শিক্ষাকে বিকশিত করতে চাইলে অবশ্যই প্রচার করতে হবে। আর এই শিক্ষা মানুষ প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষা নিয়ে থাকে এছাড়াও শুধুমাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নয় বরং প্রত্যেকটি মুহূর্তে প্রত্যেকটি পরিস্থিতি থেকে মানুষ শিক্ষা নিতে পারে।
এই শিক্ষার ক্ষেত্রে মানুষ ছোটদের থেকেও শিক্ষা নেবে আবার ছোটরা বড়দের থেকে শিক্ষা নেবে ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলেই জ্ঞান পিপাসু হতে হবে তবেই হবে শিক্ষিত সমাজ। শুধুমাত্র শিক্ষা নিলেই হবে না শিক্ষাকে প্রতিফলিত করতে হবে নিজের মধ্যে ও বাস্তবে রূপ দিতে হবে।
প্রথমে আমি যে বিষয়টি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই এই বিষয়টি আমার প্রাকটিক্যাল শেখা। আমি আমি ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর এগুলো শিখেছি কিন্তু এগুলো ইনস্টিটিউটে পড়ানো হয় না আর এটা পরানোর বিষয়ও না প্রাকটিক্যাল বিষয়।
প্র্যাকটিকাল বিষয়ের মধ্যে অন্যতম একটি বিষয় আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে চাই তা হলো ম্যাটেরিয়ালস ফায়ারিং। যেহেতু আমি ল্যাবরেটরীতে কর্মরত রয়েছি এ কারণে মেটেরিয়ালস নিয়ে রিচার্জ করতে হয়। এছাড়া আরো অন্যান্য বিষয় রয়েছে তার মধ্যে এখন আমি এটাই তুলে ধরব।
ফায়ারিং করার মাধ্যমে ম্যাটেরিয়াল এর বর্ণ পরিবর্তন হয় এছাড়াও ইহার গুণগত মান সম্পর্কে জানা যায়। যদি আমরা ফায়ারিং না করে ডিরেক্ট প্রোডাকশনে পাঠিয়ে দেই তাহলে অনেক লস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে যদি ম্যাটেরিয়ালস ভালো না হয়।
আমি দেখেছি যত স্যাম্পল ম্যাটেরিয়ালস আসে এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি স্যাম্পল ভালো হয় বাকি সব রিজেক্ট হয়ে যায়। উদাহরণস্বরূপ বলতে গেলে দশটি প্যাকেট ম্যাটেরিয়ালস আসলে এর মধ্য থেকে দুই থেকে তিনটি মেটেরিয়ালস এর প্যাকেট ভালো থাকে। ম্যাটেরিয়ালস এর গুণগত মান বর্ণ অনেক কিছুর উপর নির্ভর করে।
এখন আমি প্রত্যেকটি ধাপ আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো। একটি ম্যাটেরিয়ালস কত ভাবে পরীক্ষা করা যায় এবং এর গুণগত মান কিভাবে পরীক্ষা করা হয়! বিস্তারিত পড়ুন;
প্রথমে ম্যাটেরিয়ালস যখন ল্যাবরেটরীতে আনা হয় বা স্যাম্পল পাঠায় ল্যাবরেটরীতে তখন সেই ম্যাটেরিয়াল বাহ্যিকভাবে দেখতে কেমন, গ্রিন অবস্থায় ইহার রং কেমন, এর মধ্যে কোন অপদ্রব্য আছে কিনা, এর মধ্যে ময়েশ্চার কেমন সবকিছু পরীক্ষা করতে হয় প্রাথমিকভাবে।
স্যাম্পল মেটেরিয়াল এর মধ্যে কতটুকু ময়েশ্চার রয়েছে অর্থাৎ পানি যুক্ত রয়েছে এই বিষয়টি জাস্টিফাই করতে হবে এজন্য ছোট্ট একটি মেশিন রয়েছে সেই মেশিনের মাধ্যমে দুই থেকে তিন গ্রাম মেটেরিয়ালস দিয়ে দেখতে হবে এর মধ্যে কতটুকু ময়েশ্চার যুক্ত রয়েছে। উহার মধ্যে অটোমেটিক শো করে কত পারসেন্ট পানি রয়েছে।
কেননা এই পরীক্ষাটি করা হয়, যখন আমরা ম্যাটেরিয়াল নিয়ে আসি এর মধ্যে তাহলে কত পরিমাণ পানি থাকতেছে, আবার এই মেটেরিয়ালস যখন প্রোডাকশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তখন পানির পরিমাণ কম বেশি করতে হয় কেননা এর মধ্যে পানির পরিমাণ কম বেশি থাকার জন্য।
যদি পানির পরিমাণ কম থাকে তাহলে প্রোডাকশনে পানির পরিমাণ বেশি দিতে হবে। আর যদি পানির পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে প্রোডাকশনে পানির পরিমাণ কম দিতে হবে। এছাড়াও কোম্পানির আয় ও ব্যয় হিসাব রয়েছে এর সাথে সংযুক্ত।
মেটেরিয়াল বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। যেমন বল ক্লে জাতীয় মেটেরিয়াল অনেক। আবার কাওলিন জাতীয় মেটেরিয়ালস অনেক। দেখতে হবে কোন ধরনের মেটেরিয়ালস এসেছে সেই অনুযায়ী ওই মেটেরিয়ালস এর সাথে ওই ধরনের মেটেরিয়াল ফায়ারিং দিতে হবে।
যদি বল কে জাতীয় মেটেরিয়ালস আসে তাহলে ওই বল ক্লে জাতীয় মেটেরিয়াল ইতিপূর্বে যেগুলো আছে সেগুলোর সাথে ফায়ারিং দিতে হবে; অর্থাৎ ভালো ম্যাটেরিয়ালস এর সাথে ফায়ারিং দিতে হবে স্যাম্পল মেটেরিয়াল।
তাহলে স্যাম্পল মেটেরিয়াল পার্থক্য করার সম্ভব। এভাবে মূলত ম্যাটেরিয়াল পরীক্ষা করন করতে হয় যা আমি আপনাদের মাঝে ধাপে ধাপে তুলে ধরেছি।
প্রথমেই বলে রাখি মেটেরিয়ালস তোমাকে প্রথমে দেখতে হবে কত পরিমাণে এসেছে। সাধারণত স্যাম্পল মেটেরিয়াল ৫০০ গ্রাম, ১ কেজি, ২ কেজি এর বেশি আসে না।
যেই দিকগুলো সচেতন থাকতে হবে সতর্ক থাকতে হবে তা নিতে তুলে ধরলাম:-
খুবই অল্প পরিমাণে আসার কারণে ইহা নষ্ট করা যাবে না, সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে, যেন নষ্ট না হয়, অপচয় না হয়।
ভালোভাবে ময়েশ্চার পরীক্ষা করতে হবে। কেননা প্রোডাকশনে যখন পাঠানো হবে তখন ময়েশ্চার এর উপর ভিত্তি করে পানি কমবেশি দেওয়া হয়।
ফায়ারিং এ দেওয়ার সময় অবশ্যই দেখতে হবে রানিং মেটেরিয়ালস আর স্যাম্পল মেটেরিয়ালস যেন এক না হয়ে যায়, এজন্য মাঝখানে ওগার রোল দিয়ে পৃথক করে দিতে হবে।
L.O.I Test করতে হবে এবং অন্যান্য টেস্ট রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
উপরোক্ত বেশ কিছু দিকনির্দেশনা এবং সতর্কতা অবলম্বন করার বিষয়ে বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছি। আল্লাহ তাআলার রহমতে এগুলো আমি ইন্ডাস্ট্রিতে এসে এরপর শিখেছি তবে ধারণা দিয়েছিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তবে সবকিছুই নয়। কেননা practical বিষয়ও অনেক ছিল যেগুলো প্রতিষ্ঠানে তুলে ধরার মতো নয় এগুলো কর্মরত হয়ে এরপর শিখতে হয় এবং সিচুয়েশন বা কাজ অনুযায়ী।
Telegram and Whatsapp
Telegram and Whatsapp