বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
![]()
|
---|
যে যখন থাকে না তখন তার মর্ম কতটা সেটা বোঝা যায়। সময় থাকতে বা ব্যাক্তিটা আমাদের মাঝে যখন থাকে তখন তার করা কাজগুলো আমরা সম্মান করি না। কতটা কষ্ট হতে পারে তার, সেই বিষয়েও হয়ত ধারণা করি না। কিন্তু সেই কাজটায় যখন আমরা করতে যায়, তখন বুঝতে পারি এটা কতটা কষ্টের। আজকের দিনের শুরুটা হয়েছিল একটু ভিন্ন ভাবে। গতকালক ডাক্তারের কাছ থেকে আসতে অনেক রাত হয়েগ গিয়েছিল। যার ফলে রাতে ঘুমাতেও দেরি হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠতেই দেখি প্রচন্ড শরীর ব্যাথা। গতকালকে বেশি হাটাহাটির ফলে এমনটা হয়েছে। কিছু করার নাই ঘুম থেকে উঠতেই হবে। আজকে মা বাসায় নাই। সকালের নাস্তা তৈরি সহ সকল কাজই প্রায় করতে হবে। বিছানা থেকে উঠে নিজে আগে ফ্রেশ হয়ে নিলাম। মূলত আমার মা আমার মামাতো বোনের বাসায় আজকে অনুষ্ঠান আছে সে কারণে গতকালকে তাদের বাড়ী গিয়েছে। আমিও গিয়েছিলাম কিন্তু চলে আসছিলাম। আজকে আবার যাব।
ফ্রেশ হয়ে আমি আমার নাস্তা তৈরি করে নিলাম। মূলত ময়দা দিয়ে চাপরি বা রুটির মতো কিছু একটা বানিয়ে মিলাম। তেল দিয়ে ভাজি করলাম। এরপর একটা ডিম অমলেট করে নিলাম। এটা দিয়েই সকালের নাস্তা করে নিলাম। আসলে সকালে নাস্তা তৈরি করতে গিয়ে ভাবতেছিলাম, মা কত কষ্ট করে প্রতিদিন আমাদের জন্য খাবার রান্না করেন। তারপও রান্না মাঝে মাঝে স্বাদ না হলে রাগও করে ফেলি। যা মোটেও করা উচিত না। আসলে মেয়েদের কাজগুলো একটু কঠিনই হয়। যদিও মাঝে মধ্যেও আমিও রান্না করি। এটা মূলত মায়ের কাছ থেকেই শেখা।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
নাস্তা শেষ করে গরু ছাগলদের খাবার দিয়ে আমি গোসল করে রেডি হলাম অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য। আমি এবং আমার বড় ভাইয়ের মেয়েকে নিয়ে আমি সকাল ৯ টার দিকে বেরিয়ে পরলাম মামাতো বোনেট বাসায় যাওয়ার জন্য। মূলত আমার ভাগনের সুন্নতে খাৎনা দিয়েছিল। সেই উপলক্ষ্যে আজকে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেখানে আমাদের সবার দাওয়াত ছিল। মা গতকালকেই চলে গেছে। আমি আর আমার মেয়ে আজকে যাচ্ছি।
![]()
|
---|
১০:৩০ টার দিকে আপুদের বাড়ী চলে গেলাম। এরপর সেখানে গিয়ে খাওয়ার টেবিলগুলো ভাইদের সাথে ঠিক করলাম কাপড় দেওয়া, টেবিলের উপর পলিথিন লাগানো এই কাজগুলো করলাম। চেয়ারগুলো ঠিক করে দিলাম। এরপর আমি জুম্মার সালাত আদায় করার জন্য মসজিদে চলে গেলাম।
![]() | ![]() |
---|
নামাজ শেষ করে এসে দেখি প্রায় দুই শরক মানুষ খাওয়ানো শেষ। এরপর আমি এসে খেতে বসলাম। মেনুতে ছিল সাদা ভাত, পোলাও, গরুর মাংস, খাসির মাংস, ডাউল, ছালাত, দই। খাওয়া দাওয়া শেষ করে আমি আবার অন্যদের খাওয়ালাম কিছুটা সময়। আসলে বোনের বাড়ী তো কিছুটা দায়িত্ব পালন করতে হয়। অনুষ্ঠান বিকাল ৪ টার দিকে শেষ হলো। মানে খাওয়া দাওয়া শেষ হলো। আমি সেখানে আরও কিছুটা সময় ছিলাম। তারপর আমার মেয়েকে নিয়ে বাড়ীর দিকে চলে আসলাম। আমার মা আজকেও বাসায় আসল না৷ মানে বোন আসতে দিল না। আমি বাড়ী এসে দেখি আমাদের ছাগল গরুগুলো ডাকা ডাকি শুরু করেছে। তারাতারি পোশাক পাল্টে তাদের খাবার দিলাম। যেহেতু রাতে আব্বু আর আমার কিছু একটা খাওয়া লাগবে। আর মা তো বাসায় নাই। আমাকেই কিছু বানাতে হবে৷ না হলে আব্বু এসে রাগারাগি করবে।
এজন্য আমিই ভাত রান্না করলাম। ডিম ভাজি, টমেটো ভর্তা এবং আলু ভর্তা করলাম। আসলে আমি তেমন রান্না করতে পারি না৷ তবে মাঝে মাঝেই মা বাড়ী না থাকলে এবং অসুস্থ থাকলে আমাকেই রান্না করে খেতে হয়। আজকেও তেমনটায় করলাম। রান্নাটা শেষ করে আবার ভাইয়ের মেয়েকে পড়াতে বসলাম।
নিজের রান্না করা রাতের খাবার।
পড়ানো শেষ করে আমি আমার কিছু কাজ করে নিলাম। তারপর আব্বু বাড়ী আসলে রাতের খাবারটা তার সাথে খেয়ে নিলাম। আজকের দিনটা এভাবেই ব্যস্ততা, আনন্দ আর খাওয়া দাওয়া মাধ্যমে কেটে গেল।
Congratulations, your post has been upvoted by @dsc-r2cornell, which is the curating account for @R2cornell's Discord Community.
Enhorabuena, su "post" ha sido "up-voted" por @dsc-r2cornell, que es la "cuenta curating" de la Comunidad de la Discordia de @R2cornell.