কক্সবাজারে নিভৃতের গোসল করার আনন্দময় মুহূর্তগুলো।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।
মা-বাবার কাছে বাচ্চাদের খুশি হয়তবা সবচেয়ে বড় খুশি। কারণ তারা যদি দেখে তাদের বাচ্চারা কোন কারনে খুশি হয় তখন তাদের কাছেও ভালো লাগে। ঠিক তেমনি নিভৃত যখন কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পানিতে নেমে বেশ আনন্দ করেছিল তখন আমাদের কাছে এত ভালো লাগছিল যে সবগুলো মুহূর্ত ছবি এবং ভিডিওতে ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম। আজকে আপনাদের মাঝে সেই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য এসেছি।
আসলে আমরা সবাই কক্সবাজার যাওয়ার পর আপনাদের মাঝে অনেকগুলো পর্ব শেয়ার করেছি। তবে নিভৃত যে আলাদাভাবে অনেক বেশি আনন্দ করেছে সেটা শেয়ার করব। আজকে যখন ভ্রমণ পোস্ট রেডি করার জন্য গ্যালারিতে গেলাম তখন দেখলাম নিভৃতের অনেকগুলো ছবি আর ভিডিও। বাকি মুহূর্তগুলো শেয়ার করার আগে ভাবলাম আজকে শুধুমাত্র নিভৃতের অনুভূতি এবং আনন্দময় মুহূর্তগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।
সুগন্ধা বীচ থেকে হেটে হেটেই লাবনী বীচে পৌছালো নিভৃত।আমাদের সাথেই সে হাটছে আর দৌড়াচ্ছে। তবে পানির কাছাকাছি গিয়েই সে দৌড়াচ্ছিল।তাকে কি ধরে রাখা যায়। সে দৌড়ে পানির দিকে চলে যেতে চায়। এভাবে লাবনী বীচে এসে তাকে ডিম, কলা খাওয়ানোর পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিল। তারপর ছিল গোসলের পালা।তাই সে দৌড়াতে দৌড়াতে চলে গেল একদম পানির কাছে। তাকে ধরে রাখা মুশকিল। সিট থেকে নেমে সোজা পানির দিকে দৌড়াতে লাগলো।
যখন ঢেউ আসে তখন সে নিচে বসে যায় এবং পানিতে লাফালাফি করে। এত আনন্দ করছিল যে দেখে ভালো লাগছিল। আমি অনেকগুলো ভিডিও করে রেখেছি এবং অনেকগুলো ছবি তুলে রেখেছি। যদিও ভিডিও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে ছবিগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করছি। পানি পেলে বাচ্চারা এত খুশি হয় সেটা হয়তো সকল মা বাবা এটাই জানেন। কারণ বাচ্চারা পানি দিয়ে খেলা করতে বেশি পছন্দ করে।
নিভৃত সবসময়ই গোসল করার সময় পানি পেলে অনেক বেশি খুশি হয়ে যায়। পুকুরে গেলে সে অনেক লাফালাফি করে মাঝখানে চলে যাওয়ার জন্য। ঠিক সমুদ্রে গিয়েও সে অনেক বেশি লাফালাফি করছিল। পানি যখন তার দিকে তেড়ে আসে তখন সে এত নাচানাচি করে যে ঢেউ আচড়ে ফেলে দেয় তাকে। সে আবার দৌড়ে যায় ঢেউয়ের দিকে।ঢেউয়ের বেগ একেকবার একেকরকম। কখনও জোরে আসে আবার কখনো ধীরে আসে।এভাবে সে অনেক্ষণ সেখানে বসে খেলা করছিল।
তার বাবা তাকে ধরে রাখছিল যাতে করে বড় ঢেউ এসে তাকে ফেলে না দেয়। কারণ এভাবে ঢেউয়ের মাঝে যদি পড়ে যায় তাহলে সে বালুযুক্ত পানি খেয়ে ফেলবে। এজন্যই তাকে অনেক দূরে নিয়ে গিয়েও সে কোলে রেখেছে। তবুও তারা লাফালাফি কি কমে। সমুদ্রের যত গভীরে যায় ঢেউ তত জোরে আসে। ঢেউ কে পিছনে রেখে তারা এদিকে মুখ ঘুরিয়ে রাখে যাতে করে পিঠে এই ঢেউটা আছড়ে পড়ে। আর এই মুহূর্তগুলো আসলেই অনেক বেশি আনন্দের। যারা কক্সবাজার গিয়ে পানিতে গোসল করেছে তারাই মূলত এই আনন্দটা বুঝতে পারে।
যাই হোক সেদিন গোসল করে আসার পর তাকে চেঞ্জ করে দিয়েছিলাম। তবুও সে অনেক কান্নাকাটি করছিল আবার পানিতে নেমে যাওয়ার জন্য। শেষে আসার সময় আবার একটু পানিতে নেমেছিল।তখন আর গোসল করানো হয়নি। এভাবেই সেদিন নিভৃত মুহূর্তটা আনন্দে কাটিয়েছিল।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
|