ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া এই ডিজিটাল প্রযুক্তিতে একটি দিন অতিবাহিত হবে কখনো কল্পনাও করি নাই! হ্যাঁ শুধুমাত্র আমার ক্ষেত্রে নয় প্রায় সকলের ক্ষেত্রেই এই ধারণাটি স্বাভাবিক!
আমি এই প্রথম দেখতে পারতেছি ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া বাংলাদেশ। হ্যাঁ ইন্টারনেট কানেকশন আসার পর থেকে এমন পরিস্থিতিতে কখনো করেনি কেউই; খুবই দুঃখজনক।
এই ইন্টারনেট ডিসকানেক্টেড হওয়ার পেছনে অনেক ইতিহাস নেই; কেননা মাত্র কয়েকদিন হল এই অবস্থার সম্মুখীন হয়েছে বাংলাদেশের সকল মানুষ। যদি আপনি রিচার্জ করেন তদন্ত করেন, অনুসন্ধান করেন তাহলে এর পেছনে অনেক তথ্য জানতে পারবেন।
ইন্টারনেট ছাড়া আমার অনুভূতি কেমন ছিল :- খুবই বাজে অনুভূতি আমার। কেননা ইন্টারনেট কানেকশন এর মাধ্যমে অনলাইন জগতে কাজ করার ক্ষেত্রে অনেক ব্যাঘাত ঘটেছে এছাড়াও দেশের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে সকলেই অজানা ছিল সেই কয়েকদিন।
এমনকি আমি দেখেছি রিচার্জ করা যাচ্ছে না বিকাশ বন্ধ করে দিয়েছে রিচার্জ করা। এমন পরিস্থিতিতে কখনো পড়তে হবে আমি কল্পনাও করতে পারি নাই। আমাদের এই বাংলাদেশে শুধুমাত্র এই কোটা আন্দোলন নিয়ে নয় বরং যে রাজত্ব করে সে অন্য দলের নেতা কর্মীদের ওপর অন্যায় ভাবে ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসিয়ে জেলে আটক করে। এভাবেও অনেক আন্দোলন হয়েছে দেশের পরিস্থিতি খুবই বাজে ছিল। এরপরেও নেট কানেকশন মোটামুটি সব চলছিল। কিন্তু বর্তমানে ছাত্রদের এই আন্দোলনে পুরো দেশ নয় বরং রেমিটেন্স যোদ্ধারাও তাদের জায়গা থেকে অটল।
যাই হোক, আমার অনুভূতি নেট কানেকশন ছাড়া সত্যিই মোটামুটি বাজে। তবে যদি ভিন্নভাবে চিন্তা করে দেখি তাহলে সেই পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে এবং পুরনো দিনগুলোতে তখন তো আর এই মোবাইল ছিল না। বিশেষ করে ১৩-১৪ সালে তখন আমরা অল্প বয়সী।
ওই সময়গুলোতে সত্যিই অনেক খেলাধুলা হতো অনেক আনন্দ হতো কেননা ঐ সময়গুলোতে মোবাইলের প্রচলন ছিল একেবারেই স্বল্প পরিমাণে। জমিয়ে আড্ডা হতো জমিয়ে খেলাধুলা হতো। সেই কথাগুলো সেই দৃশ্যগুলো চোখে ভাসমান ছিল এই কয়েকদিনে। এই দিক থেকে মোটামুটি অনুভূতিগুলো ভালো ছিল।
ইন্টারনেট ছাড়া একটি দিন পার হবে কখনো ভাবি নাই। তবে এমবি না কিনে একটি দিন পার করা একটি ভিন্ন বিষয়; আর পুরো বাংলাদেশ ইন্টারনেট কানেকশন এর বাহিরে দিন পার করবে এটা আশ্চর্যজনক।
আমার একটি দিন কিভাবে অতিক্রম হয়েছে তারই একটি কথা তুলে ধরতে চাই প্রশ্নের মাধ্যমে:-
একদিকে আমাদের অফিসও বন্ধ অন্যদিকে নেট কানেকশন সম্পূর্ণ অচল তাই তো বিছানা ছেড়ে ঘুম থেকে ওঠার সময় সেই বেলা নয়টা দশটা বেজে গেল। খাওয়া দাওয়া করলাম এরপর কি আর করার আছে সবাই আমরা একত্রিত হইলাম গল্প করতেছি এবং লুডু খেলা শুরু।
লুডু খেলার মধ্যে কি হাসি আনন্দ আহা, আবার খেলাধুলার মধ্যেও দেশের কথা নিয়ে অনেক সংলাপ আমাদের মাঝে হচ্ছিল। এভাবে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালাবে এটা কখনো আশা করা যায় না। কেন আজ শিক্ষার্থীদের ওপর এভাবে চলছে গুলি। কেন আজ শিক্ষার্থীদের ওপর এভাবে অত্যাচার নির্যাতন করার পরেও শিক্ষার্থীদের দমন করা যাচ্ছে না এরপর প্রধানমন্ত্রী তাদের সান্তনা দেয়! কেন শিক্ষার্থীদের ন্যায্য দাবি নিয়ে প্রথমেই কথা বলে না। যাদের নেতৃত্বে চলে গুলি, ছাত্রদের যখন দমন করা যায় না গুলিতেও; তখন তারা সান্তনার বাণী শুনায়। এভাবে আমাদের মাঝে অনেক কথা বার্তা চলতে থাকে এবং লুডু খেলাও চলছে।
বিকেল বেলায় অবশ্য ঘুরতে গিয়েছিলাম কেননা সারাদিন আর কত রুমের মধ্যে থাকা যায়। আমরা যেই জায়গায় অবস্থান করতেছি সেই জায়গা দিয়ে অবশ্য কোন আন্দোলন নেই কেননা এই জায়গাগুলো দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান একেবারেই নেই বললেই চলে। এই জায়গা বাসস্থানের নাম:- সাহাপুর বাজার, হবিগঞ্জ, মাধবপুর।
ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। আপনি আপনার জায়গা থেকেও জানেন এবং সকলেই সকলের জায়গা থেকে বুঝতে পারতেছি ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজনীয়তা কত!
প্রথমেই আমি যদি একটি কথা বলতে চাই দেশের সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে এই ইন্টারনেট কানেকশনের প্রয়োজনীয়তা অনেক অনেক বেশি যা অকল্পনীয়। শুধুমাত্র এই বাংলাদেশেরই নয় বরং পুরো বিশ্বের ক্ষেত্রে।
এই ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া দেশের খবর জানা যেমন অচল হয়ে আছে ঠিক তেমনি ভাবেই অফিস আদালত এর ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয় এমনকি রেমিটেন্স যোদ্ধা যারা রয়েছে তারা পাঠাতে পারতেছে না কোন উপকার রেমিটেন্স।
শুধু কি তাই! দেশে থেকেও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতার জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সার। অথচ দেশের পরিস্থিতি ভালো নেই নেই ইন্টারনেট কানেকশন তাহলে কিভাবে সচ্ছল হবে দেশের অর্থনৈতিক চাকা।
শুধু কি এই অর্থনৈতিক চাকা রেমিট্যান্স যোদ্ধা কিংবা ফ্রিল্যান্সার এরাই সচ্ছল করতেছে; একটি জাতিকে একটি দেশকে অসচ্ছল করে দিতে পারে একমাত্র জ্ঞান শূন্যের মাধ্যমে। অথচ শিক্ষার্থীদের ওপর এত অন্যায়, অবিচার, জুলুম, গুলি মেরে হত্যা করা।
এগুলো কি ইন্টারনেট কানেকশন ব্যতীত জানতে পারেন, না পারবেন না। কেননা এগুলো আপনাকে দেখাবে না। কেননা তাদের আসল মুখোশ কখনো উন্মোচিত করবে না, কিন্তু মানুষ জানে তাদের মুখোশ একদিন খুলে পড়বেই পড়বে। ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া আর কতদিন!
আগামী দিনের ভবিষ্যৎ যারা তাদের উপর এমন ভাবে গুলি করা হচ্ছে এমন ভাবে তাদেরকে স্তব্ধ করে দেওয়া হচ্ছে, যেন তারা তাদের পরিবারের কেউই এই লেখাপড়ায় না আসি জ্ঞান অর্জন করতে না আসে। আমি তো এটাই দেখতে পারতেছি।
দেখতো আপনি বাংলাদেশী ইউজার তাই আমাদের এই কমিউনিটিতে আপনাকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
Telegram and Whatsapp