আজ আমি বাজারে শারি কিনতে গিয়েছিলাম। সকাল বেলা হালকা রোদ পড়ছিল, তাই মনে হলো, আজ কিছু শপিং করা যায়। শারি আমাদের বাঙালি সংস্কৃতির এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বিশেষ করে বাঙালি মহিলাদের জন্য শারি একটি চিরকালীন সাজ। এক সময় শারির জনপ্রিয়তা অনেক ছিল, আর এখনো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শারি পরার প্রচলন রয়েছে।
বাজারে পৌঁছানোর পর, আমার প্রথম গন্তব্য ছিল শারি দোকান। দোকানে ঢুকতেই বিভিন্ন রঙ ও ডিজাইনের শারি চোখে পড়ল। একদিকে সিল্ক শারি, অন্যদিকে জামদানী, তানচোই, নকশি শারি – সব কিছুই ছিল। দোকানের পরিবেশ খুবই রঙিন, বিভিন্ন ধরনের শারি ঝুলছে দোকানের দেয়ালে এবং শেলফে। কিছু শারি সিল্কের, কিছু কটনের, কিছু আবার মসলিনের। প্রতিটি শারির মধ্যে আলাদা আলাদা ডিজাইন এবং হাতে কাজ করা ফুল, পাখি, ডাগলাস ইত্যাদি ছিল, যা চোখে পড়ছিল।
আমি প্রথমে কিছু সিল্ক শারি দেখলাম। সিল্ক শারির রঙগুলো ছিল খুবই উজ্জ্বল এবং আকর্ষণীয় – লাল, সোনালী, সবুজ এবং নীল। তাদের উপরে জমিনের কাজ ছিল খুবই সুন্দর। কিছু শারির মধ্যে রঙিন মোটা সুতো দিয়ে সুন্দর নকশা করা ছিল, যা দেখতে খুবই আকর্ষণীয় লাগছিল। কিছু শারি ছিল ভারী, যা বিয়ের মতো অনুষ্ঠানে পরা যায়, আবার কিছু শারি ছিল হালকা, যা দৈনন্দিন জীবনে পরা যায়।
এরপর, আমি জামদানী শারি দেখতে গিয়েছিলাম। জামদানী শারি সব সময়ই জনপ্রিয়, তার মধ্যে নানা ধরনের ডিজাইন ও সুতোর কাজ ছিল। জামদানী শারির সূক্ষ্ম কারুকাজ এবং বুনন অত্যন্ত চমৎকার। এটি ছিল বেশ সরল, তবে তার সৌন্দর্য ছিল অনেক বেশি। দোকানদার আমাকে জামদানী শারির মধ্যে বেশ কিছু বিশেষ ডিজাইন দেখাল। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটি শারি আমার পছন্দ হলো। তবে দাম একটু বেশী ছিল, কিন্তু একে পরলে অনুষ্ঠান বা বিশেষ মুহূর্ত আরো বেশি স্মরণীয় হয়ে উঠবে বলে মনে হলো।
শেষে, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম একটি সিল্ক শারি কিনব, কারণ এর রঙ এবং ডিজাইন আমাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে। দাম একটু বেশি ছিল, তবে মনে হলো এটি আমার জন্য একেবারে পারফেক্ট হবে। শারি কেনার পর আমি খুবই সন্তুষ্ট মনে বাড়ি ফিরলাম, এবং মনে মনে ভাবলাম, এই শারি পরলে যে কোন অনুষ্ঠানে নিজেকে আরো বেশি উজ্জ্বল ও সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারব।
ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন্য।
A little recommendation here!
You can add English translation to your post , so that readers like me and many others can also read your post and engage with you.