বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারোকাতুহ।
হ্যালো আমার প্রিয় স্টিমিয়ান বন্ধুরা।
আমি @rasel8. #বাংলাদেশ থেকে।
![]()
|
---|
শিরোনাম দেখে কেউ ভাববেন না আমি কোনো প্রেমের গল্প করতে চলেছি৷ কেউ মনে মনে ভাবতে পারেন, হয়ত আমার পুরাতন কোনো প্রেমিকার সাথে দেখা হয়েছে বলেই এমন নাম। আসলে এসব কিছু না। মূলত আজকে বাংলাদেশের একটা নতুন দিক নিয়ে আলেচনা করব। আগেই বলে রাখি, এটা আমি ভালো দিক বিবেচনায় শেয়ার করছি, কেউ রাজনৈতিক দিকে বিবেচনা করবেন না। বাংলাদেশের জুলাই এর গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের জনগণ যেন এক নতুন সূর্য এবং দেশকে পেয়েছে। যার ফলে সবাই যেন স্বাধীন ভাবে বাঁচতে, বলতে শিখেছে। দেশকে নতুন করে গড়তে সবাই যেন তাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টটা করে যাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো তারা তাদের মতো করে এবং তত্তাবধায়ক সরকার চেষ্টটা করে যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষের মনের ইচ্ছা মতো দেশকে গড়ে তোলার। দেশে বর্তমানে চলতেছে সংস্করণ কাজ।
বাংলাদেশের একটা রাজনৈতিক দলের নাম হলো বাংলাদেশ জামাতি ইসলাম. এদের ছাত্রদের নিয়ে একটা সংগঠন আছে। যার নাম বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশীবির। এটা মূলত ইসলামিক নিয়মে প্রতিষ্ঠিত এবং পরিচালিত। যারা সব সময় ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যায়। জীবন দিতেও পিছুপা হয় না। আমি দীর্ঘ ৪ টা বছর কুষ্টিয়া কলেজে পড়াশুনা করেছি, কিন্তু কখনও তাদের প্রকাশশে বা সরাসরি কোনো উৎসব করতে দেখি নাই। কারণ সরকারি নিষেদ্ধ ছিল। কেউ করলেই তাকে পুলিশ ধরে নিয়ে যেত। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার যেন আমি অনেক আকাশ থেকে পরার মতো। যদিও স্বাধীন বাংলাদেশে এটা কল্পনা করাই যায়। গিয়েছিলাম বিকেলে ডাক্তার দেখাতে কুষ্টিয়া। হঠাৎ অটোতে বসে থাকতেই কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের মাঠে তাকাতেই একটা ব্যানার চোখে পরল। লেখা প্রকাশনী উৎসব, বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশীবির. দেখা মাত্র আমি অটো থেকে নেমে পরলাম। কারণ এতো বছর কুষ্টিয়া থেকে গেলাম, কিন্তু এমন কোনো অনুষ্ঠান করে দেখি নাই। এই প্রথমবার দেখলাম।
![]() | ![]() |
---|---|
![]() | ![]() |
এটা মূলত ইসলামিক বিভিন্ন বইয়ের প্রকাশনী। যেখানে গিয়ে মানুষ ছাত্রশীবির এবং ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারবে। জানতে পারবে তারা কিভাবে কাজ করে কি নিয়ে কাজ করে। আমি গিয়ে স্টোলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখলাম। বিভিন্ন বইয়ের নামগুলো পরলাম। অনেকগুলো দেখলাম। বাইরে এবং ভিতরে বিভিন্ন ধরনের ব্যানাের নানা ধরনের ছন্দ লেখা। যা আমাদেরকে সত্যের পথে চলতে সাহায্য করে। এগিয়ে নিয়ে যাবে।
![]() | ![]() |
---|
![]() |
---|
অনেক মানুষ সেখানে ভির জমিয়েছিল স্টোলগুলো দেখতে এবং বই কিনতে। কেউ লিফলেট, কেউ বই কিনতে ব্যস্ত। বেশির ভাগ ছাত্র এবং যুব সমাজ ছিল সেখানে। দেখে আমার মনটা ভরে গেল। বহু বছর পর হঠাৎ উৎসবটা দেখে মনটা ভরে গেল। যদিও আমি কোনো বই কিনি নাই শুধু সকল জায়গাগুলো ঘুরে দেখলাম।।আমি অনেক আগে থেকেই ছাত্রশীবির সম্পর্কে জানতাম। আসলে আমাদের সবার উচিত সত্যের পথ খুজা, সত্যকে প্রতিষ্ঠায় কাজ করা। যাতে আমরা আমাদের জীবনের স্বাধীন বাক্যগুলো শেয়ার করতে পারি। মন খুলে বলতে পারি। দেশটা যাতে মানুষের মিলে মহব্বতে ভরে যায়। আমরা এই আশা করি, এই দেশে একদিন শান্তি আসবেই। দেশ শাসন করবে ইসলামিক নিয়ম বিধানের মাধ্যমে।
আমি আগেও বলেছি, আবারও বলছি দয়া করে কেউ এটাকে রাজনৈতিক দিকে বিবেচনা করবেন না। আমি মূলত আমার মনের কথা এবং হঠাৎ দেখা উৎসব নিয়ে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আবারও দেখা হবে আমার নতুন কোনো পোষ্ট নিয়ে।