বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
প্রিয় পাঠক! আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। কেমন আছেন সবাই আশা করি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়া এবং আল্লাহর অসীম রহমতে ভালো আছি। আজকের আলোচনা "আমার ভাগ্নের দ্বিনি প্রতিষ্ঠানে আজ " নিয়ে।
আমার এক ভাগ্নে আজকে আমাদের মত বেশ কিছু হুজুরদেরকে দাওয়াত দিয়ে একত্রিত করেন আমার সেই ভাগ্নে একটি দ্বীনি প্রতিষ্ঠান চালু করেছে সেই দিনে প্রতিষ্ঠানের নাম হচ্ছে দারুল হাফিজিন ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা আমার সেই ভাগ্নে বেশ কয়েক বছর যাবত মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছে তিনি অত্যন্ত নিবিড়ভাবে তার মাদ্রাসা পরিচালনা করে আসছেন এবং জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় ছাত্রদের অংশগ্রহণ করে বেশ কিছু সফলতা অর্জন করেছেন আমার সেই ভাগ্নে তার মাদ্রাসাকে আরো কিভাবে অগ্রসর করা যায় কিভাবে সফলতার দারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়া যায় সেই পরিকল্পনাই আমাদের মত বেশ কিছু মুরুব্বীদের দাওয়াত করে তার মাদ্রাসায় মধ্যাহ্ন ভোজের নিমন্ত্রণ করে
সেই নিমন্ত্রণে আমারও যাওয়ার সৌভাগ্য হয় এবং মুরব্বিদের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শোনার সুযোগ হয় তিনারা বলছিলেন কিভাবে একটি মাদ্রাসাকে সবার নিকট পৌঁছে দেওয়া যায় এবং মাদ্রাসাকে সবার কাছে পরিচিত করানো যায় অত্যন্ত চমৎকারভাবে আব্দুর শুকুর মুরুব্বী এসব কথা আমাদের সামনে আলোচনা করছিলেন তিনার কথা শুনে আমরা সবাই মুগ্ধ হই এবং অন্যান্য মতামত দিয়ে সহযোগিতা করেন এবং প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বর্তমান সময়ে মাদ্রাসা শিক্ষার গুরুত্ব অনেক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে আমরা যখন আমাদের সমাজটাকে অধঃপতনের দিকে যেতে দিচ্ছি সেই সময়ে মাদ্রাসার তরুণ যুবক কিছু মুরুব্বিরা সমাজটাকে কিভাবে একটি সুন্দর পরিবেশে নিয়ে আসা যায় সেই চিন্তা ভাবনা করি এই মাদ্রাসাগুলো প্রতিষ্ঠা করার চালানো হচ্ছে। আমার ভাগ্নে সেই আঙ্গিকেই তার প্রতিষ্ঠানটি দাঁড় করায় এবং যাতে করে কোমলমতি শিশুরা ছোট্ট থেকেই ইসলামের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো জেনে নিজে জীবনে বাস্তবায়িত করে এবং সমাজকে কলস মুক্ত করে একটি সুন্দর সমাজ উপহার দিতে পারে সেই প্রচেষ্টাই তিনি অগ্রসর হচ্ছেন।
আজকে আমার খুব ভালো লেগেছে আমার ভাগ্নের এরকম ধরনের একটি সুন্দর আয়োজন করার। আমি অত্যন্ত আনন্দিত হয়েছি এবং সেই সাথে খুশিও হয়েছি যে আমাদের অত্র এলাকায় এ ধরনের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে সেটাকে আন্তর্জাতিক রূপ দেওয়ার জন্য তিনি আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন আমরা সবাই এই প্রতিষ্ঠান থেকে অগ্রসর করার জন্য সর্বাত্মক সব রকমের সহযোগিতা করার প্রত্যয়ী ব্যক্ত করি।
সোর্স
যারা এসেছিলেন বয়সে প্রায় সকলেই তরুণ এবং উদীয়মান প্রতিভার অধিকারী তারা সকলেই চাই যে আমাদের অত্র এলাকায় এ ধরনের একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠুক এবং এখান থেকে পৃথিবীর বুকে চারিদিকে আলো ছড়িয়ে পড়ুক কোরআনের আলোয় উদ্ভাসিত হোক আমাদের এই জন্মভূমি এবং আমাদের এই পৃথিবী।
সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের আর্টিকেলটি এখানেই পরিসমাপ্তি করছি।