কেমন আছেন বন্ধুরা সবাই, আশা করি আপনারা অনেক ভাল আছেন আপনাদের দোয়ায় আমি অনেক ভালো আছি। আপনাদের মাঝে আজকে কয়েকটি ছবি শেয়ার করতে চলেছি, আশা করি ছবিগুলো আপনাদের ভালো লাগবে।
অবশ্যই আপনারা অনেকেই জানেন আমি একজন প্রবাসী শ্রমিক, আর বর্তমানে আমি আমার বসের দোকানে কাজ করছি। যেহেতু কয়েকদিন যাবত প্রজেক্ট এর কাজের খুব সমস্যা হচ্ছে তাইতো বস আমাকে গত তিন চার দিন আগে দোকানে নিয়ে এসেছে, দোকানের কাজ করার জন্য।
দোকানের কাজ যখন না থাকে তখন আমরা প্রজেক্ট এর কাজের জন্য বেরিয়ে পড়ি। এমনটা প্রায় প্রতিদিনই ঘটে। যখনই কাজ কম থাকে তখন কাজের খোঁজে প্রজেক্টের দিকে যায়, কারণ প্রজেক্টে আমাদের কাজ আছে তবে প্রতিদিন হয় না ২-১ দিন পর পর হয়ে থাকে। তাই তো অনেক পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয়।
তবে সেটাতে খুব একটা বেশি অসুবিধা হয় না, কারণ বসের গাড়ি রয়েছে। সেই গাড়িতে করে আমাদের এক মুরুব্বি চাচা নিয়ে যাই, আবার নিয়ে আসে। এক কথায় বলতে পারেন বসের ড্রাইভার ওই গাড়িটিই চালাই তবে মুরুব্বীটি অনেক বেশি কথা বলে। তাই অনেক সময় রাগের বশে অনেক কিছু বলে ফেলি, আবার হাসি আড্ডায় মেতে থাকি, অনেক সময় যখন ভালো কথা বলে তখন ভালো লাগে। যখন ব্যক্তিটি ভালো তখন অনেক ভালো ভালো কিছু আমাদের সাথে শেয়ার করে।
এমত অবস্থায় আমরা যে প্রজেক্ট এর উদ্দেশ্যে যাচ্ছি প্রায় দুই ঘণ্টার মতো রাস্তা, আর অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার পর হঠাৎ করেই আমাদের ড্রাইভার বলল খুব খিদে লেগেছে। চলো কিছু খেয়ে নেই। আমি বললাম আসলে আমরা তো বাসা থেকে ভাত নিয়ে এসেছি, তাই হোটেলে খাওয়ার তেমন কোন প্রস্তুতি নেই। তখন ড্রাইভার বলল চলো সমস্যা নেই, গিয়ে বসে হালকা পাতলা কিছু পানীয় জাতীয় খাবার খেয়েও, তাতেই হবে বিল আমি দিয়ে দেব।
তখন আমি ও আমার বড় ভাই ও ড্রাইভার একটা সুন্দর পরিবেশে থাকা একটা ছোট্ট হোটেলে গিয়ে বসলাম। আর সেখানেই আমাদের ড্রাইভার ভাতের অর্ডার দিল তার জন্য, আর আমাদের জন্য কিছু পানীয় জাতীয় খাবার অর্ডার দিল।
তাই সেই সময় ভাবলাম কয়েকটি ছবি ওঠায়, আসলে বিদেশীদের খাওয়ার ধরন বিদেশী বিদেশী মতো। যেমনটা এই খাবারের ছবিগুলো দেখলেই বুঝতে পারবেন, অল্প দুটো ভাত আর কতখানি তরকারি নিয়েছে আমি এটা দেখে ড্রাইভারকে বললাম আপনি তো দেখি ভাতের ছাড়া তরকারি বেশি নিয়েছেন খেতে পারবেন তো।
আসলে ড্রাইভার এই দেশেরই তাই তার ওইরকম অভ্যাস রয়েছে, তখন সে হাসিমুখে বলল আরে এটাতো আমাদের প্রতিদিনের খাবার আমরা এভাবেই অল্প ভাত খাই আর তরকারি বেশি খায়। আমি শুনে অনেকখানি অবাক হলাম, আসলে আমাদের বেলায় যদি এমনটা হতো খাওয়া অনেক কষ্ট হয়ে যেত।
দীর্ঘ ৩০ মিনিট পর খাওয়া দাওয়া যখন শেষ তখন আমরা আমাদের কাজের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। আর প্রাই চারটার দিকে গিয়ে প্রজেক্টে পৌছালাম তারপর তাড়াহুড়ো করে ঘন্টা দুই এর ভেতর পুরো কাজ শেষ করে পুনরায় আমরা আমাদের বসের দোকানে ফিরে আসলাম।
এভাবেই দেখতে দেখতে একটি দিন শেষ হয়ে গেল, আর এভাবেই দেখতে দেখতে দিনের পর দিন কখন যে শেষ হয়ে যাচ্ছে নিজেও বুঝতে পারছি না।
যাই হোক বন্ধুরা আপনাদের মাঝে কয়েকটি ছবি শেয়ার করার ইচ্ছে ছিল তাই ভাবলাম এই ছবিগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করি আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন ধন্যবাদ।