বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
পরম করুনাময় আল্লাহর নামের শুরু করেছি। হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা! শুরুতেই আমি আপনাদেরকে জিজ্ঞেস করতে চাই আপনারা কেমন আছেন? আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভাল আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভাল আছি। আবারো আমি আপনাদের মাঝে নতুন একটি বিষয় নিয়ে উপস্থিত হলাম, গতকালকে আমি বলেছিলাম যে, পরবর্তী লেখায় আমি আমার ট্রেনের ভ্রমণ সম্পর্কে লিখব, এবং কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
আমি যখন শহীদ এম মনসুর আলী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাই, তখন প্লাটফর্ম একেবারে ফাঁকা ছিল, আমি তখন মনে মনে চিন্তা করলাম, হয়তো ট্রেন চলে গিয়েছে। এবং মনে মনে অনেক আফসোস করলাম। এজন্য যে, ৩ঃ৩০ মিনিটে যে ট্রেনটি ছিল সেটিও মিস করেছি, সেই ট্রেনটি মিস হওয়ার কারণ হচ্ছে, আমার এক বন্ধু ঢাকা থেকে ফোন করেছিল, বলেছিল আমার জন্য ওষুধ নিয়ে আসবে। তাই আমার ওই বন্ধুর ওষুধ নেওয়ার জন্য আমার আরেক বন্ধুর হোমিও ফার্মেসিতে যাই। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত দোকান বন্ধ ছিল। তখন আমি আমার বন্ধুকে ফোন করি, কিন্তু ফোন বন্ধ থাকার কারণে কল যাচ্ছিল না। এরপর সেখানে বসে রইলাম, এবং মনে মনে নিয়ত করি, যেই পর্যন্ত আমার বন্ধু না আসবে সে পর্যন্ত যাবনা। কারণ ওষুধ আমাকে নিতেই হবে। অবশেষে ৪ঃ০০ সময় আমার বন্ধু এসে দোকান খুললো, এরপর আমি ওর সাথে কথাবার্তা বলে ওষুধ নিয়ে চলে গেলাম। কিন্তু ততক্ষণে আমার প্রথম ট্রেন চলে গিয়েছে, পরবর্তী ট্রেন ৪:৩০ মিনিটে। এজন্য আমি খুব দ্রুত টিকিট কাউন্টারে যাওয়ার চেষ্টা করি। টিকিট কাউন্টারে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমার পাঁচটা বেজে গিয়েছে, তাই আমি মনে করেছিলাম দ্বিতীয় ট্রেনটাও চলে গিয়েছে।
এতপর আমি কাউন্টারে যাই এবং জিজ্ঞেস করি, ভাই লালমনি এক্সপ্রেস আছে না চলে গিয়েছে? তখন আমাকে উত্তরে বলল আছে, লালমনি এক্সপ্রেস এখনো যায়নি। আমি বললাম তাহলে একটি টিকেট দেন, তখন আমার কাছে টাকা খুচরা ছিল না, টিকিটের দাম হচ্ছে ২২৫ টাকা। আমার কাছে শুধু ২২৫ টাকায় খুচরা ছিল বাকি সব এক হাজার টাকার নোট, আমি যদি সেই ২২৫ টাকা দিয়ে দিই, তাহলে ট্রেন থেকে নামার পরে ১০ টাকা বাস ভাড়া দিতে হবে, আর ১০০০ টাকার নোট ভাংতি করে ১০ টাকা ভাড়া দেওয়া অসম্ভব। তাই আমি সেখানেই ভাংতি করার চেষ্টা করি। কিন্তু উনি আমাকে দুটি ৫০০ টাকার নোট দিয়ে বললেন এর চেয়ে বেশি খুচরা আমার কাছে নেই। হঠাৎ করে দেখি ট্রেন চলে এসেছে।
তখন আমি বললাম আচ্ছা আপনি তাড়াতাড়ি আগে টিকিট দিন, আমি আপনাকে টাকা দিচ্ছি। এরপরে খুচরা ২২৫ টাকা দিয়ে একটি টিকিট নিলাম। ঠিক তখনই ট্রেনের বাঁশি দিয়ে দিল এবং ট্রেন ছেড়ে দিল, আমি দ্রুত ট্রেনে উঠে পড়লাম। ট্রেনের মধ্যে যাওয়ার পরে দেখলাম কোন সিট ফাঁকা আছে কিনা! কয়েকটি সিট ফাঁকা দেখলাম, তখন পাশের জনকে জিজ্ঞেস করলাম ভাই এই সিটে কি লোক আছে? উত্তরে বলল হ্যা আছে। এরপরে এক চাচার কাছে একটি সিট টাকা ছিল, আমি জিজ্ঞেস করলাম চাচা এখানে কি কোন লোক আছে? উত্তরে বলল না এখানে কোন লোক নেই তুমি বুঝতে পারো। তখন আমি সেখানে বসে পড়লাম। ট্রেনের মধ্যে একটি ফটো ওঠালাম।
ট্রেন তার নিজ গতিতে চলতেছিল, এরপরে যমুনা সেতুর পশ্চিম পাশে ১০ মিনিটের জন্য ব্রেক দিল। তখন অনেকেই নেমে পড়ল আমিও কিছুক্ষণের জন্য নিচে নামলাম, কারণ আমার কাছে খুচরা টাকা নেই এজন্য চিন্তা করলাম আমি আগে টাকা খুচরা করে নেই, তাছাড়া যখন ট্রেন থেকে নামবো তখন রাত্রি নয়টা দশটা বাজতে পারে, তখন তো টাকা ভাংতি করার সুযোগ থাকবে না। তাই সেখান থেকে কিছু নাস্তা কেনার জন্য একটি দোকানে গেলাম, জিজ্ঞেস করলাম ভাই একটি চিপস নেব ৫০০ টাকার নোট ভাংতি হবে? উনি আমার সাথে এমন একটা ভাব নিল মনে হচ্ছে যেন আমি তার থেকে বিনা টাকায় নিচ্ছি।
এরপরে আরো দুটি দোকানে জিজ্ঞেস করলাম কিন্তু কেউ অল্প নাস্তায় ভাংতি দিতে চাইল না। এরপরে আরো কিছু নাস্তা বাড়িয়ে নিলাম, তখন দিতে চাইলো, এরপরে যখন আমি দুটি কলা ছিড়লাম এবং চিপস নিতেছিলাম, তখন ট্রেনের বাঁশি দিল, এখন সেখানে প্ল্যাটফর্ম নেই, ট্রেনে উঠতে হলে কষ্ট করে উঠতে হয়, তখন তো আমি মহা বিপদে পড়ে গেলাম। এখন আমি কোনটা নেব? ৫০০ টাকার নোট দিয়েছি ভাংতি নেব নাকি নাস্তা নেব নাকি ট্রেনে উঠবো? ট্রেনের মধ্যে তো ব্যাগ রয়ে গেছে। নাস্তা ও নিলাম টাকা ভাংতিও নিলাম সব করলাম কিন্তু এতক্ষণে ট্রেন দ্রুত চলা শুরু হয়েছিল।
যখন টাকা হাতে নিলাম তখন কয় টাকা দিয়েছে আমি জানিনা, আমি শুধু বলেছি টাকা কি ঠিক আছে? দোকানদার বলল হ্যাঁ ঠিক আছে। আমি দৌড়ে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করি এবং উঠে পড়ি। এরপরে ভিতরে গিয়ে টাকা গুনে দেখি ৪৬০ টাকা দিয়েছে এবং ৪০ টাকা রেখে দিয়েছে। আমার বিল হয়েছিল পঁচিশ টাকা ১৫ টাকা বেশি রেখেছে। যাক এরপরও শুকরিয়া আদায় করলাম খুব বেশি ক্ষতি হয়নি। এরপরে ট্রেন আপন অবস্থায় চলতেছিল, যখন যমুনা সেতুর উপর উঠলো তখন জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখি যমুনা সেতুর পাশ দিয়ে রেললাইন করছে সেটির ফটোগ্রাফি উঠালাম।
অতঃপর যখন কমলাপুর স্টেশনে এসে নামলাম তখন রাত্রি 9 টা বেজে গিয়েছিল। সেখানে নামার পরে আরো কয়েকটি স্টেশনের ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করলাম। এবং বের হওয়ার সময় টিকিট কাউন্টারের পুরো জায়গার একটি ফটোগ্রাফিও নিয়ে নিলাম। এখানে সকলেই টিকিট কাটার জন্য আসে এবং লাইনে দাঁড়ায়। জায়গাটা বেশ বড় চেষ্টা করেছি ফটোর মধ্যে পুরো জায়গাটুকু আনার জন্য।
এই ছিল আমার ট্রেনের ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত। লেখাকে পড়ে আপনাদের কেমন লেগেছে অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন।
আজকের মত এই পর্যন্তই সমাপ্ত সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন, দেখা হবে পরবর্তী পোস্টে।
Bismillahir Rahmanir Rahim.
Assalamu Alaikum wa Rahmatullah.
I started in the name of Allah, the Most Gracious. Hello Steam dear friends! At the beginning, I want to ask you how are you? I hope you are all very well. I am also very well, Alhamdulillah, with your prayers. Once again, I have come to you with a new topic, yesterday I said that in the next article I will write about my train journey, and I will present some photographs to you.
When I reached Shaheed M Mansur Ali Railway Station, the platform was completely empty, I thought to myself that maybe the train had left. And I regretted it a lot. That is why I missed the train that was at 3:30, the reason for missing that train was that a friend of mine called from Dhaka, said that he would bring medicine for me. So I went to another friend's homeopathic pharmacy to get the medicine for that friend. But unfortunately the shop was closed. Then I called my friend, but the call was not going through because the phone was switched off. Then I sat there, and made a mental resolution that I would not go until my friend came. Because I had to take the medicine. Finally, my friend came at 4:00 and opened the shop, after which I talked to him and went with the medicine. But by then my first train had left, the next train was at 4:30. That is why I tried to go to the ticket counter very quickly. By the time I reached the ticket counter, it was already five o'clock, so I thought the second train had also left.
Then I went to the counter and asked, brother, is the Lalmoni Express still there or not? Then he replied to me that it was there, the Lalmoni Express had not left yet. I said then give me a ticket, then I did not have any change, the ticket price was 225 taka. I only had 225 taka in change, all the remaining 1000 taka notes, if I give that 225 taka, then after getting off the train I will have to pay 10 taka for bus fare, and it is impossible to pay 10 taka by breaking the 1000 taka note into 10 taka. So I tried to break it there. But he gave me two 500 taka notes and said that I don't have more change than that. Suddenly I saw that the train had arrived.
Then I said, okay, you hurry up and give me the ticket first, I will give you the money. Then I bought a ticket with 225 taka in change. Just then the train whistle blew and the train left, I quickly got on the train. After entering the train, I saw if there was any empty seat! I saw a few empty seats, then I asked the person next to me, brother, is there anyone in this seat? He replied, yes, there is. Then an uncle had a seat in money, I asked, uncle, is there anyone here? He replied, no, there is no one here, you understand. Then I sat down there. I took a photo in the train.
The train was moving at its own speed, then it braked for 10 minutes on the western side of the Jamuna Bridge. Then many people got down and I also got down for a while, because I did not have any change, I thought that I had not changed the money first, besides, when I got off the train, it might be nine or ten at night, then there would be no opportunity to exchange money. So I went to a shop from there to buy some snacks, I asked, brother, should I take a chip, will I exchange a 500 rupee note? He made such an impression on me that I feel as if I was taking it from him for nothing.
After that, I asked at two more shops but no one wanted to exchange a small snack. Then I took some more snacks, then they wanted to give it, then when I had peeled two bananas and was about to take the chips, the train whistle blew, now there is no platform, if you want to get on the train you have to climb up with difficulty, then I was in great danger. Now which one should I take? I gave a 500 rupee note, should I take the chip or should I get on the train? The bag was left in the train. I bought breakfast and bought clothes, bought clothes, bought everything, but by now the train was moving fast.
When I took the money, I don't know how much I paid, I just said is the money okay? The shopkeeper said yes, it's okay. I ran and tried to get on the train and got off. Then I went inside and counted the money and saw that I had paid 460 taka and had kept 40 taka. My bill was 25 taka and they had kept 15 taka more. Even then, I was thankful that there was no much damage. After that, the train was running normally, when it got on the Jamuna Bridge, I looked out the window and saw the railway line passing by the Jamuna Bridge, so I took a photograph of it.
Then when I got off at Kamalapur station, it was 9 pm. After getting off there, I collected photographs of a few more stations. And when I came out, I also took a photograph of the entire ticket counter. Here, everyone comes to buy tickets and stands in line. The place is quite big, so I tried to get the whole place in the photo.
These were some moments from my train journey. Please leave a comment and let me know how you liked the article.
That's it for today, everyone, stay safe and healthy, see you in the next post.
Device | Name |
---|---|
Android | Samsung A12 |
Camera | 48MP 5MP 2MP 2MP |
Location | Bangladesh 🇧🇩 |
Short by | @abdulmomin |
** Your post has been upvoted (16.18 %) **
Curation Trail is Open!
Join Trail Here
Delegate more BP for bigger Upvote + Daily BLURT 😉
Delegate BP Here
Upvote
https://blurtblock.herokuapp.com/blurt/upvote
Thank you 🙂 @tomoyan