শুভ সকাল বন্ধুরা, ক্রিকেট ভক্তদের জন্য একটি ছোট্ট নিউজ শেয়ার করার জন্য সকাল সকাল আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। আশা করি ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য এই নিউজটি অনেক মজাদার হবে, তাই অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
ঢাকার হৃদয়ে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম সাক্ষী থাকল এক অনন্য দৃশ্যের। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ এবং টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে, নতুন স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ, নাথান ক্যালির নির্দেশনায়, টাইগার ক্রিকেটাররা মেতে উঠলেন এক কঠোর ফিটনেস পরীক্ষায়। এই পরীক্ষায় তারা দৌড়ালেন পুরো ১৬০০ মিটার। বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের জন্য অনেক ভালো একটা উদ্যোগ আর যেটি কোচ হিসেবে নেতা ক্যালোরি নিয়েছেন যেটাকে সবাই সাপোর্ট করছে সাথে টিমের মেম্বাররাও অনেক আনন্দ এবং উদ্দীপনা উপভোগ করছেন।
তাইতো তড়িঘড়ি করে সবাই সকালের প্রথম প্রহরে, যখন শহর এখনও ঘুমের ঘোরে, ক্রিকেটাররা তাদের প্রস্তুতির জন্য জেগে উঠলেন। সূর্যের প্রথম আলো যখন মাঠের ঘাসে পড়ছিল, তখন তারা শুরু করলেন তাদের দিনের প্রথম কাজ। হালকা ওয়ার্মআপ এবং স্ট্রেচিং দিয়ে শুরু হয়েছিল সেশন, যা ধীরে ধীরে তাদের শরীর এবং মনকে প্রস্তুত করে তুলল আসল চ্যালেঞ্জের জন্য।
প্রত্যেকটি প্লেয়ার মনে করছে এই ফিটনেস পরীক্ষা ছিল না কেবল দৌড়ের একটি পরীক্ষা, বরং এটি ছিল মানসিক দৃঢ়তা এবং দলগত ঐক্যের পরীক্ষা। প্রতিটি ক্রিকেটার যেন নিজের সীমানা ছাড়িয়ে যেতে চাইছিলেন, একে অপরের প্রতি উৎসাহ এবং সমর্থন দিয়ে। তবে কিছু ক্রিকেটার ইনজুরির কারণে এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি, যার মধ্যে রয়েছেন সৌম্য সরকার, তাইজুল ইসলাম এবং তাসকিন আহমেদ। সাকিব আল হাসান যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করায় তিনিও উপস্থিত ছিলেন না।
প্রতিযোগিতামূলক এই পরীক্ষায় দুই পেসার নাহিদ রানা এবং তানজিম হাসান সাকিব তাদের গ্রুপে সেরা হয়েছেন। অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম তার দলের তরুণদের সাথে পাল্লা দিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। এই পরীক্ষা দিয়ে ক্রিকেটাররা তাদের ফিটনেসের মান যাচাই করে নিয়েছেন এবং আসন্ন চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য নিজেদের আরও ভালোভাবে তৈরি করেছেন। জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরু হবে আগামী মাসে, এবং বিশ্বকাপে খেলতে টাইগাররা ১৬ মে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে উড়াল দেবে। এই প্রস্তুতি তাদের আগামী দিনের জন্য আরও দৃঢ় এবং সংহত করে তুলবে।
ফিটনেস পরীক্ষার এই অধ্যায় শেষ হলেও, প্রস্তুতির পরবর্তী ধাপগুলো অপেক্ষা করছে শের-ই-বাংলা ইনডোরে। ট্রেনার ইফতেখার ইসলাম ইফতি জানিয়েছেন, এই পরীক্ষার মাধ্যমে তারা ক্রিকেটারদের ফিটনেসের বর্তমান অবস্থা বুঝতে পেরেছেন এবং এটি তাদের আগামী অনুশীলনের পরিকল্পনা তৈরিতে সাহায্য করবে।
ভালো লাগলে অবশ্যই আপনাদের মতামত শেয়ার করবেন।
এই পোস্টটি করার জন্য যেখান থেকে আমি আইডিয়া নিয়েছি, এবং নিজের মত করে লেখার চেষ্টা করেছি। link