প্রিয় বন্ধুরা,
কেমন আছেন আপনারা আশা করি আলহামদুলিল্লাহ বেশ ভালো আছেন।
আজকের আলোচ্য বিষয় হচ্ছে এই সাদা ফুল নিয়ে। ফুলটির নাম সঠিক মনে পড়তেছে না। যদি আপনাদের জানা থাকে বা মনে পড়ে তাহলে অবশ্যই কমেন্টে উল্লেখ করতে পারেন।
ফুল আমাদের সকলের প্রিয়। যদি ফুলের ঘ্রান থাকে তাহলে আরও বেশি মনোমুগ্ধকর হয়ে থাকে। যদি ঘ্রানযুক্ত কয়েকটি ফুলের নামগুলি তার মধ্যে অন্যতম হবে বকুল ফুল, হাসনাহেনা ফুল, গোলাপ ফুল এছাড়াও আরো অনেক অনেক ফুল রয়েছে যেগুলো অত্যন্ত বেশি ঘ্রান যুক্ত।
আবার এমন অনেক ফুল রয়েছে যেগুলো অত্যন্ত চমৎকার দেখতে কিন্তু আপনি যদি সেই ফুলের ঘ্রাণ শুনতে যান তাহলে ঘ্রাণ ই পাবেন না। খুবই দুঃখজনক লাগে ঠিক সেই সময় এত সুন্দর ফুল যদি ঘাম থাকতো তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো তাই নয় কি আপনাদের কাছে কি মনে হয়?
আমি যে ফুলটি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি এই ফুলটি অত্যন্ত চমৎকার দেখতে খুবই সুন্দর সাদা ফুল যদি এই ফুলের ঘ্রাণ থাকতো তাহলে এই ফুল আরো বেশি পছন্দের মধ্যে অন্যতম একটি ফুল যুক্ত হত।
এই ফুলের ঘ্রান নেই তবুও কি এই ফুল মানুষের কাছে পছন্দ নয়! অবশ্যই পছন্দ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সুভাষের খুব প্রয়োজন আবার সৌন্দর্যেরও খুব প্রয়োজন তবে যেই ফুলে সুবাস থাকে সুবাস ছড়ায় গান চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে সেই ফুল সবাইকে মাতিয়ে তোলে।
লিখতে লিখতে মনে পড়ে গেল সেই পুরনো দিনের কথা। আমি তখন খুবই ছোট হয়তোবা 10 থেকে 12 বছর বয়স হবে আমার।
আমাদের বাড়িতে দুটি ফুলের গাছ ছিল যেই ফুল দুটির অত্যন্ত চমৎকার ঘ্রাণ। দেখিতো আনুমানিক করে একটু গেস করেন ধরতে পারেন কিনা!
আচ্ছা আমি বলে দিচ্ছি প্রথম ফুলের নাম যদি বলতে হয় তাহলে বলব হাসনাহেনা হেনা ফুল। সন্ধ্যা হলে অনেক অনেক সুবাস ছড়িয়ে পড়তে বাড়ির ভিতর।
যখন শ্বাস গ্রহণ করি যেন সার ছেড়ে দিতে ইচ্ছা করে না এত সুবাস ছিল সেই হাসনাহেনা ফুলের। আজও যখন মনে পড়ে যেন নাকে সেই সুবাস ঘ্রাণ খুঁজে পাই!
আরেকটি ফুলের কথা বলতে চাই সেই ফুল এর গাছ আমাদের ঘরের বাহিরে অর্থাৎ বারান্দার সাথেই ছিল সেই ফুলের নাম বকুল ফুল গাছটি ছিল অত্যন্ত বড়।
এই ফুলটি আমরা সকালবেলায় কুড়াতাম। কেননা এই ফুলটি সাধারণত সকালবেলায় নিচ দিয়ে পড়ে থাকে অর্থাৎ গাছের নিচে থাকে।
সেম কাহিনী সকালবেলায় এই বকুল ফুলের গান পাইতাম আবার সন্ধ্যা বেলায় সেই হাসনাহেনা ফুলের ঘ্রাণ পাইতাম কিন্তু সবার প্রথমে এই হাসনায় না ফুল গাছ কেটে ফেলা হলো বিভিন্ন কারণে।
একে একে আরও একটি ফুল গাছ কেটে ফেলা হলো বকুল ফুল। এই ফুল গাছ কেটে ফেলারো কারণ ছিল। আসলে এই ফুল গাছগুলো কাপতে ইচ্ছে না করলেও কেটে ফেলতে হয়েছে আমি বাড়িতে নাও করেছিলাম কিন্তু যেটা দরকার সেই কাজ কমপ্লিট করার জন্য গাছগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।
আর এই হাসনায় না ফুল গাছের আরো একটি ঘটনা তুলে ধরতে চাই আমি যখন ডিপ্লোমায় অধ্যায়নরত ছিলাম ঠিক সেই সময় যখন আমি কলেজে যেতাম বিশেষ করে রাত্রিবেলায় যখন খাওয়া-দাওয়া করতে যেতাম ক্যান্টিনে ঠিক সে সময় হাসনাহেনা ফুল গাছের ঘ্রাণ পাইতাম। কেননা আমাদের কলেজে হাসনাহেনা ফুল গাছ ছিল।