A trip to the hilltops and tea plantations is a different experience || পাহাড়ের চূড়ায় এবং চা বাগানে ভ্রমণের এক অন্যরকম অনুভুতি

in blurt-192372 •  21 days ago 

প্রিয় পাঠক,
সবাইকে আমার বাংলা লেখায় স্বাগতম। আমি মাঝেমধ্যেই আপনাদের মাঝে ভ্রমণের বেশ কিছু ফটোগ্রাফি নিয়ে উপস্থিত হই। আমি যে জায়গায় অবস্থান করতেছি সেই জায়গা দিয়ে ঘোরাফেরা করার মত অফুরন্ত সুযোগ। তাইতো সময় পেলেই ঘুরতে যাই চা বাগানে ও পাহাড়ের চূড়ায়।

তাইতো ছুটির দিন সময় নিয়ে আমি এবং ইয়াসিন ভাই দুজনে মিলে বিকাল বেলায় বের হলাম চা বাগান পরিদর্শন এর উদ্দেশ্যে। যেহেতু নতুন দুটি গেঞ্জি ক্রয় করেছি এর মধ্যে থেকে একটি কলার যুক্ত গেঞ্জি পরিধান করে মাথায় ব্যান্ড পরে বের হলাম।

1715344884776.png
হাঁটি হাঁটি পা পা করে রেল লাইনের পথে চলে আসলাম। মনে পড়ে যখন ট্রেনে যাতায়াত করেছি ট্রেনের মধ্যে থাকলে ঝনঝন শব্দ আওয়াজ হতো। আর সেই ট্রেনের পথ ধরেই এখন চলছি হাঁটি হাঁটি পা পা করে।

যেহেতু ছুটির দিন তাইতো হেঁটে হেঁটেই চলছি আমাদের সেই গন্তব্য স্থলে। গন্তব্যস্থল নোয়াপাড়া চা বাগান এবং মিনি সাজেক।

অবশ্য আমাদের এই বাজার থেকে অটো গাড়িতে উঠলে কাঙ্খিত জায়গায় নিয়ে যাবে মাত্র ১০ টাকায়। কিন্তু আমরা রেল পথ ধরে হেঁটে হেঁটে যাব ৩০ মিনিটে। দুজনে গল্প করতে করতে চললাম।

IMG_20240509_181039_744.jpgরেল পথ ধরে হাঁটার সময়

ও আচ্ছা যাওয়ার পথে একটি মিরিন্ডা ক্রয় করলাম। এই পানি জাতীয় দ্রব্যের দাম ৪৫ টাকা। ক্রয় করার একটি কারণ হচ্ছে যাচ্ছি আমরা হেঁটে হেঁটে যাওয়ার পথে ঠান্ডা এই মিরিন্ডা দিয়ে গলা ভিজিয়ে নেব; হাঁ হাঁ হাঁ।

আমি জানি পানি দাঁড়িয়ে পান করলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরেও দাঁড়িয়ে পান করতেছি কেননা হাঁটাহাঁটির পথে। তবে আমি দাঁড়িয়ে পানি পান করি না।

IMG_20240509_162221_668.jpgহাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে মিরিন্ডা খাওয়ার সময়

চলছি আর গল্প করছি ইয়াসিন ভাইয়ের সাথে। চলতে চলতে কখন পথের শেষ ঘনিয়ে এসেছে বুঝতেই পারলাম না। অবশেষে রেলপথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে মাঠের দিকে চললাম। মাঠ বিশাল বড়। রমজান মাসে যখন আমরা ইফতার এর আয়োজন করেছিলাম; ঠিক এই জায়গা দিয়েই যেতে হয়।

সেই বড় একটি মাঠ অতিক্রম করে সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করলাম। যতই যাচ্ছি ততই যেন সবুজ শ্যামল প্রকৃতি চা বাগানে ভরপুর। সামনে তাকাই বামে তাকাই ডানে তাকায় পেছনে তাকাই শুধুই চা বাগান।

IMG_20240509_165131_845.jpgবিস্তৃত চা বাগানে একাকীত্ব আমি
আর এমন প্রকৃতির মাঝে কার ভালো লাগেনা! আমার জানামতে যাদের ভালো লাগে না তারা যদি এমন একটি প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় অতিবাহিত করে তার মন অনায়াসেই ভালো হয়ে যাবে।

হেঁটে হেঁটে ভ্রমণ তাইতো টাকার কোন খরচ নেই! এই দিক থেকে অবশ্য কিছুটা সাশ্রয়। অবশ্য আপনারা বলতে পারেন; আপনি যে জায়গায় থাকেন সেই জায়গা জুড়ে ভ্রমণের এক অন্যরকম জায়গা। আমিও বলি হ্যাঁ এই জায়গাটি সত্যিই ভ্রমণ করার মত।

IMG_20240509_165302_109.jpgবিস্তৃত চা বাগানে একাকীত্ব আমি

এই চা বাগান বেশ কিছু সময় উপভোগ করলাম এরপর আরো সামনে হাঁটতে শুরু করলাম সামনেও যেন সারাক্ষণ দেখতে পাচ্ছি চা বাগান ব্যতীত কিছুই নেই 🤣

  • কি আর করার আছে এরপরেও হাঁটতেছি; কেননা আমাদের যাওয়ার আরো একটি স্থান এর নাম হচ্ছে মিনি সাজেক।

এজন্য সামনের পথ ধরে হেঁটে হেঁটে চলছি পাহাড়ের রাস্তা; এ কারণে উঁচু নিচু রাস্তা এবং একটু পরপরই যেন অনেক উপরে উঠতে হয় পাহাড়ের চূড়ায়। মিনি সাজেক নাম শুনতে কিন্তু অনেক আকর্ষণীয় মনে হচ্ছে।

যেহেতু আমি ইতিপূর্বে এই জায়গায় আসি নাই অর্থাৎ মিনি সাবের নামের এই স্থানটিতে। তাইতো বল আগ্রহ ছিল এই জায়গায় আসা এবং নাম শোনার পর আমি ভেবেছি হয়তোবা জায়গাটি অনেক চমৎকার এবং দর্শনীয় কিছু রয়েছে।

IMG_20240509_170441_997.jpgপাহাড়ের চূড়ায় মিমি সাজেক

চলে এসেছি আমরা সেই মিনি সাজেক নামের এই স্থানটিতে। আসলে এই জায়গায় দাঁড়ালে আপনাকে মনে হবে আপনি নিজে অনেক অনেক উপরে দাঁড়িয়ে আছেন। গাছের উপর দিয়ে যেন আপনি দৌড়াতে পারবেন এমন একটি মাঠের মতো স্তর দেখা যায় সবুজ সবুজ ঘাস।

আবার দেখতে পাবেন কোথাও কোথাও অনেক বড় বড় পাহাড় আবার কোথাও দেখতে পাবেন একদম নিচু জায়গা এবং শুধু বালি আর বালি। অবশ্য বর্ষাকালে এই জায়গাগুলো দিয়ে প্রচন্ড পরিমাণে পানি এর স্রোত হয়। তবে সেই স্রোত দেখার অপেক্ষায় এখন পর্যন্ত আছি।

IMG_20240509_170521_519.jpgএক বাস্তব অপূর্ণতা

ঠিক এই সময় সূর্য ডুবু ডুবু ভাব! অর্থাৎ একদম সন্ধ্যা ঠিক সেই সময় সূর্য হাতে নিয়ে ছবি ওঠার একটি অপূর্ণ দৃশ্য। যদিও ছবির মধ্যে পূর্ণতা পেয়েছি সূর্য হাতের মুঠোয় কিন্তু ইহা আদৌ পূর্ণতা নয় অপূর্ণতা বাস্তব।

এভাবে চমৎকার চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি উঠেছিলাম এবং চমৎকার আবহাওয়া উপভোগ করেছি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থান করে।

আসলে এগুলো ভালো লাগে মন প্রফুল্ল করে তুলে। আগে জন্যই মাঝেমধ্যে ঘুরতে বের হই যেহেতু আমার অবস্থান থেকে আশেপাশেই ঘোরাফেরা করার জায়গা অফুরন্ত।

এখানেই আমি ইতি টেনে সমাপ্তি ঘোষণা দিচ্ছি আজকের এই লেখার। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এবং প্রকৃতির মাঝে নিজেকে বিস্তৃত করুন।


jakaria121.png


The official accounts of the Incredible India community

Discord | Twitter | Telegram | Instagram


Htq.gif


20230729_080759_0000.png

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!