শুভ সকাল,
সবাইকে জানাই সকালের শুভেচ্ছা। খুব ব্যস্ত সময় যেন যাচ্ছে আমার কেননা আমি দুই দিন হল নিজে রান্না করে খাওয়ার চেষ্টা করতেছি। আমি নিজে রান্না করে খাওয়ার জন্য প্রথম প্রথম কয়েকদিন একটু কষ্ট হবে যেমন বর্তমান সময় কোথায় দিয়ে যাচ্ছে বুঝতেই পারতেছি না, আর কেননা আমার রান্না করতে অনেক সময় লাগতেছে।
যাই হোক আজকে আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি অফিসে শুক্রবারের দিন সন্ধ্যাবেলায় ল্যাবরেটরির কয়েকজন মিলে হালকা নাস্তার ব্যবস্থা করেছি।
Name of the participant in the event |
---|
- Jakaria Talukder
- Polok Kumar
- Odhir
যেহেতু আমরা B Shift এ তিনজন ছিলাম এ কারণে আমরা তিনজন মিলে কাজ শেষ হওয়ার পর তিনজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে বাইরে থেকে খাবার নিয়ে আসবো বেশ ভালো হবে তাহলে।
যদিও আমাদের অফিসের ক্যান্টিন রয়েছে কিন্তু ক্যান্টিনে আমাদের আজকে যেই আয়োজন করার চিন্তাভাবনা করেছি সেই খাবারগুলো নেই এ কারণে বাহিরে যাওয়া।
List of food names |
---|
- সবজি রোল
- সামোসা (মোটু আর পাতলু)
- আলুর চপ
- ডাল পুরি
- পিয়াজি
- শসা
- টমেটোর সস
আরো বেশ কিছু খাবারের নামও লেখা হয়েছিল কিন্তু সেগুলো পাওয়া যায়নি এছাড়াও আমাদের টাকা অর্থাৎ বাজেট কম ছিল তা না হলে আরো অনেক অনেক খাবার পাওয়া যেত বাজেট অনুযায়ী।
আমাদের বাজেট অনুযায়ী মোটামুটি ভালো খাবারই ছিল। যাই হোক আলহামদুলিল্লাহ অবশেষে অনেকদিন পর কয়েকজন মিলে আমরা খাবারের আয়োজন করলাম। বিকাল ছয়টার দিকে Polok Kumar কে গেট পাশ দিয়ে বাহিরে পাঠিয়ে দিলাম। ওই ভাই বাহির থেকে খাবার নিয়ে আসলো।
এরপর আমরা বেশ কয়েকটি সুন্দর সুন্দর সিম্পলের মধ্য থেকে তিনটি স্যাম্পল নিলাম যদিও ফুলের সৌন্দর্য দিয়েও ছিল কিন্তু সেগুলো নেয়া হয়নি! তবে সেইগুলো নিলে আরো ভালো লাগতো তো যাই হোক ব্যাপার না।
তিনটি সিরামিকসের প্লেট এর মধ্যে সুন্দরভাবে সাজাতে লাগলো Polok Kumar. এরপর সে নিজেই বলতেছে ভাই ছবি উঠান। বললাম হ্যাঁ অবশ্যই কেন নয়! এরপর খাবার খাব এই কারণে আমি আরও একটি সেলফি উঠালাম।
অধীর ভাই বলল সমুসা আরো বড় আকারের পাওয়া যায় সেগুলোও ১০ টাকা করে বিক্রি করে ওই অলিপুর। এখানে একটু ছোট করে বিক্রি করতেছে দেখা যাচ্ছে কিন্তু একই রকম দাম। এক জায়গায় একেক রকম কিছুই বলা যায় না যেভাবে চায়!
তিনজন গল্প করতে করতে খাওয়া-দাওয়া করলাম। নাইট শিফটিং কে আসবে তাকে ভালোভাবে কাজ বুঝিয়ে দিয়ে চলে যেতে হবে। বাকি কাজ কি কি থাকতেছে সেগুলো নিয়ে কথা হলো।
যদিও নাইট শিফটে কোন কাজ রাখা হয় না শুধুমাত্র হাতেগোনা দুই একটি কাজ আর হচ্ছে ফায়ারিং সেকশনে যদি কোন স্যাম্পল দিয়ে থাকে সেগুলো সংরক্ষণ করা এগুলোই নাইট শিফটে রিসিভ করবে।
যাই হোক অবশেষে তিনজন মিলে খাওয়া দাওয়া করলাম এবং ছবি উঠিয়ে সংরক্ষণ করলাম এবং আপনাদের মাঝে উহা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
তবে ফারজান ভাই থাকলে আরো বেশ ভালো হতো। ফারজান ভাই খুবই মজার মানুষ হাস্য রসিক! ফারজান ভাই অবশ্য তিন দিনের ছুটি নিয়েছে এই কারণেই তার দেখা নেই ল্যাবরেটরীতে।
Telegram and Whatsapp