বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু ।
প্রিয় সাথী বৃন্দ, আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহর রহমতে আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি সুস্থ আছি। আজকে আমি অযথা তর্ক করা নিয়ে কিছু কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই এই পোস্টটি আপনাদের সকল স্বাগতম এবং অভিনন্দন।
অযথা তর্ক করা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালাম নিষেধ করেছেন। অযথা তর্ক মানুষকে ওজনহীন করে দেয়। আমাদের পারিবারিক সামাজিক হাট বাজার ঘাট যেখানেই মানুষের সমাবেশ বিভিন্ন কর্মস্থলে মানুষ অযথা তর্কে লিপ্ত হয়ে পড়ে। এই অযথা তর্কে লিপ্ত হয়ে মানুষের মধ্যে বড় ধরনের ফেতনা ফ্যাসাদ সৃষ্টি হয়। এক সময় এই ফিতনা পেশাতে জীবন নাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
আমাদের প্রথম খলিফা হযরত আবু বক্কর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু একদিন এক ইহুদি এসে তাকে গালিগালাজ শুরু করল। খলিফার তার গালিগালাজ ধৈর্য সহকারে শুনতে ছিল সে গালি দিতেছে এবং সে শুধু শুনতেছে শুনতে এসে। এমন সময় আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ তার কাছে এসে উপস্থিত হলো। প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ ইহুদির গালি দেওয়া এবং আবু বকর সিদ্দিক রাজিয়াল্লাহু আনহু এর ধৈর্য সহকারে সেই গালি হজম করার দৃশ্য অবলোকন করিতেছিলেন। অনেক ধৈর্য সহকারে শোনার পর এক সময় হযরত আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু একটি উত্তর দিয়েছেন। এই অ্যাপটি উত্তর দেওয়ার সাথে সাথেই প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু সালাম সেই স্থান ত্যাগ করলেন অত্যন্ত গোমড়ামুখী হয়ে।
তখন আবু বকর সিদ্দীক রাদিয়াল্লাহু আনহু হযরত মুহাম্মদ সঃ এর পিছনে পিছনে দৌড়াতে ছিলেন। দৌড়াতে উর্দ্যরাতে তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন হে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনি অনেকক্ষণ যাবত আমাদের দৃশ্য অবলোকন করিতেছিলেন কিন্তু আমি একটি কথা বলার কারনে একটি প্রতিবাদ করার কারণে আপনি গোমরা মুখো হয়ে সেখান থেকে প্রস্থান করলেন এর আসলে কারণ কি?
তখন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ বলল হে আবু বকর তোমরা যা দেখনা আমি তা দেখি তোমরা যা বোঝনা আমি তা বুঝি।ইহুদি যখন তোমাকে গালি দিতে ছিল তখন তুমি ধৈর্য সহকারে শুনতে ছিলে তখন ফেরেশতা ইহুদীকে মনে হয় ফালা দিয়ে গেঁথে ফেলবে। অর্থাৎ তোমার উত্তর ফেরেশতা দিতেছিল। কিন্তু যখন তুমি একটা উত্তর দিলে তখন ফেরেশতারা সেখান থেকে চলে গেল যেখান থেকে ফেরেশতা চলে যায় সেখানে আমি কিভাবে থাকতে পারি তখন আমিও চলে এসেছি।
তাই আসুন আমরা অযথা তর্ক বিতর্ক বাদ দেই যদি কেউ গালিগালাজ করে তার ধৈর্য সহকারে হজম করি তবেই আমাদের কল্যাণ হতে পারে আমাদের শুধু অকল্যাণী হবে। আজকের মত এতোটুকুই আগামী অন্য কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা যাবে ইনশাল্লাহ আল্লাহ হাফেজ।