প্রিয় পাঠক,
উপস্থিত হয়েছি রবিবারের দৈনন্দিন কার্যাবলী নিয়ে। মূলত এই রবিবারের দিন আমি বাড়ি থেকে শেরপুর আসি এবং শেরপুর থেকে রাত্রিবেলায় সিলেটে আসার জন্য বাসে উঠি। চলুন সম্পূর্ণ দৈনন্দিন কার্যাবলী শেয়ার করি।
সকালে উঠতে উঠতে বেশ দেরি হয়ে যায়। প্রচন্ড ঠান্ডা এবং বাহিরে এখনো সূর্যের আলো ভালোভাবে দেখা যাচ্ছে না। এদিকে মা ডাকাডাকি করতেছে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। সকালবেলায় ডিম খাইলাম।
শনিবারের দিন ভাপা পিঠা তৈরি করেছিল। আর আজকে অর্থাৎ রবিবারের দিন তৈরি করেছে দুধের পিঠার মত করে খেজুর পিঠা। তবে আমি অবশ্য এমন ভাবে খাইনি বললেই চলে, আজকেই হয়তো বা প্রথম। তবে হয়তোবা একবার দুইবার খেয়েছি খুব ভালো মনে নেই।
জুবায়ের এখনো শুয়েই রয়েছে তাই ওকে ডাকাডাকি করলাম এবং দুজন মিলে পিঠা খাওয়া দাওয়া করলাম। ও বলতেছে আমি খালার বাসায় চলে যাব। বললাম ঠিক আছে যাও সমস্যা নেই আগে খাওয়া দাওয়া করি তারপরে যাও সমস্যা নাই।
খাওয়া দাওয়া করলাম তখনও রোদ ওঠে নাই। শীতের পিঠা খাওয়া দাওয়া করার পর শীত যেন আরো বেশি ধরল। সেই রাত্রিবেলায় তৈরি করেছিল সকালবেলায় আরো প্রচন্ড ঠান্ডার সময় আর এই ঠান্ডার সময় ঠান্ডা পিঠা।
খাওয়া-দাওয়া করার পর বাহিরে দাঁড়িয়ে রইলাম বেশ কিছু সময় এবং গোলাপ ফুলের ছবি উঠালাম যদিও সম্পূর্ণ ফুল এখন পর্যন্ত ফুটে নাই তাই কলি এর ছবি তুলে নেই।
রুমের মধ্যে শুয়ে রয়েছি ডাকাডাকি করতেছে ইব্রাহিম। বলতেছে ভাইয়া আসো খেলাধুলা করি। আরে যাও এখনো রোদ ওঠে নাই বাইরে যেতে ইচ্ছে করতেছে না। শেষমেষ খেলাধুলা করতে গেলাম ক্রিকেট।
অন্যদিকে আমি বৃহস্পতিবার রাত্রিবেলায় বাড়িতে এসেছি কিন্তু বাসায় কেউ নেই বললেই চলে গেল। আবু বক্কর সিদ্দিক হাফিজুর রহমান সাবিহা সবাই পড়ালেখার জন্য মাদ্রাসায়। তবে সাবিহা এবং হাফিজুর নানির বাড়িতে গিয়েছে কেননা তাদের মাদ্রাসা এখন ছুটি দিয়েছে পরীক্ষার পর।
বাড়িতে আসছি কিন্তু ছোট ভাইদের সাথে খুব একটা দেখা সাক্ষাৎ নাই। শনিবারের দিন গিয়েছিলাম ওমর ফারুক এবং আবু বক্কর সিদ্দিক দুই ভাইকে দেখে আসলাম।
দশটা থেকে বারোটা পর্যন্ত বেশ খেলাধুলা হলো। যেহেতু আমাদের খেলার মাঠ নেই তাই যেই জায়গা পায় সেই জায়গাতেই খেলাধুলা করি। আমি যখন এই হবিগঞ্জে আসি তার পূর্বে বাড়িতেই তো ছিলাম সুতরাং খেলাধুলা করতাম সারাদিন।
যেহেতু মাছ নেই তাই বাগানের মধ্যে খেলাধুলা করতেছি সেখানে কচুর গাছ লাগিয়েছে। গাছগুলো যেন ভেঙে না যায় নষ্ট না হয় এজন্য এক পাশ দিয়ে নেট টাঙিয়ে দিলাম যেন গাছ নষ্ট না হয়। যতই সেফটি দিয়ে খেলা খেলি না কেন তার পরেও কচুর লতির মধ্যে চলে যায় ক্রিকেট বল।
যেহেতু বাড়ি থেকে চলেই যেতে হবে কর্মজীবনের উদ্দেশ্যে তাই আর দেরি না করে দ্রুত খেলাধুলা ছেড়ে চলে আসলাম বাড়িতে। গোসল করলাম। ফ্রেশ হওয়ার পর খাওয়া দাওয়া করলাম।
কাপড় চোপড় সব ব্যাগের মধ্যে তুলে নিচ্ছি। এদিকে মা অনেকগুলো রুটি তৈরি করেছিল সেগুলো আমাকে দিয়ে দিল সকালে খাওয়ার জন্য। কেননা সকালে অফিসে যেতে হয় আর সেই সময় হোটেল বন্ধ থাকে খাবার দেয় না আমাদের। যাই হোক সেই খাবার দিয়ে সকালবেলা নাস্তা করে অফিসে গিয়েছিলাম।
এছাড়া আরো বেশ কিছু খাবার তুলে দিল ব্যাগের মধ্যে। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সামনে অগ্রসর হলাম।
অটো গাড়িতে উঠে নদীর কিনারায় নৌকা ঘাটে চলে আসছি। আশার সাথে সাথেই দেখতে পেলাম বেশ কয়েকজন মানুষ নৌকায় উঠতেছে। তখন ৩: ২০ বাজে। শুনতে পেলাম চারটা বিশ মিনিটে নৌকা ছেড়ে দেবে কেননা লোক এখনও শর্ট রয়েছে।
যাইহোক পরিশেষে চারটার দিকেই নৌকা ছেড়ে দিয়েছে কাঙ্ক্ষিত সময়ের পূর্বেই লোক মেকআপ হয়ে গিয়েছিল।
নৌকা দিয়ে অনেক সময় লাগে কেননা যখন নদীতে পানি ভরপুর থাকে তখন সময় লাগে এক ঘন্টা আর এখন নদীর মধ্যে পানি একদম শুকিয়ে গেছে বললেই চলে অনেক ঘুরে ঘুরে যেতে হয় তাই একঘন্টা বিশ মিনিট কখনো ৪০ মিনিট ও লাগে।
নৌকা থেকে নামলাম তখন মাগরিবের আজান দেয় দেয়। নৌকা থেকে নেমে সঙ্গে সঙ্গেই সিএনজি পেয়ে গেলাম। সিএনজিতে উঠে শেরপুর এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
সিএনজি থেকে নামার পর সোজা চলে গেলাম টিকিট কাউন্টারে। টিকিট কাটার পর কাকার বাসায় চলে গেলাম যেহেতু আটটার দিকে বাস ছাড়ার কথা।
ছোট ভাই এবং ছোট বোন দুজনেই আমার জন্য খুবই পাগল। যখনই কলিংবেল ক্লিক করলাম বলতেছে নাজমুল হক আমার নাজমুল হক। বাড়িতে আমার ডাকনাম নাজমুল হক। ওর মা বলে দেয় বল ভাইয়া, বড় ভাইজান কিন্তু শোনে না। তবে কোলে নেওয়ার সাথে সাথে ভাইয়া শুরু হয়ে যায় তখন আর সমস্যা হয় না।
খাওয়া দাওয়া করার পর আটটার দিকে চলে যাই টিকিট কাউন্টারে এবং বসে থাকি। জিজ্ঞাসা করলাম আটটার দিকে আসার কথা এখনো তো আসে নাই। বলতেছে বগুড়ার মধ্যে ঢুকেছে কিন্তু প্রচন্ড জ্যাম থাকার কারণে আরও বিশ মিনিট সময় লাগবে।
পরিশেষে গাড়ি চলে আসলে এবং সারারাত জার্নি করার পর ভোর ৪:৩০ মিনিটে বাস থেকে নামি আমাদের সেই কাঙ্ক্ষিত জায়গা মাধবপুরে।
Hi @jakaria121, great news! Your content was selected by curators @nalexadre, @ten-years-before to receive a special curation from BeBlurt 🎉 Don't hesitate to upvote this comment as the curators will receive 80% of the rewards for their involvement.
👉 What can you expect for 2024 on Blurt?
Win 85% rewards with myDelegation