দীর্ঘ কয়েক দিন পর উপস্থিত হয়েছি আপনাদের মাঝে। এর কারণ ইতিপূর্বে আপনারা হয়তো জানতে পেরেছেন।
যেহেতু বর্তমানে আমাদের দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, শিক্ষার্থীরা ন্যায্য দাবির জন্য কথা বলেছে কিন্তু তাদের কথা বন্ধ করে দিচ্ছে মাঠে নেমেছে তাদেরকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে গুলিতে আহত ও নিহত করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন একদিন নয় দুই দিন নয় বেশ কিছুদিন হল চলতেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখন এগুলো নিয়ে কথা হল প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে এমন একটি কথা বললেন যা কোন শিক্ষার্থী আশা করে নাই।
আমি সেই ভাষণের একটি শব্দাংশ তুলে ধরতে চাই মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলে-মেয়ে নাতি নাতনি কেউ মেধাবী নয় সব মেধাবী রাজাকার এর বাচ্চারাই! এ কেমন কথা! আছে কি বলতে চাচ্ছে আশা করি সকলেই বুঝতে পারছেন।
এ দেশের শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবার বাস করবে বাকি সব রোহিঙ্গা বাকি সব রাজাকার বাকি সব তার দলবিরোধী। সে কাদেরকে বেনিফিশিয়ারি করার লক্ষ্যে এই কথা বলছে? কোটা বিরোধী আন্দোলন এমনি এমনি শিক্ষার্থীরা করতেছে না, এটা আমাকে আপনাকে বুঝতে হবে।
এভাবেই কি চলবে দেশ; এভাবেই কি চলতে থাকবে শিক্ষার্থীদের ওপর অন্যায়! করবে নাকি কেউ প্রতিবাদ! আজ শিক্ষার্থীরা তাদের ন্যায্য দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে, তাদের উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার করা হচ্ছে বিভিন্ন ভাবে তাদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে।
আমাদের এই আন্দোলনে অবশ্যই জনসাধারণ সমর্থন দিয়েছে, শুধু জনসাধারণ নয় সকলেই সমর্থন করেছে; শুধুমাত্র ঐ গোষ্ঠী ব্যতীত যারা আজ অন্যায়ের পথে চলতেছে আর অন্যায়ের কথা বলে তাদের সাথে সঙ্গ দেয়।
আমাদের সকলকেই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করতে হবে। আমাদের আন্দোলন করার সময় অবশ্যই অনেক বিষয় খেয়াল রাখতে হবে উস্কানিমূলক কোন কথাবার্তা/ লাঠি চার্জ করা ইত্যাদি থেকে বিরত থাকতে হবে।
কিন্তু এই আন্দোলন করার সময় শুধুমাত্র ছাত্র নয় বিভিন্ন লীগ রয়েছে যারা শিক্ষার্থীদের ওপর অন্যায় ভাবে আক্রমণ করেছে যে কারণে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য দৌড়াদৌড়ি শুরু করে এবং তাদের অনেক মার ধরো করেছে এমনকি পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এমন বর্বর নির্যাতন হামলা কখনো আমি দেখি নাই।
যদি আপনারা সোশ্যাল মিডিয়ায় যান অবশ্যই আপনারা দেখতে পাবেন শিক্ষার্থীদের ওপর কত নির্যাতন করা হয়েছে। ঢাকা মহাখালী হাতিরঝিল সেই জায়গাতেও অনেক শিক্ষার্থী মৃত্যুবরণ হয়েছে। কেউবা জীবন বাঁচাবার জন্য ব্রিজ থেকে লাফ দিয়েছে সে পানির মধ্যেই মৃত্যুবরণ করেছে আবার কেউ বিভিন্ন ভাবে আহত হয়েছে পুলিশের গুলিতে এবং নাম অনুল্লিখিত বিভিন্ন লীগ এর হকিস্টিক লাঠিচার্জ এর মাধ্যমে।
এমন বর্বর নির্যাতন হামলা সত্যিই শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই দুঃখজনক। কেননা শিক্ষার্থী তাদের ন্যায্য অধিকার এর জন্য আন্দোলন করেছে আর তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ছাত্রলীগ তাদের উপর হামলা চালিয়েছে আর সেখান থেকেই ছত্রভঙ্গ এবং পুলিশদের সাথে সংঘর্ষ বিভিন্নভাবে এই আন্দোলন ব্যাঘাত ঘটেছে।
Pexels
অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছেন, অনেক মায়ের বুক খালি হয়েছে তাদের প্রিয়জনের কান্নার আহাজারি। এরপরেও শিক্ষার্থীরা দমিয়ে যায়নি বরং আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে । যেই জাতি জ্ঞানী সেই জাতিই উন্নত । যে জাতি জ্ঞানহীন সেই জাতি নিম্নগামী।
আসুন সবাই মিলে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াই তাদের মনোবল বাড়িয়ে দেই তাদের সাথে একত্রিত হই আমরা। একতাই শক্তি
Telegram and Whatsapp