আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই। অবশ্যই আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন, আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভাল আছি। প্রতিদিনের মতো আজকেও চলে আসলাম আপনাদের মাঝে একটি সুন্দর পোস্ট শেয়ার করতে, তবে আজকে কোন মোটিভেশনাল কিংবা ফটোগ্রাফি পোস্ট নয়। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি সুন্দর রান্নার রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি।
রান্না সুন্দর হয়েছে কিনা বলতে পারবো না, তবে খেতে বেশ মজাই লেগেছে। অনেকদিন পর নতুন তরকারি খেলে আসলে অনেক ভালো লাগে, আর ঠিক তেমনটাই হয়েছে আমার সাথে। অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম রুই মাছ খাব, আসলে বর্তমানে যে জায়গাতে আছি এখানে রুই মাছ খুব একটা বেশি পাওয়া যায় না। তাই ছোট ভাইকে বলেছিলাম বাজারে থেকে রুই মাছ কিনে নিয়ে আসতে, আর সাথে কিনে নিয়ে আসতে ফুলকপি।
তাইতো রুই মাছ ও ফুলকপি দিয়ে একটা সুন্দর রান্নার রেসিপি আমি আমার বাসায় তৈরি করলাম। যেটা সাধারণত আমি প্রতিদিনই রান্না করি, ঠিক তেমনভাবেই রান্না করলাম। তবে ভাবলাম আজকে এই সুন্দর রান্নার রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করি, আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
যেহেতু ফুলকপি আমাদের দেশের শীতকালীন একটা সবজি, তবে মালয়েশিয়াতে এই সবজিটি সারা বছরই পাওয়া যায়। তাই এর মজাটা বাংলাদেশের মতো নয়, একটু আলাদা, একটা কথায় আছে না এক জিনিস বারবার খেলে সে কি আর মজা লাগে। তবে রুই মাছটা প্রায় ছয় থেকে সাত মাস পরে খাচ্ছি, যার জন্য রুই মাছের সাথে ফুলকপির তরকারিটি বেশ ভালই লেগেছে।
আজকে আমি আমার পুরো রান্নার রেসিপিটি সুন্দরভাবে শেয়ার করব। আশা করি আপনারা পছন্দ করবেন এবং আপনারা চাইলেও এভাবে রান্না করতে পারেন। আসলে পুরুষ মানুষের রান্না আর মহিলাদের রান্না একটু তফাৎ রয়েছে, তাই ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। আর যদি কোন টিপস দেওয়া থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
- ফুলকপি
- রুই মাছ
- আলু
- পেঁয়াজ
- রসুন
- কাঁচা মরিচ
- লবণ
- জিরার গুড়া
- হলুদের গুড়া
- সয়াবিন তেল
সর্বপ্রথম আমি ফুলকপি আলু এগুলো সুন্দর করে ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি, যাতে আমার রান্না করতে সুবিধা হয়। তাই তো এগুলো কাটার পর আমি খুব ভালোভাবে ধুয়ে ফেললাম।
এখন আমি কাঁচা পেঁয়াজ ঝাল রসুন এগুলো সুন্দর করে কেটে একটা বাটিতে রেখে দিয়েছি। যেটা আমাকে রানার প্রথমেই কাজে লাগবে।
এখন আমার রান্না শুরু করার পালা, তাই সর্বপ্রথম আমি আমার কড়াই আমার গ্যাসের চুলায় বসিয়ে দিলাম এবং তাতে একটু সয়াবিন তেল দিলাম। যতটুকু পরিমাণে আমার রান্না করতে প্রয়োজন, এরপর আমি তেলটি গরম হলে আমার ঝাল মরিচ এগুলো সব দিয়ে দিলাম।
এভাবে ১০ থেকে ১২ মিনিট আমি আমার মসলাগুলো তেলে ভালোভাবে ভেজে নিলাম। যাতে সেটা আরো বেশি সুস্বাদু হয়। তারপর আমি আমার ফুলকপির সবজিগুলো করাইতে দিয়ে দিলাম। সাথে লবণ এবং হলুদের গোড়া দিয়ে ঢাকুনি দিয়ে ঢেকে দিলাম।
প্রায় ১০ মিনিট ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখার পর ঢাকনী উঠিয়ে আমি আমার তরকারিতে একটু নাড়াচাড়া দিয়ে দেখলাম, তরকারিতে পানি দেওয়ার মতো হয়েছে কিনা, যেহেতু আমি রুই মাছ দিয়ে ফুলকপির ঝোল বানাবো।
দেখলাম আমার তরকারি প্রায় সিদ্ধ হয়ে এসেছে, তাই এখন আমি আমার তরকারিতে পানি দিয়ে দিলাম যথেষ্ট পরিমাণে যতটুকু আমার প্রয়োজন। তারপর পাঁচ থেকে দশ মিনিট আমি জ্বালাতে থাকলাম, তারপরে যখন দেখলাম আমার তরকারির পানি গরম হয়ে গিয়েছে। তখন আমি আমার মাছ ভাজি গুলো দিয়ে দিলাম।
মাছ দেওয়ার পর আমি আবার ঢাকনি দিয়ে ঢেকে দিলাম, আমার তরকারি এখন এভাবে আমি আরো ১৫ থেকে ২০ মিনিট আমার তরকারি জ্বালাতে থাকলাম। অবশেষে ঢাকোনি উঠিয়ে আমি আমার তরকারি টেস্ট কেমন হয়েছে সেটা একটু চেক করার চেষ্টা করলাম।
দেখলাম মোটামুটি ভালই হয়েছে, এখন একটু সুগন্ধার প্রয়োজন তাই আমি একটু জিরার গোড়া ছড়িয়ে দিলাম আমার তরকারির উপর।
অবশেষে তৈরি হয়ে গেল আমার সুস্বাদু রুই মাছ দিয়ে ফুলকপির রান্নার রেসিপি, আর যেটা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছে। এবং দেখতেও অনেক ভালো লাগছে, তাই তো দেরি না করেই তাড়াহুড়ো করে ভাত নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলাম।
বন্ধুরা এভাবেই আমি আমার আজকের সুন্দর রান্নার রেসিপিটি শেষ করলাম, এবং খেয়ে টেস্ট করে দেখলাম বেশ ভালই হয়েছে। আপনারা কিন্তু এইভাবে রান্না করে অনেক সুস্বাদু একটা তরকারি রান্না করতে পারেন, যেটা আমি সাধারণত করি।
আমার আজকের এই রান্নার রেসিপিটি আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্টসের মাধ্যমে জানাবেন । ভাল লাগলে অবশ্যই আপনাদের মূল্যবান মন্তব্য শেয়ার করবেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সকলকে। আমার রান্নার রেসিপি পোস্টটি পড়ার এবং দেখার জন্য।