আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
কক্সবাজার লাবনী পয়েন্টে রাজা চা খাওয়ার অনুভূতি। |
---|
সবাই টাইটেল দেখেই বুঝে গিয়েছেন আজকে কি বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে কক্সবাজার ঘুরতে গিয়েছিলাম। তখন এদিক ওদিক ঘুরাঘুরির মাঝে লাবনী পয়েন্টে একটি দোকানে রাজা চা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করতে যাচ্ছি। তো কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করি।
বাংলাদেশে ঘুরাঘুরির জন্য একদম বেস্ট একটা জায়গা হচ্ছে কক্সবাজার। প্রতিবছর গড়ে ৬৩ লক্ষ লোক সেখানে ভিজিট করতে যায়।সমুদ্র সৈকত কে কেন্দ্র করেই মানুষ সেখানে যায়। আর আশেপাশে আরো কিছু পিকনিক স্পট আছে সেগুলোও দেখতে পারে।আর কক্সবাজার বন্ধুরা মিলে ও ফ্যামিলি সহ আমিও মোট ছয়বারের মতো গিয়েছিলাম সেখানে।
যাক সেটা বিষয় নয়। এই কক্সবাজারে দুটো মেইন পয়েন্ট রয়েছে। একটা হচ্ছে লাবনী পয়েন্ট, আর একটা হচ্ছে সুগন্ধা পয়েন্ট।লাবনী পয়েন্ট একটা সময় অনেক জমাজমাট ছিল,কিন্তু এখন সেটা আর নেই। তবে রাজা চায়ের দোকান ওই লাবনী পয়েন্টেই অবস্থিত।প্রথমবারের মতো রাজা চা খেতে গেলাম সেখানে।
ফ্যামিলি সহ গেয়েছিলাম সেই বিখ্যাত রাজা চা খেতে। ভিতরে ঢুকে একজনের কাছে শুনতে পাই যে এই প্রতিষ্ঠানটি বা বিখ্যাত রাজা চায়ের ২৭ টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে পুরো বাংলাদেশ জুড়ে। কক্সবাজারে এটি তাদের নতুন একটি প্রতিষ্ঠান।বেশিদিন হয় নাই এই কক্সবাজারে তাদের প্রতিষ্ঠানটি চালু করেছে।
রাজা চায়ের মধ্যে অনেক আইটেমের চা রয়েছে।এমন এমন চায়ের নাম রয়েছে যেগুলো প্রথমবার শুনলাম। যাক প্রথমে তারা আমাদেরকে একটি মেনু দিল। যেখানে অনেকগুলো চায়ের নাম এবং প্রাইস লেখা আছে। ২০ টাকা থেকে শুরু করে ২৫০ টাকা পর্যন্ত চা ছিলো সেখানে। আর নিঃসন্দেহে বলা যায় এক একটা চায়ের টেস্ট একেক রকম। আমরা আমাদের জন্য পছন্দমত চায়ের অর্ডার করলাম।আর আমাদের সাথে এক বন্ধু ছিল সে তার জন্য রং চায়ের অর্ডার করলো।
তারা চা রেডি করতে প্রায় আধাঘন্টা সময় লাগিয়েছে। আর এরই মাঝে তাদের যে অর্জন ছিল সেগুলোর দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছিলাম। রাজা চায়ের জন্য তারা কোথায় কোথায় রিওয়ার্ড অর্জন করেছে সেগুলো প্রিন্ট করে দেওয়ালে লাগিয়ে দিয়েছে।সেগুলো দেখতে দেখতে আমাদের চা সামনে চলে এলো।চা গুলো মাটির পাত্রে দিয়েছে এবং খুব সুন্দর করে টিস্যু দিয়ে মুড়িয়ে দিয়েছে যাতে করে ধরতে অসুবিধা না হয়।
চুমুক দিয়ে বুঝতে পারলাম এই চায়ের মাঝে অনেক কিছু দেয়া হয়েছে। আর ওপরে কিছু কাজুবাদাম ও দুধের পাউডার ছিটে দেয়া হয়েছিল। চা টা খেতে খেতে আরো একজন থেকে তাদের এই চায়ের অনেক প্রশংসা শুনলাম। প্রশংসা শুনতে শুনতে চা টা খাওয়া শেষ হলো। আর চা খাওয়া শেষে এতটুকু বুঝতে পারলাম যে প্রশংসা আর চায়ের স্বাধ বরাবর ছিল।
মোটামুটি যারাই কক্সবাজার যান সেখানে গিয়ে একবার চা খেয়ে আসবেন, আশা করছি ভালো লাগবে। আর যারা চা লাভার তাদের জন্য তো কোন কথাই নেই চায়ের জন্য একদম ঝাক্কাস একটি জায়গা আমি মনে করি। যাক সবশেষে আমরা চা টা খেয়ে সেখান থেকে আমাদের গন্তব্যে ফিরে গেলাম।বন্ধুরা এই ছিল আজকের বিষয় আশা করছি আপনারা পুরো ব্লগটি পড়েছেন।
তো বন্ধুরা এই ছিল কক্সবাজার লাবনী পয়েন্টে রাজা চা খাওয়ার অনুভূতি। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। আজকে আর কথা বাড়াবো না ।আগামীতে ভিন্ন কোন ভ্রমন পোস্ট নিয়ে আবারও ফিরে আসবো সে পর্যন্ত সবাই ভালো ও সুস্থ থাকবেন এই কামনায় বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের ব্লগ যেটি আমার মত করে আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই মন্তব্য করে জানাবেন।আর কষ্ট করে ব্লগটা যারা পড়েছেন তাদেরকে মনের অন্তস্থল থেকে জানাই অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ভ্রমন পোষ্ট। |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।
Hello @nevlu123! 🎉
Congratulations! Your post has caught the attention of the curator @baiboua from the Blurt LifeStyle community and has received our support. 🌟
We appreciate your contribution to the community and look forward to seeing more of your amazing content! Keep sharing your experiences and inspiring others. 🚀✨