The day passed with great joy.

_{বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।}

হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা! আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তার রহমতে অনেক ভালো আছি সুস্থ আছি। শুরু করছি আমার আজকে সারাদিনের কার্যক্রম।

প্রতিদিনের ন্যায় আজকেও সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। সকালে উঠে বাসায় ফজরের সালাত আদায় করলাম, অতঃপর সূর্যোদয়ের কয়েকটি ফটোগ্রাফি সংগ্রহ করলাম। আজকে যমুনা নদীর কিনারে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি গুলো উঠয়েছি।

এরপরে ঘড়ির সময় যখন সকাল সাতটা বাজলো তখন আমার এক ছোট ভাই কল করে বলল ভাই আপনি গোলাপবাজার আসুন। কারণ গতকালকে আমাদের পরামর্শ হয়েছে যে, আমরা আজকে এসলাহি মাহফিল করব, এবং সকাল সকাল গরুর মাংস কিনে রাখতে হবে। তাই আমি সকাল সকাল বাজারে চলে যাই। ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে দুই কেজি গরুর গোশত কিনলাম। ২ কেজি গরুর মাংসের দাম নিয়েছিল ১১০০ টাকা। মাংস কিনে নিয়ে এসে ফ্রিজে রেখে দিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

বাসায় এসে সকালের হালকা নাস্তা করলাম। আজকে সকালের হালকা নাস্তায় ছিল দেশি মুরগির সিদ্ধ ডিম। দেশি মুরগির ডিমের মধ্যে অনেক ভিটামিন রয়েছে, হাঁসের ডিমের মধ্যেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে, কিন্তু শীত আসার কারণে অনেকের ঠান্ডার সমস্যা থাকে, তাই তাদের জন্য হাসের ডিম খাওয়া ঠিক না।

দেশি মুরগির ডিম সিদ্ধ খাওয়ার পরে খাবার খেতে বলল, কিন্তু খাবার খেতে ইচ্ছে করছিল না তাই অল্প কিছু "ছাতু" খেয়ে নাস্তা করে নিলাম। দুইদিন আগে আমার জন্য ছাতু বানিয়েছে, চাউল ভাঁজা, নারিকেল ও গুড় দিয়ে ছাতু বানিয়েছে।

এরপরে কিছু সময় ফোন নিয়ে বসলাম এবং কমিউনিটিতে ঢুকে কিছু পোস্ট পড়ে সেই অনুযায়ী কমেন্ট করলাম। অতঃপর বাড়ির কিছু কাজ করলাম। বারোটার দিকে ছোট ভাই আবার কল করলো, বলল এখনো কোন কাজকর্ম করা হয়নি কিভাবে কি করবেন? আমি বললাম তুমি থাকো আমি গোসল করে খাওয়া দাওয়া করে নামাজের প্রস্তুতি নিয়ে আসতেছি। ছোট ভাই বলল আচ্ছা ঠিক আছে আসেন।

এরপরে জোহরের নামাজ আদায় করে সবাই মিলে পরামর্শ করলাম, এবং আমাদের বাড়ি থেকে কিছু লাকড়ি নিয়ে গেলাম, কারণ আমাদের বাড়িতে অনেক লাকড়ি আছে, তাই আমি বলেছিলাম লাকড়ি কিনতে হবে না যা লাগে সব আমি দেবো। এরপরে দুইজন মিলে দুই বোঝা লাকড়ি নিয়ে গেলাম।

এরপরে কাঁচা বাজার কিনে নিয়ে আসলাম, এলাকার যুবকদের বললাম তোমরা কাঁচা বাজার গুলো প্রস্তুত করার দায়িত্ব নাও। এরপরে সবাই মিলে কাজ করা শুরু করল। কেউ পেঁয়াজ কাটলো কেউ মরিচ কাটলো আবার কেউ রসুনগুলো হামা দিস্তা দিয়ে পিষিয়ে ফেলল।

ছোট ছোট কাজ করতে করতেই আসরের আযান দিয়ে দিল, এরপরে আসরের নামাজ আদায় করে আমরা মাটির চুলা বানানোর জন্য মাটি খনন করা শুরু করলাম। আমরা সুন্দর একটি চুলা বানিয়ে ফেললাম।

এরপর আমরা পাতিলের মধ্যে পানি দিয়ে দিলাম, এবং পরিমাণ মতো সবকিছু দিয়ে দেয়া হলো। এই সুযোগে আমি একটি ফটো উঠিয়ে নিলাম।

আমরা দুইজন চাল এবং ডাল এর সাথে মিশিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে নিয়ে আসলাম। ধুয়ে নিয়ে এসে লাল বড় বালতির মধ্যে ঢেলে নিলাম। তখনো একটি ফটো সংগ্রহ করলাম।

এরপরে মাগরিবের আজান হয়ে গেল আমরা সবাই নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে চলে গেলাম, কিন্তু যে রান্না করছেন উনি শুধু একাই থেকে গেলেন। এরপরে নামাজ শেষ করে আমাদের দুই একজন ছোট ভাই রান্নার কাছে চলে আসলো, এবং বাবুর্চি কে নামাজ পড়ার সুযোগ করে দিল।

নামাজের পরে আমাদেরকে বলল, পোলাও রান্না করার সময় ঘ্রাণের জন্য যে পাতা দেওয়া হয় ওই পাতা নিয়ে আসো, তখন একটি বাচ্চাকে আমরা ওই ঘ্রাণের পাতা আনার জন্য পাঠালাম। ছেলেটি নিয়ে আসলো কিন্তু পাতাগুলোর তেমন ঘ্রাণ ছিল না, তাই আমরা আশঙ্কার মধ্যে পড়ে গেলাম এটি কি সেই পাতা? অতঃপর কনফার্ম হয়ে সেই পাতাগুলো যাচাই করে আমরা খিচুড়ির পাতিলের মধ্যে দিয়ে দিলাম।

মাগরিবের পর থেকে এশার নামাজ পর্যন্ত এসলাহী বয়ান হলো। এশার নামাজের পরে খাবার পরিবেশনের আয়োজন করা হলো। আমন্ত্রিত সকল মেহমানদের ভালোভাবে খাবার খাওয়াইছি, এরপর আমরা সবাই মিলে রাত্রে খাবার হিসেবে ভুনা খিচুড়ি খেয়ে নিলাম। আলহামদুলিল্লাহ আজকের খিচুড়ি অনেক মজার হয়েছিল।

এই ছিল আমার আজকের সারাদিনের কার্যক্রম। তো বন্ধুরা আপনাদের কেমন লেগেছে? অবশ্যই একটি কমেন্ট করে জানাবেন।

আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।

Bismillahir Rahmani Rahim.
Assalamu Alaikum wa Rahmatullah.

Hello dear friends! how are you all I hope you are doing well by God's grace. Alhamdulillah I am very well and healthy by the grace of God. Starting my daily activities today.

I woke up early in the morning like every day. I got up in the morning and performed the Fajr prayer at home, then collected some photographs of the sunrise. Today I stood on the bank of Yamuna river and took the photographs.

Later, when the clock struck seven in the morning, one of my younger brothers called and said, brother, come to Golapbazar. Because we were advised yesterday that we will celebrate Eslahi Mahfil today, and buy beef in the morning. So I went to the market early in the morning. I bought two kg of beef with my younger brother. The price of 2 kg of beef was Rs. 1100. I bought the meat and put it in the fridge and came home.

I came home and had a light breakfast. Today's light breakfast was boiled eggs from local chicken. Native chicken eggs have many vitamins, duck eggs also have a lot of vitamins, but because of the coming of winter, many people have cold problems, so it is not right for them to eat laughing eggs.

Desi asked to have food after having boiled eggs, but didn't feel like having food so had some "chhatu" for breakfast. Two days ago they made chhatu for me, they made chhatu with rice flour, coconut and jaggery.

After that I sat with the phone for some time and entered the community and read some posts and commented accordingly. Then I did some homework. At twelve o'clock the younger brother called again, said that no work has been done yet, what to do? I said you stay, I'm going to take a bath and eat and prepare for prayer. Little brother said ok come.

After offering Zuhr prayer we all consulted together, and took some wood from our house, because we have a lot of wood in our house, so I said no need to buy wood, I will give whatever is needed. After that, two of us took two loads of wood together.

After that, I bought raw bazaars and told the youth of the area to take the responsibility of preparing the raw bazaars. After that everyone started working together. Some chopped onions, some chopped chillies and some crushed garlic with hama dista.

While doing small tasks, he gave the call for Asr, after offering the Asr prayer, we started digging the earth to make a clay oven. We made a beautiful hearth.

Then we put water in the pot, and everything was given in quantity. I took this opportunity to take a photo

We both mixed it with rice and dal and washed it nicely. I washed it and poured it into the big red bucket. I still collected a photo.

Then Maghrib Azan was done and we all went to the mosque to pray, but the one who was cooking remained alone. After finishing the prayer, two of our younger brothers came to the cook, and allowed the cook to pray.

After the prayer, he told us, bring the leaves that are given for scent while cooking Polao, then we sent a child to bring those scent leaves. The boy brought it but the leaves didn't have much scent, so we were in awe of whether this is the leaf. After confirming and verifying those pages, we gave them to Khichuri Patil.

After Maghrib until Isha prayer, Eslahi was recited. After Isha prayer, food service was organized. All the invited guests were well fed, then we all had roasted khichuri as dinner. Alhamdulillah today's khichuri was very interesting.