The feeling of some beautiful moments of having tea after finishing college and hanging out with friends

in blurt-188398 •  3 months ago 

Assalamu Alaikum/Hello
Friends of my blurt space Community
I'm @jubayer001 from Bangladesh

1000064175.jpg

After college, gathering with friends and heading to that familiar tea stall outside the campus gate has become almost a daily ritual. With a steaming cup of tea in hand, we all sit down—sometimes under a tree, sometimes on a bench. The fatigue of the entire day seems to vanish with each sip of tea. Someone tells a story, someone cracks a joke—together, these moments turn into the simplest and purest times of life.At times, we laugh so hard our stomachs hurt, while at other moments, serious discussions arise about the world. From funny classroom incidents to future plans—everything gets discussed during these tea sessions. Even the tea stall owner knows us well by now, smiling quietly whenever he sees our cheerful faces. These days, these conversations—may they never come to an end.


Convert to Bengali to facilitate the understanding of Bengali language people🇧🇩

কলেজ ছুটি হওয়ার পর বন্ধুরা মিলে ক্যাম্পাসের গেট পেরিয়ে পরিচিত সেই চায়ের দোকানে পৌঁছানোটা যেন প্রতিদিনের একটা রুটিন। ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে, সবাই মিলে বসে পড়া—কখনও গাছের নিচে, কখনও বেঞ্চে। সারাদিনের ক্লাসের ক্লান্তি যেন চায়ের প্রতিটি চুমুকে মুছে যায়। কারো গল্প, কারো হাসি—সব মিলিয়ে মুহূর্তগুলো যেন জীবনের সবচেয়ে সহজ আর নির্ভেজাল সময় হয়ে ওঠে।মাঝে মাঝে একটানা হেসে পেট ব্যথা করে, আবার কখনও গম্ভীর আলোচনা শুরু হয় পৃথিবীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। ক্লাসের মজার কাহিনি থেকে শুরু করে, কে কী করবে ভবিষ্যতে—সবই চলে সেই চায়ের আড্ডায়। চায়ের দোকানের মালিকও আমাদের চেনা হয়ে গেছে, যিনি আমাদের হাসিখুশি দেখলে নিজেও মিটিমিটি হাসেন। এমন দিনগুলো, এমন আড্ডা যেন কোনওদিন ফুরিয়ে না যায়।

1000064119.jpg

After college, gathering with friends and heading to that familiar tea stall has become more than just a habit; it feels like a cherished ritual. Leaving behind the serious atmosphere of the classroom, stepping outside feels like breathing in fresh air for the first time. We make our way to that well-known tea stall just beyond the campus gate, and without a word, everyone settles at our favorite table. Before we even take a sip of the steaming cup of tea, the conversations begin, and the true essence of the gathering starts to unfold.Initially, the talks are often about classes. Someone shares how a particular professor’s lecture went, who gave the most boring presentation, or who was secretly busy texting throughout the class. As time goes by, the topics start to shift. Someone recounts a hilarious incident that happened during a lecture or in the library, and soon, laughter erupts. Once it starts, it doesn't stop, and we laugh until our stomachs hurt, while passersby look at us with curiosity and amusement.But it’s not all fun and games. At times, the conversations take a serious turn. We talk about the future—what we want to do, our ambitions, our fears. We share our dreams, our struggles, and sometimes the conversation gets deep, touching on moments of hardship or personal battles. In those times, we comfort one another, offering advice and support, and it feels like the steam from the tea carries away some of our worries as we speak.The tea stall owner knows us well by now. He sees us every day, smiling and laughing, and probably wonders how effortlessly happy we seem. He watches us with a quiet grin and serves us tea with an almost familial care. With each sip of tea, the day’s fatigue fades away, and for a brief moment, time seems to pause, holding us in that shared space of warmth and camaraderie.These tea sessions are more than just idle conversations; they are essential chapters of our lives. This friendship, these gatherings, these simple moments over a cup of tea—they form the heart of our college days. And every day, we leave with the hope that these moments never end. Amid the hustle of life, these small pockets of time become the source of our greatest happiness.


Convert to Bengali to facilitate the understanding of Bengali language people🇧🇩

কলেজ ছুটি হওয়ার পর বন্ধুদের সঙ্গে মিলে চায়ের দোকানে যাওয়াটা যেন প্রতিদিনের একটি আনন্দঘন রুটিনে পরিণত হয়েছে। ক্যাম্পাসের ক্লাসরুমের ভারী পরিবেশ পেরিয়ে যখন আমরা বাইরে এসে দাঁড়াই, তখন মনে হয় যেন মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছি। গেট পেরিয়ে সেই পরিচিত চায়ের দোকানটায় পৌঁছানো, সবাই মিলে পছন্দের টেবিলটায় বসে যাওয়া—এগুলো যেন এক ধরণের শৃঙ্খলা হয়ে গেছে। চায়ের ধোঁয়া ওঠা কাপে চুমুক দেওয়ার আগে, আমরা একটু গল্পের সূচনা করি, হালকা ঠাট্টা-মশকরার মাঝেই শুরু হয় আসল আড্ডা।প্রথম দিকে সবার কথাবার্তা হয় ক্লাসের বিষয় নিয়ে। কেউ বলে কোন টিচার কেমন ক্লাস নিল, কার লেকচার সবচেয়ে বোরিং ছিল, আর কে-ই বা ক্লাসের পুরোটা সময় ফোনে ব্যস্ত ছিল। তারপর আস্তে আস্তে কথার বিষয়বস্তু বদলায়। কেউ মজার কোনও ঘটনা বলে, যা হয়তো লেকচার চলাকালীন বা লাইব্রেরিতে ঘটেছে। সেই হাসির ফোয়ারা যেন একবার শুরু হলে থামতে চায় না। এমন মুহূর্তগুলোতে আমরা বাচ্চাদের মতো আনন্দে মাতি, হেসে পেট ব্যথা করে ফেলি, আর আশেপাশের মানুষজনও অবাক হয়ে আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকে।তবে শুধু হাসির আড্ডা নয়, কখনও কখনও খুবই গম্ভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা চলে। ভবিষ্যতের চিন্তা, কে কী করবে, জীবনের লক্ষ্য কী—এসব নিয়েও ভাবতে ভাবতে আমরা যেন আরও গভীর হয়ে উঠি। আমাদের মধ্যে কেউ হয়তো জীবনের খুব কঠিন কিছু মুহূর্তের কথা শেয়ার করে, আর সবাই মিলে তাকে সাহস দেয়, উপদেশ দেয়। সেই চায়ের কাপের ধোঁয়ার সাথে যেন আমাদের চিন্তার ঢেউগুলোও ধীরে ধীরে মিশে যায়।চায়ের দোকানের মালিকও আমাদের খুব ভালো করে চিনে গেছেন। তিনি প্রতিদিন আমাদের একই হাসিমুখে দেখেন এবং হয়তো মনে মনে ভাবেন, এদের দিনগুলো কী সুন্দর যাচ্ছে! আমাদের হাসিখুশি মুখ দেখে তিনিও মিটিমিটি হাসেন, আর আমাদের কাপে চা ঢেলে দেন এক অদ্ভুত যত্নে। চায়ের প্রতিটি চুমুকে যেন ক্লান্তি মুছে যায়, আর সেই সময়টা যেন সময়ের সীমানা ভুলে আমাদের ধরে রাখে।এগুলো শুধুমাত্র আড্ডা নয়, এগুলো আমাদের জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। এই বন্ধুত্ব, এই আড্ডা, এই চায়ের সময়গুলো যেন কোনওদিন শেষ না হয়—এই আশা নিয়েই প্রতিদিন আমরা ফিরে আসি। জীবনের ব্যস্ততার মাঝে এই ছোট্ট সময়গুলো যেন আমাদের আনন্দের প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়ায়।

1000064116.jpg

After college, meeting up with friends and heading to the tea stall for a chat has become an unspoken ritual. After the long hours of class, when we step outside the campus gates, it feels like we’re starting to breathe again. On the way to that familiar tea stall, the conversations with friends begin, filled with laughter and stories. Once we sit down in the small tea shop, our world changes. The wooden benches, worn from our daily visits, have become our regular spots, and the steaming cups of tea seem to have an uncanny ability to wash away the exhaustion of the day.Before we even take the first sip of tea, the conversation has already started. It often begins with stories about the day’s classes—who struggled with which subject, which professor gave the most boring lecture, and who spent the entire class dozing off. As we laugh and recount these small moments, the mood becomes lighter. Then, as the evening progresses, our stories deepen. Someone might share a funny incident from class or something that happened in the library. And just like that, the laughter takes over, echoing through the tea stall, often making us laugh so hard we can’t stop. Passersby glance at us, wondering what could be so amusing, but we are lost in our own little world, free from the cares of the day.Yet, it’s not all light-hearted fun. Sometimes, the conversation takes a more serious turn. We start talking about the future—what we want to achieve, how we plan to succeed, and what life means to us. Someone might share a tough personal experience, one that makes the rest of us fall silent. In those moments, we offer not just words of advice, but genuine comfort and support, deepening the bond of friendship that holds us together. These moments of reflection, shared over cups of tea, make the gathering feel like something more than just casual conversation—they’re moments of connection that strengthen our understanding of each other.The tea stall owner has gotten to know us well by now. Every day, he sees our smiling faces and can’t help but smile back. He pours our tea with a quiet affection, as if he’s part of our little circle, watching over us as we share our lives with each other. With every sip of tea, the weariness of the day fades away, and it feels like we’re re-energized. Even though the world around us continues in its hectic pace, our little tea stall seems to exist in its own time, a place where nothing matters but the moment we’re in.These tea sessions are more than just casual meetups; they are the golden moments of our lives. This friendship, these conversations, these shared experiences over a cup of tea—these are the things that define our college years. We leave each day hoping that these moments never come to an end, that this routine, this bond, remains unchanged. As life gets busier, these small moments become the most valuable treasures of our lives, something we cherish and hold close. Today’s tea sessions may eventually become memories, but they are memories that will last forever.


Convert to Bengali to facilitate the understanding of Bengali language people🇧🇩

কলেজ ছুটি হওয়ার পর বন্ধুরা মিলে আড্ডা দেওয়ার জন্য চায়ের দোকানে যাওয়াটা যেন এক অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। ক্লাসের ধকল শেষে যখন আমরা সবাই ক্যাম্পাসের গেট পেরিয়ে বাইরে আসি, মনে হয় যেন নতুনভাবে বাঁচতে শুরু করেছি। সেই পুরনো চায়ের দোকানটা, যেখানে প্রতিদিনের আড্ডার মূল কেন্দ্র, সেখানে পৌঁছানোর পথে বন্ধুরা হাসি-মজার গল্পে মেতে ওঠে। চায়ের দোকানে বসার পরেই আমাদের চারপাশের পৃথিবীটা বদলে যায়। সেই ছোট্ট দোকান, যেখানে কাঠের বেঞ্চগুলো আমাদের চিরচেনা আসন হয়ে উঠেছে, আর চায়ের ধোঁয়া ওঠা কাপে মিশে থাকে দিনের ক্লান্তি ভুলে যাওয়ার এক অদ্ভুত ক্ষমতা।চায়ের কাপ হাতে নিয়ে প্রথম চুমুক দেওয়ার আগেই আড্ডা শুরু হয়। প্রথমেই হয়তো ক্লাসের গল্প নিয়ে কথা চলে—কে কোন বিষয়ে দুর্বল, কোন শিক্ষক সব থেকে বিরক্তিকর লেকচার দিলেন, আর কে ক্লাসে ঘুমিয়ে কাটালো। এভাবেই শুরু হয় আমাদের আড্ডার গল্প। ধীরে ধীরে সেই সাধারণ গল্পগুলো গভীর হতে থাকে। কেউ মজার কোনো ঘটনা শোনায়, যা হয়তো ক্লাস চলাকালীন বা লাইব্রেরিতে ঘটেছে। কারো একটা কথাতেই হেসে লুটিয়ে পড়ি, আর হাসির ঢেউ একবার শুরু হলে থামতেই চায় না। আশেপাশের মানুষজনের কৌতূহলী দৃষ্টি এড়িয়ে আমরা নিজেদের মধ্যেই ডুবে থাকি, যেন পৃথিবীর সব চিন্তা-ভাবনা থেকে মুক্ত।আবার আড্ডার মধ্যে মাঝে মাঝে গভীর আলোচনা চলে। জীবনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, কেমন করে সফল হওয়া যায়, জীবনের অর্থ—এসব নিয়ে আমরা ভাবতে শুরু করি। আমাদের মধ্যে কেউ হয়তো নিজের জীবনের কোনও কঠিন অভিজ্ঞতার কথা শোনায়, যেটা শুনে সবাই নীরব হয়ে যায়। তখন আমরা শুধু কথার মাধ্যমে নয়, হৃদয়ের গভীর থেকে তাকে সান্ত্বনা দিই। এই আড্ডার মুহূর্তগুলো যেন কেবল চায়ের দোকানে সীমাবদ্ধ থাকে না; এটা আমাদের বন্ধুত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় করে তোলে।চায়ের দোকানের মালিকও আমাদের চিনে ফেলেছেন। তিনি প্রতিদিন আমাদের হাসি-মুখ দেখে নিজেও একটু মিটিমিটি হাসেন। তিনি আমাদের চায়ের কাপে চা ঢালেন, যেন সেই চায়ে মিশে থাকে একরাশ আন্তরিকতা। চায়ের প্রতিটি চুমুকে ক্লান্তি ধুয়ে-মুছে যায়, আর মনে হয় যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পাচ্ছি। এমনকি যখন দোকানের চারপাশের ব্যস্ত জীবন থেমে থাকে, আমাদের আড্ডা চলতে থাকে আপন মনে, যেখানে সময়ের কোনও মূল্য নেই এগুলো শুধুমাত্র আড্ডা নয়, আমাদের জীবনের এমন কিছু মুহূর্ত যা ভবিষ্যতে স্মৃতির পাতায় সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। এই বন্ধুত্ব, এই আড্ডা, এই চায়ের কাপে মিশে থাকা সুখের মুহূর্তগুলো যেন কখনও শেষ না হয়। প্রতিদিনের এই ছোট ছোট মুহূর্তগুলো যেন আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান রত্ন হয়ে দাঁড়ায়, যা আমরা পরম যত্নে আগলে রাখি। আজকের দিনগুলো হয়তো একদিন হারিয়ে যাবে, কিন্তু এই আড্ডার স্মৃতিগুলো আমাদের মনে চিরকালীন হয়ে থাকবে।

1000064121.jpg
After college, heading to the tea stall with friends for a chat has become a natural, daily routine. After the long hours of classes, tests, assignments, and lectures, when the day ends, it feels like we're finally free. Walking through the campus gates and reaching that familiar tea stall feels like the first step toward liberation. The worn-out wooden benches have become our regular seats, where we sit each day. The tea seller knows us so well now that he doesn’t even wait for our order—he starts preparing the tea as soon as he sees us.Even before the first sip of steaming tea, our conversations begin. It usually starts with talk about classes—who is struggling in which subject, how tough the exams are, which professor was the most boring, or who slept through an entire lecture. These light-hearted stories kick off our time together. But as time passes, the topics start to shift. Someone might share a funny incident from class or a mistake they made, and soon we are laughing so hard it feels like time has stopped. In the midst of our laughter and jokes, the hustle and bustle of the outside world can’t touch us.But it’s not just about laughter and fun. After a while, the conversations take on a deeper tone. We start discussing the future—what we want to do in life, our dreams, our goals, and how we plan to achieve them. Someone might open up about a difficult time they’re going through, and we all come together to offer support and comfort. These talks create a sense of closeness, and we realize that this friendship is more than just casual—it’s a strong bond that helps us grow together. In these moments, it feels like we are not just sharing our lives, but also learning more about ourselves and each other.The tea stall owner has become a familiar face to us too. Every day, he watches us with a quiet smile as we talk and laugh. He pours our tea with a certain care, as if he understands the importance of our time together. Each sip of tea feels like a recharge for our minds and bodies, washing away the tiredness of the day. Even as the world around us moves on in its hectic pace, in that small tea stall, time seems to stand still, and we live only in the moment. Our tea gatherings are not just idle conversations—they are the most precious moments of our lives. As life moves on, we may not fully realize how much these moments mean now, but in the future, when we are all living different lives, these memories will be the ones we cherish the most. Today, we laugh and share stories over cups of tea, but one day, when we have all gone our separate ways, these tea sessions will be the thread that connects us.This friendship, these gatherings, this tea stall—all of it has become an invaluable part of our lives. Every day we come here, it feels like we are beginning a new chapter of our lives, and these chapters will remain forever etched in our memories. Each day, new stories mix with our cups of tea, and those stories form the foundation of our friendship. We return to these gatherings every day, hoping that these moments never end, that this bond and this camaraderie last forever.


Convert to Bengali to facilitate the understanding of Bengali language people🇧🇩

কলেজের ক্লাস শেষ হলে বন্ধুরা মিলে আড্ডা দিতে চায়ের দোকানে যাওয়া যেন এক নিত্যদিনের স্বাভাবিক অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুরো দিনের ক্লান্তি, পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, আর লেকচারের চাপ সবকিছু মিলিয়ে যখন ক্লাস শেষ হয়, মনে হয় যেন নতুনভাবে বাঁচতে শুরু করেছি। ক্যাম্পাসের গেট পেরিয়ে সেই পুরনো চায়ের দোকানটায় পৌঁছানো যেন আমাদের জন্য মুক্তির প্রথম ধাপ। দোকানের সামনের সেই কাঠের বেঞ্চগুলো আমাদের জন্য চিরচেনা হয়ে উঠেছে, যেখানে আমরা প্রতিদিনই বসি। দোকানদার আমাদের এক নজর দেখেই চায়ের অর্ডার দিয়ে দেন, কারণ তিনি আমাদের প্রতিদিনের রুটিনটা ভালোমতোই জানেন।চায়ের ধোঁয়া ওঠা কাপে চুমুক দেওয়ার আগেই আড্ডা শুরু হয়ে যায়। ক্লাসের কথা, পরীক্ষার প্রস্তুতির কথা, আর কে কেমন করছে, তা নিয়ে আলোচনার মধ্যেই শুরু হয় আমাদের আড্ডার প্রথম ধাপ। এরপর ধীরে ধীরে কথার বিষয় বদলে যেতে থাকে। কারও মজার কোনও ঘটনা, কোনও হাস্যকর ভুলভ্রান্তি, বা কোনও অদ্ভুত পরিস্থিতি যা ক্লাসে ঘটেছিল, তা নিয়ে আলোচনা শুরু হলে, হাসির ঝড় উঠে যায়। কারও কথায় এমন হেসে লুটিয়ে পড়ি যে, মনে হয় পুরো পৃথিবী যেন থেমে গেছে। আমাদের এই আড্ডার হাসির ফোয়ারা আর রসিকতার মাঝে আশেপাশের কোলাহল বা রাস্তার ব্যস্ততা আমাদের কোনওভাবেই ছুঁতে পারে না।আড্ডা শুধু হাসির গল্পে সীমাবদ্ধ থাকে না। কিছুক্ষণ পর, খুব গম্ভীর আলোচনার দিকে কথাবার্তা মোড় নিতে থাকে। আমাদের ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কে জীবনে কী করতে চায়, কার কী স্বপ্ন, কেমনভাবে জীবনের লক্ষ্য পূরণ করা যায়—এসব নিয়ে গভীর আলাপ চলে। কেউ জীবনের কঠিন সময়ের কথা শেয়ার করলে, অন্যরা মন থেকে তার পাশে দাঁড়ায়, সান্ত্বনা দেয়, সাহস যোগায়। আমাদের এই আড্ডার মাঝে একে অপরের প্রতি যে সহানুভূতি ও আন্তরিকতা, তা যেন আমাদের বন্ধুত্বকে আরও মজবুত করে তোলে। এই সব আলোচনা কখনও কখনও গভীর ভাবনার দিকে ঠেলে দেয়, যেন আমরা আমাদের নিজেদের সম্পর্কে নতুন কিছু জানি বা বুঝি।চায়ের দোকানের মালিকও আমাদের চেনা মুখ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিনই তিনি আমাদের হাসিখুশি দেখে মিটিমিটি হাসেন। চায়ের কাপে চা ঢালার সময়ও তিনি যেন সেই চায়ে কিছুটা ভালবাসা ঢেলে দেন। আমাদের হাসি-আড্ডার শব্দে পুরো দোকান যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে। চায়ের প্রতিটি চুমুকেই যেন নতুন শক্তি ফিরে আসে, ক্লান্তি আর বিষণ্ণতা মুহূর্তেই মুছে যায়। আমরা সবাই মিলে কথা বলি, হাসি, গল্প করি, আর সময় যেন উড়ে যায়। কখনও কখনও ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়, অথচ আমাদের আড্ডা শেষ হয় না। এমনকি সন্ধ্যা নামলেও মনে হয় সময়ের কোনো হিসাব নেই, আমরা শুধু এই মুহূর্তেই বেঁচে আছি।আমাদের আড্ডার গল্পগুলো শুধু ক্লাসের মজার ঘটনা বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। মাঝে মাঝে জীবন নিয়ে দার্শনিক আলোচনা শুরু হয়। কেউ হয়তো কোনও বইয়ের কথা বলে, কেউ সিনেমা নিয়ে তর্ক করে। আমরা বিভিন্ন মতের মানুষেরা একত্রে বসে যখন এসব নিয়ে আলোচনা করি, তখন মনে হয় যেন আমরা নিজেদের থেকে আরও বেশি কিছু জানতে পারছি। আমাদের চিন্তাভাবনার দিগন্ত প্রসারিত হয়, আর আমাদের আড্ডার প্রতিটি মুহূর্তে যেন নতুন কিছু শিখি।আসলে, এই চায়ের আড্ডাগুলো কেবলমাত্র বন্ধুত্বের কথোপকথন নয়, বরং এগুলো আমাদের জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সময়ের অংশ। জীবনের ব্যস্ততায় আমরা হয়তো এসব মুহূর্তের মূল্য এখন তেমনভাবে বুঝতে পারছি না, কিন্তু ভবিষ্যতে যখন আমরা সবাই ব্যস্ত জীবনযাপন করবো, তখন এই আড্ডাগুলোর স্মৃতি আমাদের কাছে সবচেয়ে প্রিয় হয়ে থাকবে। আজ আমরা চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে হাসি-গল্প করছি, কিন্তু একদিন যখন আমরা সবাই ভিন্ন পথে চলে যাবো, তখন এই চায়ের আড্ডাগুলোই আমাদের একত্রে বেঁধে রাখবে।এই বন্ধুত্ব, এই আড্ডা, এই চায়ের দোকান—সবকিছুই যেন আমাদের জীবনের অমূল্য সম্পদ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন আমরা এখানে এসে জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করি, আর সেই অধ্যায়গুলোই আমাদের স্মৃতির পাতায় অমর হয়ে থাকবে। চায়ের কাপে প্রতিদিন নতুন গল্প মেশে, আর সেই গল্পগুলো আমাদের বন্ধুত্বের এক শক্তিশালী ভিত্তি গড়ে তোলে। আমরা প্রতিদিনই এই আড্ডায় ফিরে আসি, যেন এই মুহূর্তগুলো কোনওদিন শেষ না হয়, যেন এই বন্ধুত্ব আর আড্ডা চিরকাল অটুট থাকে।

@jubayer001

My best wishes and congratulations to all the users who will visit this post of mine today.


Join Our Community blurt space


1000057252.jpg

my identity

1000044069.png

My name is Md Jubayer Hossain. I live in Kamarkhali Village of Matmara Union of Khulna Division, Gangni Police Station, Meherpur District, Bangladesh. I grew up in the village since childhood. I am currently a student of class XI. I am currently studying in Gangni Govt Degree College. I like to travel at different times and like to do photography. Ever since I was a child, I have dreamed of becoming a freelancer when I grow up. I have concluded my introduction in brief thanks to all of you.

💞Thank you for visiting my blog💞✨

Authors get paid when people like you upvote their post.
If you enjoyed what you read here, create your account today and start earning FREE BLURT!
Sort Order:  
  ·  26 days ago  ·  

Nice