দ্বিতীয় বলে ওয়াইড বল দূর্দান্তভাবে চার মেরে দেয় মাহমুদউল্লাহ। আর ২ বলে প্রয়োজন ছিল খুব সম্ভবত ৬ রান। আর ১ বল হাতে রেখে দারুণভাবে ছয় হাঁকিয়ে ম্যাচটি জয় এনে দেয় আমাদের এই সাইলেন্ট কিলার।

তাছাড়া আরো অসংখ্য ম্যাচ জয় এনে দিয়েছে এই সাইলেন্ট কিলার৷ ইতিমধ্যে টেস্ট থেকে অবসর নিয়ে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহ। ওডিআই এবং টি-২০তে করে যাচ্ছে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স। বিপিএলেও অসাধারণ পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে মাহমুদউল্লাহ সাথে ক্যাপ্টেন্সিও করছে দারুণভাবে।

আজকের এই দিনে পৃথিবীতে এসেছিল আমাদের এই সাইলেন্ট কিলার এবং ফিনিশার। সামনের দিনের জন্য শুভ কামনা এবং ওডিআই এবং টি-২০ তে দারুণ পারফরম্যান্স করবে আশা করি।

শুভ জন্মদিন দ্যা সাইলেন্ট কিলার 🎂❤️
Happy Birthday Mahmudullah Riyad 🎂❤️

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!