হ্যালো আমার প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছেন?
আলহামদুলিল্লাহ! আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় আমিও ভালো আছি।
আলহামদুলিল্লাহ! আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় আমিও ভালো আছি।
সকাল হলেই ব্যস্ততা শুরু হয়। প্রথম কলেজ, তারপর ক্লাস, প্রাকটিক্যাল লেখা এমন ভাবে চলতেই থাকে। তবে এটার মধ্যেও অনেক মজা আছে তা অনেকেই বুঝতে পারে অনেকে বুঝতে পারে না। আমার মত যাদের শিক্ষার প্রতি প্রচুর আগ্রহ তারাই মূলত এর মজাটা বুঝতে পারে। পড়াশোনা থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা বিষয়ে আমি অনেক বেশি সিরিয়াস হয়ে থাকি এ কারণে অনেকে আমাকে অনেক কিছু বলে ডাকতে পারে। কখনো তাদের এই বিষয়গুলোতে আমি রাগ করি না, তবে মাঝে মাঝে তারা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও কথা বলে এই সময়টা খুব বিরক্ত লাগে। যাই হোক, আজকের কথা বলার বিষয় এটা নয়। গতকাল ৯ই সেপ্টেম্বর সকাল থেকে রাত অবধি কি কাজ করেছি সেটা নিয়েই মূলত লিখতে চাচ্ছি। সকাল হলেই ঘুম থেকে ওঠা এর মধ্য দিয়েই দিন পার হয়, তবে প্রচুর বিরক্ত লাগে ঘুম থেকে উঠতে। গতকাল এতটাই দেরিতে ঘুম থেকে উঠেছি যে, কলেজে যাওয়ার আগে গোসল করতেই পারিনি 😃 কলেজে গিয়েই ক্লাস রুমে ঢুকা এরপর ক্লাস শেষ করে পরবর্তী ক্লাসের প্রস্তুতি নেওয়া এটাই প্রতিদিনের রুটিনের মধ্যে পড়ে। এর বাইরে ও কিছু কার্যক্রম আছে যেগুলো না চাইলেও করতেই হয়, তবে গতকাল গিয়েছিলাম নানি বাড়ি। ইনস্টিটিউটে যাওয়ার পর ওয়েট প্রসেসিং ল্যাবে ক্লাস করা হলো “অ্যাডভান্স ওয়েট প্রসেসিং-১” এবং “কম্পিউটার অফিস এপ্লিকেশন ইন টেক্সটাইল ওয়েট প্রসেসিং” দুইটাই আমার ডিপার্টমেন্টের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাবজেক্ট।
ল্যাবে ঢোকার আগে; ক্যাম্পাসের একাডেমিক ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এই সময়টাতে একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক, বয়োজ্যেষ্ঠ হয়ে গেছেন তিনি। জনাব মোঃ আরিফ স্যার তাকে আমরা কিছু জ্ঞানমূলক কথা বলার অনুরোধ করি। সে সময় তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে আমাদের জ্ঞান দিতে থাকেন। কথা বলার সময় ছাড়ে একটা সুন্দর বাক্য ছিলঃ-
“কখনো কোন কাজকে ছোট মনে করবে না,
আঁকড়ে ধরে শিখতে থাকো অনেক দূর যেতে পারবে”
সেই সময় সকল শিক্ষার্থীরা পাশে দাঁড়িয়ে কথাগুলো খুব মনোযোগ সহকারে শুনছিলেন। ক্যাম্পাসের মধ্যে একটা মাত্র শিক্ষক যিনি ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচুর জ্ঞান দেন তবে তার কাছে মুখ্য জ্ঞান হচ্ছে সবাই নিজ নিজ ধর্মের প্রতি অনুগত থাকবে সর্বদা এবং প্রার্থনা করবে। স্যারের এই কথাগুলো অনেক ভালো লেগেছে আমাদের এবং আমরা মনোযোগ সহকারে শুনেছি সেই সাথে সবাই প্রতিজ্ঞা করেছি সর্বদা যেন এটা মেনে চলতে পারি।
ক্যাম্পাসের মধ্যে, একাডেমিক ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে ক্যাম্পাসের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ছবি তুলেছি। একাডেমিক ভবনের মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে আমি নিজে ছবি উঠেছি, যদিও রোদের কারণে ছবি খুব একটা ভালো আসছিল না। তারপরেও ছবি তুলেছি কারণ এটা আমার অনেক দিনের অভ্যাস। ক্যাম্পাসের সামনে একক ছবি তোলার সময় অনেকেই অনেক কথা বলেছে, কারন ইতিমধ্যেই আমি বলেছিলাম এখন থেকে আর ছবি তুলবো না। অনেকেই আমাকে নিয়ে হাসাহাসি করে অনেকে আবার সিরিয়াস হয়ে যায়। তবে আমি অনেকটা আবেগপ্রবণ তাই আবেগী হয়েই থাকতে ভালোবাসি।
ক্লাস শেষ করে রওনা দিয়েছিলাম নানি বাড়ির উদ্দেশ্যে। প্রথমেই একজনের মোটরসাইকেলে উঠে অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার পর আমি অন্য একটা গাড়িতে উঠে রওনা দিলাম। গ্রামে পৌঁছেই গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলাম, তখন মেঠো পথের ছবি তুলেছি। আশেপাশের সবুজ ঘেরা ফসলি জমি, পানিতে ডুবে থাকা বিল সব কিছুই দেখার মত ছিল। মামার সাথে হেঁটে আসছিলাম সেই ছবিও তুলতে ভুল করিনি। আশেপাশের সবুজে ঘেরা চির চেনা নতুন বাংলাদেশের ছবি না দেখলেই নয়। সবকিছু নিজের পছন্দ অনুযায়ী ইচ্ছা অনুযায়ী করেছি তবে এভাবে দিন কাটাতে খারাপ নয় অনেক ভালই লাগে। বিশ্বাস না হয় আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন ঘোরাফেরা করতে কতটা মজাদার এবং মনটা কত ভালো থাকে। আমি প্রোপার লেখক নই, তবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে ক্যাপশন লিখতে প্রচুর ভালোবাসি সেই ধারাবাহিকতায় লেখালেখির কাজে আসা। তবে এখানে লেখালেখির পাশাপাশি মনুষ্যত্ব শেখার একটা বিষয় রয়েছে যা আমাকে অনেক বেশি উত্তেজিত করে অনলাইনে থাকতে।
আজকের মত এ পর্যন্তই তবে আগামী দিনগুলোতে নতুন নতুন দৈনিক কার্যক্রমের লেখা নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ। সবাই নিজেদের স্বাস্থের যত্ন নেবেন এবং নিজের স্বজনদের খুশি রাখার চেষ্টা করবেন।
সবাইকে অনেক ধন্যবাদ |
---|
Device | Name |
---|---|
Android | Redmi 10C |
Camera | 5 MP f/2.2, Primary Camera 📸 |
Location | Bangladesh 🇧🇩 🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩🇧🇩 |
Short by | @sheikhtuhin |