আমাদের মানসিকতাগুলো পরিবর্তন করা উচিত?
বর্তমান সময়ে আমরা এমন একটা সময়ে এসে দাঁড়িয়েছি, যেখানে মানুষের মূল উদ্দেশ্য হয়ে দাড়িয়েছে টাকা উপার্জন। এটা হতে পারে সৎ বা অসৎ উপায়ে। তবে হিসাব করলে দেখা যাবে শতকরা ৭০ ভাগ মানুষই কোনো না কোনো ভাবে অসৎ উপায়ে অর্থ উপার্জন করে থাকে। তবে এর মাঝে কিছু লোক থাকবেন, যারা অনেক সময় নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে উপার্জন করতে বাধ্য হন, মানে সকাজ তাকে এটা করতে বাধ্য করে। শুধু এই বিষয়টায় নয়, আমরা আমাদের নিজের নিজের ভালো করার জন্য, অন্যের ক্ষতি করতেও কিছু মনে করি না। আখিরাতে আমাদের জন্য এর ভয়াবহ পরিস্থিতির কথাও স্মরণ করি না। মনে করি পৃথিবীর সুখই যেন সব।
গতকালকের একটা ঘটনা বলি। কোচিং এ ক্লাস করতেছিলাম, হঠাৎ দেখি পাশের ক্লাস থেকে বড় ভাই এসে দরজায় নক দিল। এরপর আমাদের ক্লাসের ভাই বের হয়ে গেলেন। আমি ভাবলাম মনে হয় সিসি এসেছে, কিন্তু পরে দেখি না, অন্য একজন ভাই। তিনি এসেই বললেন পাশের রুম থেকে দুইটা ক্যালকুলেটর চুরি হয়েছ আপনারা কি জানেন? আমরা বললাম না। তিনি বললেন মাগরিবের নামাজের সময় আমরা যখন সবাই নামাজে যায়, তখন হয়ত কেউ একজন কাজগুলো করেছে। এর আগেও এমন ঘটনা ঘঠেছে। এডমিশনে এসে এমন মনমানসিকতা নিয়ে আমরা কিভাবে চলি। যেখানে সৎ থেকে পড়াশুনা করা উচিত। আল্লাহ না করুক কোন উছিলায় আমার চান্স হয়ে যায় আবার কোন উছিলায় চান্স না হয়।
বর্তমানে ক্যালকুলেটরগুলোর দাম প্রায় ৫ হাজার টাকা। অনেকে আছে যারা কিনতে পারে না এতো দাম বলে। কিম্তু তাই বলে এটা নয় চুরি করতে হবে। এটা আমাদের কেমন মানসিকতা। এজন্য আমি আমার ক্যালকুলেটরটা কোচিং নিয়েই যায় না। কারণ অনেক কষ্ট করে টাকা ম্যানেজ করে ক্যালকুলেটরটা কিনেছি৷ হারালে হয়ত আর কেনা হবে না। আমরা কোন সমাজে বাস করি, যেখান সাধারণ কিছু টাকা মূল্যের একটা ক্যালকুলেটর কোচিং এর রুমে রেখে নামাজে যাওয়ার ভরসা টুকু আমরা পায় না। আমাদের মানসিকতাটা কতটা নিচে নেমে গেছে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত এই মানসিকতাকে পরিবর্তন করা।
সবাই ভালে থাকবেন, সুস্থ থাকবেন।
ধন্যবাদ।