বাড়ি ফেরার পথে,
পরিকল্পনা ছিল ভিন্ন হঠাৎ পরিবর্তন হলো এক কল পেয়ে। আচ্ছা চলুন তাহলে কিভাবে?
আমি কল্পনা করেছি যে সাহাপুর বাজার থেকে রেলস্টেশনে চলে যাব মাত্র ১৫ টাকা ভাড়া নিবে সময়ও কম লাগবে মাত্র দশ মিনিটের রাস্তা। সেখান থেকে জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেন ধরে ঢাকা চলে যাব এবং ঢাকা থেকে যদি ট্রেন ধরতে পারি আরো একটি তাহলে তো বেশ ভালো আর যদি ট্রেন মিস হয়ে যায় তাহলে বাস ধরে সিরাজগঞ্জে চলে আসব।
কিন্তু সেখানে আমাদের এলাকার বা সিরাজগঞ্জের কেউ ছিলনা আমি একাই পরিকল্পনা করেছি এবং সে অনুযায়ী যাওয়ার চিন্তাভাবনা করলাম কিন্তু যেদিন যাব তার আগের দিন সন্ধ্যাবেলায় আমার মোবাইলে একটি কল চলে আসে।
কলটি ছিল আমাদের এলাকারই একজনের। নাম তুষার। তুষার ভাই বলল আপনি যাবেন কবে আপনার শিফট কখন? বললাম ১৫ তারিখ এবং এ শিফট করে চলে যাব। বলতেছে তাহলে তো দুজনে একসাথে যাতে পরবো। বললাম তাহলে তো বেশ ভালই হয় চলুন তাহলে আমরা দুজনে একসাথেই যাই যেহেতু আমরা একই উপজেলায় থাকি।
আমি ১৫ তারিখে মর্নিং শিফটে যাই এবং দুপুর 11 টার দিকে অফিস থেকে বের হলাম। আমি স্যার এবং সুপারভাইজার এর সাথে কথা বলে অফিস থেকে বের হলাম। এরপর ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করলাম কখন বের হলে ভালো হয়।
যত দ্রুত সম্ভব আমাদের বের হতে হবে কেননা আমাদের অনেক দূরের জার্নি। দুপুর একটা বাজে বের হলাম। একটি হাইস গাড়িতে উঠে পড়লাম, ভাই সেই গাড়িতেই ছিল। আমাকে বলল সাদা গাড়ি এবং আমি বাম পাশ দিয়ে হাত ✋ বের করে দিয়ে আসি, তুমি দেখতে পারছো!
এরপর আমি গাড়িতে উঠলাম এবং ভৈরবে চলে গেলাম দীর্ঘ আড়াই ঘন্টা সময় লেগেছে। এরপর ভৈরব বাজার স্টেশনে চলে গেলাম। জানতে পারলাম ট্রেন তিনটার দিকে আসবে। খুব বেশি সময় নেই দ্রুত চলে আসবে তাই আমরা হালকা নাস্তা করে নিলাম।
এখনো দেখতে পাচ্ছি আসতেছে না। আবার ভাই কাউন্টারে যোগাযোগ করলো ঠিক আছে চারটার দিকে আসবে। অনেক অনেক সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হলো এবং এই সময়ের মধ্যে আমরা বেশ কিছু ছবি ধারণ করেছি এবং ঘোরাফেরা করলাম গল্প করলাম।
অবশেষে ট্রেনের দেখা মিলল সবাই স্টেশন থেকে পাকিয়ে দেখতেছে ওই তো ট্রেন এর মাথা দেখা যাচ্ছে। একটু পর পর বাঁশি দিচ্ছে ট্রেন। চিন্তার গন্তব্য স্থলে দাঁড়িয়ে গেল আমরা সবাই ট্রেনে উঠে পড়লাম কিন্তু প্রচণ্ড পরিমাণে লোকে লোকারণ যে কারণে বসে থাকা তো দূরের কথা ভেতরে জায়গা পর্যন্ত নেই মানুষজন দেখতে পারতেছি ছাদের উপর উঠে আছে।
এরপরেও আমরা কোন রকম করে ভেতরে চাপাচাপি করে উঠে পড়লাম। কেননা আমাদের দীর্ঘ সময় জার্নি করতে হবে রাত নয়টা বাঁচতে পারে আমাদের জামালপুর যাইতে। এ কারণে আমরা ভেতরেই উঠলাম।
ছোট্ট একটি বিরতির মাধ্যমে জেনে নেই যাতায়াতের খরচ যদিও এখনো নৌকা পার হই নাই এ কারণে সেই খরচটা তুলে ধরি নাই। তারপরেও পরের দিন সকাল বেলায় যখন আমি বাড়িতে গিয়েছিলাম সেই খরচ সহ তুলে ধরব।
Care | BDT | Steem price |
---|---|---|
Train | 225 | 12.5 |
CNG | 100 | 5.55 |
Auto Care | 30 | 1.16 |
Motorcycle | 250 | 13.88 |
Boat | 30 | 1.16 |
ওঠার পর প্রথম প্রথম একটু কষ্টই হলো এরপর যখন এই স্টেশন থেকে অন্য একটি স্টেশনে পৌঁছে গেল এবং দাঁড়ালো তখন বেশ কিছু মানুষ নামিয়ে পরল তখন আমাদের একটু বসার জায়গা হল তবে দীর্ঘ দুই থেকে আড়াই ঘন্টা পর। অনেক স্টেশন আছে যে স্টেশনে মানুষ খুবই কম নামে বরং মানুষ আরো ওকে বেশি ওঠে।
দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা জার্নি করার পর রাত 9 টা ২৫ মিনিটে জামালপুরে পৌঁছে গেলাম। এরপর সেই জায়গা থেকে একটি সিএনজি এবং অটো ধরে ডাইরেক্ট চলে গেলাম পিঙ্কনা ঘাটে। সেখান থেকে আবার অটো ধরে চলে গেলাম ছালাল চরের নৌকা ঘাটে।
কিন্তু তখন রাত এগারোটা ত্রিশ মিনিট এ কারণে নৌকা পায়নি শেষ পর্যন্ত আত্মীয় বাড়িতে চলে গেলাম। আমি সহ সেই ভাই দুজনে, আব্দুল্লাহকে কল করলাম আব্দুল্লাহ চলে আসছিল আমরা দুজন মিলে আব্দুল্লাহ সহ তিনজন হাঁটতে শুরু করলাম শেষ পর্যন্ত বারোটা বেজে গেল রাতের।
Telegram and Whatsapp