কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগের আমার সকল বন্ধুরা। অবশ্যই আপনারা ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন আপনাদের দোয়াতে আমিও অনেক ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে চলে আসলাম ছোট্ট একটা পোস্ট নিয়ে। যে পোস্টে আমি আমাদের প্রজেক্ট এর সেফটি মিটিং সম্পর্কে কিছু কথা বলব, এবং কয়েকটি ছবি শেয়ার করবো।
আসলে আমরা যে কাজ করি অনেক রিস্ক এর কাজ, তাই আমাদের সঠিক সেফটি হওয়া অনেক প্রয়োজন। আর সেটা খেয়াল রাখে আমরা যে কোম্পানিতে কাজ করি সে কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তাইতো প্রতি সপ্তাহে আমাদের প্রজেক্টে সেফটি মিটিং হয়ে থাকে, বিভিন্ন সমস্যা, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা করে। আমাদের যিনি সেফটি অফিসার রয়েছে তিনি।
কিভাবে কাজ করলে আমরা সেফটি মেইনটেইন করে চলতে পারব, কিভাবে কাজ করলে আমরা বড় বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাবো। সে বিষয় নিয়ে বিভিন্ন তথ্য আমাদের সাথে শেয়ার করে প্রতি সপ্তাহে, কার কি সমস্যা রয়েছে, আমরা যে জায়গায় থাকি সেই জায়গা কি ঠিকঠাক মতো আছে কিনা, কারো কোন অসুবিধা হচ্ছে না তো এসব বিষয় নিয়ে নানা আলাপ আলোচনা হয়।
কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের এই সেফটি মিটিং এ যায় যেতে অনেক বিরক্ত লাগে। তারা বলে আরে কি হবে গিয়ে, একই কথা তো বারবার বলে। কিন্তু আমি মনে করি তারা আমাদের ভালোর জন্যই বলে, তারা যে কথাগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করে সেগুলো আমাদের জন্যই মঙ্গল কর। আমরা দুটো টাকা কামাই করার জন্য এই দূর প্রবাসে পাড়ি জমিয়েছি, আমাদের যদি কোন এক ক্ষতি হয়ে যায় সেই ক্ষতির কোন শেষ থাকবে না।
একজন প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি যতটুকু পরিমান সেফটি মেনটেন করার। যতটুকু সেভ থাকলে আমি আমার জীবনটাকে কিছুটা হল বাজাতে পারব, এমন ব্যবস্থা অনুযায়ী আমি সবসময় চলার চেষ্টা করি, কারণ আমি যে কাজ করি অনেক ভয়ানক জায়গায়, যেখান থেকে আমি যদি একটু অন্যমনস্ক হই তাহলে বিপদ অবধারিত।
তাই আমি প্রতি সপ্তাহে সেফটি মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করি, আর এই সপ্তাহেও ঠিক তেমনটাই করেছিলাম প্রতি বুধবার আমাদের প্রজেক্টে সেফটি মিটিং হয়।সকালে সবাইকে একত্রিত করে আমাদের সেফটি অফিসার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কথা শেয়ার করে, এবং সবকিছু শেষ হয়ে গেলে হালকা পাতলা একটু ব্যায়ামের ব্যবস্থা করে। যাতে আমাদের শরীরটা তত তাজা হয়ে যায়।
বেশ ভালই লাগে, আনন্দও লাগে, আবার অনেক অনেক সময় অনেক রাগান্বিতভাবে কথা বলে আমাদের সেফটি অফিসার। সেফটি অফিসারের ভেতরে একজন মহিলা এবং দুজন পুরুষ রয়েছে। মহিলা যিনি তিনি সবসময় প্রজেক্ট এই থাকে, আর পুরুষ যে দুজন আছে তারা সপ্তাহে দুই তিন দিন আমাদেরকে সময় দেয়।
পরিশেষে একটু কথাই বলবো? আপনি যেই কাজ করুন না কেন সেই কাজে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করে কাজ করবেন। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব ও কর্তব্য সেটা, ছোট কাজ হোক কিংবা বড় কাজ হোক সব জায়গাতেই বিপদ অবধারিত, আর সে বিপদ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের অবশ্যই সেফটি মেইনটেইন করে চলতে হবে।
বন্ধুরা উপরে আমি কয়েকটি ছবি শেয়ার করেছি, যে ছবিগুলো হয়তো খুব একটা বেশি ভালো হয়নি। তবে সেফটি মিটিং এর সময় তাড়াহুড়ো করে উঠিয়েছি, যেমন হয়েছে আপনাদের সাথে তেমনটাই শেয়ার করেছি।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন, ধন্যবাদ সকলকে। আর দোয়া করবেন আমি এই দূর প্রবাসে যেন সবসময় সুস্থ থাকি, আবার যেন আমি আমার মায়ের কোলে ফিরে যেতে পারি।