উষার সকালে উঠি আমি ঘুম থেকে। মুগ্ধকর স্নিগ্ধ আবহাওয়া উপভোগ করি সেই সকালের। কিন্তু বেশি সময় উপভোগ করতে না পারায় আবারো বিছানায় শুয়ে পড়লাম, কেননা বাহিরে প্রচুর ঠান্ডা।
আবারো বিছানা থেকে উঠলাম প্রায় সাড়ে আটটার দিকে এবং ভাত খাইলাম এবং কাকার জন্য ভাত নিয়ে চলে গেলাম দোকানে। অবশ্য কাকার স্কুলে যাইতে হয়নি আজকে।
সকালবেলায় রোদ উঠেছিল লক্ষ্য করে দেখেন সূর্যের আলোর পথে আমার শরীর বাধা দিয়ে ছায়ার সৃষ্টি করেছে। সেই ছোটবেলার কথা মনে পড়ে কি কারো? এই ছায়াযুক্ত আলোর পথে কতইনা দৌড়াদৌড়ি করেছি, এমনকি ভয় দেখাচ্ছি তোর সাথে ওটা কি ভূত 😜
যাওয়ার পর কাকা ভাত খেয়ে নিল এবং দোকানের কিছু হলুদ ছিল যেগুলো একটু নরম হয়ে গেছে তাই রোদে শুকাতে দেওয়া হয়েছে। শুকানোর পর এই হলুদ গুঁড়া করা হবে এবং দোকানে বিক্রি করা হবে।
শুধুমাত্র নয় বরং আমরা মরিচের গুড়াও নিজেরাই গুঁড়া করে নিয়ে বিক্রি করে। আমরা নিজেরাই আবার এই হলুদ এবং মরিচের গুড়া বাড়িতে নিয়ে আসে এবং এগুলো আমরাও খাই। এগুলোতে কোন প্রকার কেমিক্যাল বা রং প্রয়োগ করা হয় না সম্পূর্ণ নির্ভেজাল।
দাড়ি চুল অনেক বড় হয়ে গেছে তাই হালকা একটু কেটে দিলাম ছেলুনে গিয়ে অর্থাৎ ছেলেদেরও এটা বিউটি পার্লার। মেয়েদের যেহেতু দাড়ি চুল কাটতে হয় না তাই তাদের সৌন্দর্যমন্ডিত করার লক্ষ্যে বিউটি পার্লার নাম কিন্তু ছেলেদের বিউটি পার্লার নাম বললে খুবই কম পরিচিত হয় তবে সেলুন কিংবা নাপিত বললে অধিকাংশ ব্যক্তি চিনে।
দাড়ি গোঁফ হালকা একটু কামিয়ে নিলাম, এবং একই সাথে মাথার চুল বেশ ছোট ছোট করলাম। অতিরিক্ত মাথার চুল বড় হয়ে গেলে আমার ভালো লাগে না কেননা মাথার চুল উঠতে শুরু করে। আগে তো প্রচুর পরিমাণে ছিল কিন্তু ইদানিং অনেক কমে গেছে উঠে গিয়ে। যদি বলতে যাই তাহলে SSC পরীক্ষার পর থেকে সর্বাধিক ওঠা শুরু হয়েছে।
দুপুর একটা বাজার পূর্বে আমি বাড়িতে চলে এসেছি এবং বাড়িতে এসে দেখি ছোট ভাইয়েরা খেলাধুলা করার জন্য অপেক্ষা করতেছে। আসার সাথে সাথেই বলতেছে চলো খেলাধুলা করি ভালো লাগছে না।
আমাদের তো আর মাঠ নেই। তাই আমাদের বাড়ির সামনে দিয়েই খেলাধুলা করি। কি আর করার আছে। আজকে মাসুম দের বাড়ির সামনে গিয়ে ক্রিকেট বল খেলা শুরু করে দিলাম। দুপুর একটা পর্যন্ত খেলাধুলা এরপর গোসল দিলাম।
বাড়িতে চাউল শেষ হয়ে গেছে। বিকেল বেলায় দোকানে গিয়ে ভাতের চাউল নিয়ে আসলাম। চাউল ছাড়া তো আর ভাত রান্না করা যায় না।
যেহেতু আমাদের চাষাবাদের জমি নেই বললেই চলে। কেননা যেটুকু চাষাবাদের জমি আছে চাষ করার মতো অবস্থা নেই কেননা দোকানে থাকতে হয়। যদি কট দেওয়া হয় তাহলে তিনভাগের এক ভাগ দেয় আমাদের। সেই ধান থেকে চাউল বের করে দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত খাওয়া যায় এরপর থেকে আবারও আমাদের কেনা চাউল খেতে হয়।
সন্ধ্যার দিকে হাঁটাহাঁটি করতেছি। ফুফাকে বললাম কি ব্যাপার মুরগি বেঁধে রেখেছেন কেন? বলে আর বলিও না, শুধু ছোট মুরগীদের ঠোকায়। এখন বেঁধে রেখেছি আর মুরগি খাওয়া দাওয়া করতেছে না ।
অথচ বাহিরে থেকে যে মুরগী গুলো আছে সেগুলো এসে খাওয়া-দাওয়া করতেছে যেগুলো খাবার বেঁধে রাখা মুখ দিয়ে দিয়েছি সেই খাবারগুলো অন্যদের মুরগি এসে খেয়ে নিচ্ছে।
আমাদের এই গ্রামে অধিকাংশ ব্যক্তি মুরগি পালন করে এবং হাঁস পালন করে। তবে সর্বাধিক মুরগি। আমি আজকের মত এ পর্যন্তই সমাপ্তি করতেছি। দেখা হবে পরবর্তী কোনো লেখায় সে পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।