একটি শোক সংবাদ,
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,
যার জীবন আছে তার মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতেই হবে। জ্বীন ও ইনসান এর হিসাব নিবেন আল্লাহ তা'আলা। জ্বীন ইনসান ব্যতীত কোন জীবের হিসাব নেওয়া হবে না আখেরাতে। কেননা আল্লাহতালা এই পৃথিবীর বুকে শুধুমাত্র জিন ও ইনসান এর জ্ঞান বুদ্ধি ভালো-মন্দ বোঝার ক্ষমতা আল্লাহতায়ালা দিয়েছেন।
আল্লাহতালা অন্য কোন প্রাণী কে উহা দেননি। আমরা কেউই জানিনা যে আমরা কখন মৃত্যুবরণ করবো তবে এটা জানি এবং 100% নিশ্চিত আমাদের সকলেরই মৃত্যুর সাধারণ করতে হবে। তবে কোথায় কিভাবে কখন সেটা সুনিশ্চিত নয়!
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত জ্ঞান অন্বেষণ করা এবং সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে নিজের বাস্তব জীবনে প্রতিফলন করা। প্রত্যেকের জন্য অর্থাৎ নর-নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই জ্ঞান অর্জন করা ফরজ
اِقۡرَاۡ بِاسۡمِ رَبِّكَ الَّذِیۡ خَلَقَ ۚ পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন। কুরআন
যেই কোরআন রিচার্জ এর মাধ্যমে মানুষ বিজ্ঞানী হওয়ায়। কোরআন থেকে জ্ঞান আহরণ করে চাঁদের দেশে চলে যাচ্ছে বিভিন্ন প্রযুক্তি আবিষ্কার করছে। আজ বিশ্ব উন্নতির শিখরে চলমান।
অনেক জ্ঞানী রয়েছে যারা কোরআন রিচার্জের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার পথে চলে এসেছে সত্যের পথে চলে এসেছে। অথচ আমরাই বিমুখ হয়ে যাচ্ছি দিন দিন। কেন আমাদের এই অধঃপতন! অথচ নিজেকে মুসলিম দাবি করি।
পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করো। পরিপূর্ণ মুমিন না হয়ে, খাটি মুমিন না হয়ে তোমরা মৃত্যুবরণ করিও না; মৃত্যুবরণ করার পূর্বেই আমাদের সকলকে আখেরাতের পুঁজি সঞ্চয় করে নিয়ে যেতে হবে। কেননা মৃত্যুবরণ করার পর সমস্ত নেক আমল করার দরজা বন্ধ হয়ে যায় শুধুমাত্র সাদাকায়ে জারিয়া ব্যতীত।সাদাকায়ে জারিয়া সম্পর্কে বিভিন্ন আর্টিকেল আছে পড়ে নিতে পারেন
মানুষের মৃত্যু কখন হয় বলা যায় না। 26.07.2024 তারিখ রোজ শুক্রবার আমাদের বন্ধু মোঃ শরিফুল ইসলাম এর দাদি মৃত্যুবরণ করেছে। সকালবেলা যখন আমরা অফিসে আসি ওই সময় শরিফুল আমাকে বলতেছে দাদি অনেক অসুস্থ হসপিটালে নিয়ে গেছে।
অফিস থেকে আসার পর রাত ৮ কিংবা ৯ টায় বলতেছে দাদী অনেক অসুস্থ দোয়া কর। ওই সময় শরিফুল এর দাদী হসপিটালে, দাদির সাথে বেশ কয়েকজন আছে তারা এখন পর্যন্ত খাওয়া-দাওয়া করেনি সেই সকাল বেলায় বের হয়েছে।
রাত এগারোটার দিকে খবর আসলো হাতের পাল্স নেই। মৃত্যুবরণ করেছে দাদী। ওই সময় আমি দরজা লাগিয়ে দিয়ে শুয়ে পড়েছি জাহিদ ভাইও শুয়ে পড়েছে। সাড়ে এগারোটার দিকে দরজায় কড়া নাড়তে শরিফুল। দরজা খুলে দেখি তার অবস্থা ভালো নেই। দ্রুত গাড়ি ওয়ালার সাথে যোগাযোগ করা হলো সাড়ে এগারোটার দিকেই গাড়ি আছে একটি এরপর আর গাড়ি নেই। দ্রুত শরিফুলকে রেডি হতে বললাম বাড়িতে যাওয়ার জন্য এরপর এগারোটা চল্লিশে তাকে গাড়িতে উঠিয়ে দিলাম।
দাবির জন্য এখন দোয়া করা ছাড়া আর কিছুই নেই। দাদির আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। আল্লাহ তাআলা দাদীকে মাফ করে দিন এবং জান্নাতবাসী করুন আমিন
Telegram and Whatsapp